আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নবী পরিবারের(আঃ) শানে পবিত্র কোরানের আয়াত

আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি। সুরা আহযাব,আয়াত#৩৩ “হে নবী পরিবার,আল্লাহ তো চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদিগকে সম্পুর্ন্রুপে পবিত্র করতে যেমন পবিত্র করার অধিকার আছে। “ হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) বর্ননা করিয়াছেন যে,আকদিন আল্লাহর রাসুল(সাঃ) আমার ঘরে ছিলেন,হযরত ফাতিমা(আঃ) একদিন হাড়িতে খাবার নিয়ে আসিলেন। আল্লাহর রাসুল(সাঃ) ফরমাইলেনঃহে ফাতিমা!তোমার স্বামী, এবং পুত্রদেরকেও ডাকিয়া আন,তারপর হযরত আলী(আঃ),হযরত হাসান ও হসাইন(আঃ) আসিয়া বসিয়া পড়িলেন। ঐ খাবার খাইলেন এবং ঐ স্থানে শিয়া পড়িলেন।

হযরত রাসুলাল্লাহ(সাঃ)এর পায়ের নীচে খয়বরের একটি আবা (চাদর) ছিল। উম্মে সালামা(রাঃ) বলিয়াছেন যে, আমি ঐ কামরার মধ্যে সালাত আদায় করিতেছিলাম,তখন আল্লাহতায়ালা উক্ত আয়াত নাযিল করিলেন। তারপর নবী পাক(সাঃ) ঐ চাদর দ্বারা তাহাদেরকে ঢাকিয়া দিলেন এনং নিজের হাত মোবারক আকাশের দিকে উত্তোলন করিয়া বলিলেনঃহে আল্লাহ! তাহারা হইলো আমার পরিবারের বিশেষ সদস্য এবং আমার অতি প্রিয়। তুমি তাদের মধ্য হইতে নাপাকী এবং অপবিত্রতা দূর করিয়া দাও। তাহাদেরকে পাক ও পবিত্র করিয়া দাও।

হযরত উম্মে সালামা(রাঃ) বলিয়াছিলেন যে,আমি নিজের মাথা ঐ চাদরের মধ্যে প্রবেশ করাইলাম এবং বলিলাম যে, হে আল্লাহর রাসুল(সাঃ)! আমিও কি আপনাদের মধ্যে শামিল হইতে পারি,তিনি ফরমাইলেনঃনা ,বরং তুমিও উত্তম অবস্থায় থাকিবে। এই হাদিসটি একটি সহী হাদিস,নির্ভরযোগ্য সাহাবী হইতে ইহা বর্নিত হইয়াছে। বর্ননার আসল ভিত্তি হইলো এই যে,নবী পরিবার (আহলে বায়েত) দ্বারা শুধু হযরত আলী,ফাতিমা,হাসান ও হোসাইন(আঃ)কে বুঝানো হইয়াছে। আমর বিন আবি সালামা,আবু সাইদ খুদরী এবং আনাস ইবনে মালিকও ইহা বর্ননা করিয়াছেন। সুরা আম্বিয়া,আয়াত# ৭ “তোমরা যদি না জান তবে আহলে জিকরকে জিজ্ঞাসা কর”।

রাসুল(সাঃ)পবিত্র ইমামগন বলিয়াছেন যে, আহলে জিকর অর্থাৎ জ্ঞানবান ব্যক্তি তাহাদের পাকজ্জাত ও মানবকুলকে আদেশ করা হইয়াছে যে, নিজেদের সমস্যার ব্যাপারে তাহাদের কাছে গিয়া তাহার সমাধান চাও। এই অর্থের সঠিক বর্ননা কোরানে বর্নিত হইয়াছে-যাহা রাসুল(সাঃ) ব্যাখ্যা করিয়াছেন এবং কোরানকেও জিকর অর্থে বলা হইয়াছে। ইহা ষ্পষ্ট যে,হযরত নবীকরিম(সাএর বংশধররাই করান ও নবুওতের আসল ব্যাখ্যাকারী এবং তাঁহাদেরকেই আহলে কোরান বলা হয়। (সুত্রঃতাফসীরে কুমী,৩য় খন্ড,পৃঃ৬৮;আল-মুরাজায়াত,পৃঃ৫৪;মাজমাউল বায়ান,৭ম খন্ড,পৃঃ৪০;রাওয়ানে জাভেদ,৩য় খন্ড,পৃঃ৫৪১)। সুরা আম্বিয়া,আয়াত# ১০৫ “ আমি ‘যাবুর’ কিতাবেও এ উপদেশ উল্লেখের পর (দুনিয়ার কতৃ্ত্বের ব্যাপারে পরিস্কার করে আমার ) একথা লিখিয়া দিয়াছি যে,একমাত্র সৎ/যোগ্য বান্দারাই এ জমীনে নেতৃত্বের অধিকারী হইবে”।

