আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পার্সোনালিটি এক অমুল্য সম্পদ। জেনে নিন কিছু পার্সোনালিটি ডিসওর্ডার।

https://www.facebook.com/udaspothik007 ডিসওর্ডারগুলো জানার আগে পার্সোনালিটি সমন্ধে জানতে আমার আগের একটি পোস্টঃ পার্সোনালিটি-মানুষের এক অমুল্য সম্পদ। জেনে নিন আপনার পার্সোনালিটি কোন ধরনের। এখানে ক্লিক করুন মনোবিজ্ঞানে পার্সোনালিটি ডিসোর্ডার একটি নতুন সংযোজন। ব্যাক্তির আচার আচরন যখন স্বাভাবিকতার পর্যায়ে না থাকে তখন তাই ডিসওর্ডার বলে পরিগনিত হয়। কোন ব্যাক্তি হয়ত আস্বাভাবিক ও ক্ষতিকারক প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে এবং স্বাভাবিক ভারসাম্য সহজেই হারিয়ে ফেলে, আবার কোন কোন মানুষ বিপদে ধীরস্থিরভাবে ও অপেক্ষাকৃত কম উত্তেজিত হয়ে সেই বিপদ মোকাবেলা করে।

আপাদদৃষ্টিতে সাধারনের কাছে এটা কোন রোগ না হলেও সাইকোলজিস্টদের কাছে এই অস্বাভাবিকতা সহজেই ধরা পড়ে। এই অস্বাভাবিকতা বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায়। একটু ভাল করে খেয়াল করলেই তা যেকোন মানুষের চোখে সহজেই ধরা পড়বে। ইন অ্যাডিকুয়েট পার্সোনালিটি ডিসওর্ডারঃ - এ পার্সোনালিটির ব্যাক্তিরা পরিবেশের সাথে সঙ্গতি স্থাপন করতে পারে না। - এদের বিচার বিবেচনাশক্তি কম।

- শারীরিক ও মানসিক সহ্য ক্ষমতা কম। - সামাজিক জীবনযাপনের মানানসই ক্রিয়াকলাপেও এরা অসমর্থ অথচ এরা শারীরিক বা মানসিক যোগ্যতার দিক দিয়ে অযোগ্য নয়। ইম্যাচুয়ার পার্সোনালিটি ডিসওর্ডারঃ - এ ধরনের পার্সোনালিটির লোকের প্রাক্ষোভিক প্রতিক্রিয়ার ওপ্র কোন সংযম থাকে না। - বিপদের মুখে এদের যতখানি উত্তেজনা ও ভয়ে ভয়ে ভীত অবস্থা দেখা যায় বিপদ কেটে গেলে এরা ততটাই ছেলেমানুষি আচরন করে। - এরা ধংসাত্বক ও আগ্রাসী আবেগ খোলাখুলিভাবে প্রকাশ করে।

- কোন বিতার্কিক পরিস্থিতিতে এরা জড়িয়ে পড়ে ঝগড়া ও তর্ক করতে এরা অভ্যস্থ। - এরা অত্যন্ত আবেগপ্রবন ও অতি দ্রুত পরিবর্তনশীন মনোভাবের অধিকারী। - এদের জীবন সর্বদাই অস্থিরচিত্তে কাটে। - এ ধরনের ব্যাক্তিত্বের লোকেরা অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে কখনো আবেগে ঢলঢল আবার পর। - এ ধরনের পার্সোনালিটিতে শিশুসুলভ আচরনটাই বেশি।

সিজয়েড পার্সোনালিটি ডিসওর্ডারঃ যেসব ব্যাক্তি অন্যের সাথে অন্তরংগ সম্পর্ক স্থাপনে অসমর্থ, যারা উত্তাপহীন, শীতল নীরস মনের, একান্তে থাকতে পছন্দ করে, পরিচিতদের দূরে ঠেলে দেয় তাদের সিজয়েড পার্সোনালিটি বলে। - এ ধরনের লোকেরা আত্নকেন্দ্রিক। - অন্তর্মুখী - এরা কল্পনাপ্রবন - এরা একা একা থাকতে পছন্দ করে - এদের বন্ধু বান্ধব এর সংখ্যা কম। আন্তরিকতার অভাবে এদের সাথে তেমন কারো বন্ধুত্ব হয়ে উঠে না। - এদের স্নেহ মায়া মমতা প্রকাশের ক্ষমতার অভাব থাকে।

- এদের মাঝে কোন রসবোধ নেই। - এরা নিজেকে নিয়েই ব্যাস্ত থাকে। - এরা দিবাসপ্ন বা ফ্যান্টাসিতে বিভক্ত থাকে। - এরা খুব কম কথা বলে। - এদের মাঝে স্বামী স্ত্রীর মধুর সম্পর্ক তেমন একটা তৈরী হয় না।

- এরা নিতান্তই অসামাজিক। - এরা প্রতিযোগিতামুলক বা সহযোগিতামুলক কাজকে সর্বদা এড়িয়ে চলে। - এদের আচরন একটু অদ্ভুত প্রকৃতির। - অল্পতেই বিরক্তবোধ করে, রেগে যায়। - রুপকতা উপকথা ও কল্পিত কাহীনীর জগতে এরা বিচরন করতে ভালবাসে।

- এরা বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে চলে। হিস্টিরিয়নিক পার্সোনালিটি ডিসোর্ডারঃ - এদের হাবভাবে এমন কিছু প্রশংশ্নীয় আচরন প্রকাশ পায় চাতে অন্য লোকের প্রশংস দৃষ্টি আকর্ষন করা যায়। - এরা অন্যের সহানুভুতি পাওয়ার জন্য প্রায়ি নানারকম শারীরিক অক্ষমতা ও ব্যাথাবেদনার অভিযোগ করে থাকে, যেগুলোর দেহভিত্তিক তেমন কোন কারন বের করা যায় না। - এদের ব্যভার অন্যকে দারুনভাবে প্রলুব্ধ করে কন্তু তার মধ্যে কোন গভীর আন্ত্রিকতা থাকে না, থাকে শুধু ছলনা। - এরা সত্তিকার প্রেমের বদলে প্রেমের ভান করতে অভ্যস্থ।

- নিজেদের মধ্যে একটা নিরাপত্তাবোধ এর অভাবের কারনে ভালবাসা অর্জনের যোগ্যতা সমন্ধে নিজেদের ওপরই এদের যথেষ্ট সন্ধেহ থাকে। - এরা বাহিরের চাকচিক্য দিয়ে নায়কভঙ্গি দিয়ে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষন করে। - এরা বিবাহিত জীবনের দ্বায়িত্ব , সন্তান ধারন ও সন্তান পালনের দায়িত্ব এবং গৃহিনীর দ্বায়িত্ব এড়াতে অন্যের