রাসুল(সাঃ) ফরমাইয়াছেনঃপৃথিবী ততক্ষন পর্যন্ত শেষ হইবে না যতক্ষন পর্যন্ত না আমার বংশ হইতে আল্লাহতায়ালা একজনকে পাঠাইবেন আর পৃথিবীর আয়ু যদি একদিনও থাকে তবে ঐ একদিনকে আল্লাহতায়ালা এত দীর্ঘ করিয়া দিবেন যে, একজন মহাপুরুষ আমার আহলে বায়েত হইতে আবির্ভুত হইবেন। আর পৃথিবীর জুলুম ও অত্যাচারে পুর্ন হইয়ান যাইবে,তখন সে এই পৃথিবীকে ন্যায়বিচার এবং ন্যায়পরায়নতায় পরিপুর্ন কর‍্যা দিবে। অন্যান্য বর্ননা ও ব্যাখ্যায় রহিয়াছে যে,তাহার নাম আমার নামে হইবে এবং সে ফাতিমার সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত হইবে। আর এই আয়াতের উদ্দেশ্য এই যে, ইহা লাওহে মাহফুজে এবং সমস্ত আসমানী কিতাবে যেমন তাওরাত,ইঞ্জিল,যাবুর এবং কোরানে উল্লেখ করা হইয়াছে,হযরত ইমাম মেহেদীর(আঃ) আগমন আর তাঁহার ভক্তদের সুসংবাদ দেওয়া হইয়াছে। (সুত্রঃ মুসনাদে আহমাদ,১ম খন্ড,পৃঃ৩৭৬;তারিখে বাগদাদ,৪র্থ খন্ড, পৃঃ৩৮৮;কানজুল উম্মাল,৭ম খন্ড,পৃঃ১৮৮;তাফসীরে কুমী,২য় খন্ড,পৃঃ৭৭;ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ,পৃঃ৪২৫।

সুরা নুর,আয়াত# ৩৬ “সেই সকল ঘর যাহাকে সমুন্নত করিতে এবং যাহাতে তাঁহার নাম স্মরন করিতে আল্লাহ নির্দেশ দিয়াছেন,সকাল ও সন্দ্ব্যায় তাঁহার পবিরতা ও মহিমা ঘোষনা করে”। হযরত আনাস বিন মালিক এবং হযরত বুরাইদা বর্ননা করিয়াছেন যে, আল্লাহর রাসুল(সাঃ) এই আয়াত পাক পাঠ করিলে হযরত আবুবকর দাড়াইয়া আবেদন করিলেনঃহে আল্লাহর রাসুল(সাঃ)! এই ঘরগুলি কোথায়?হযরত নবী পাক (সাঃ) বলিলেনঃ ইহা আল্লাহর নবীগনের ঘরসমুহ। তারপর তিনি জিজ্ঞাসা করিলেনঃহযরত আলী ও হযরত ফাতিমার ঘরও কি ইহাতে অন্তর্ভুক্ত?আল্লাহর রাসুল(সাঃ) ফরমাইলেনঃঅবশ্যই ইহার মধ্যে তাহাদের ঘরও অন্তর্ভুক্ত এবং ইহা ঐ সব ঘরের চেয়ে উত্তম এবং সমুন্নত। (সুত্রঃ মাজমাউল বায়ান,৭ম খন্ড,পৃঃ১৪৪; শাওয়াহেদুত তাঞ্জিল,১ম খন্ড,পৃঃ৪০৯; আল-মুরাজায়াত,পৃঃ৬১; জাযবায়ে বেলায়েত,পৃঃ১৪২; কেফাইয়াতুল মোওয়াহহেদীন, ২য় খন্ড,পৃঃ২৫৮;গায়াতুল মোরাম,পৃঃ৩০৮)। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।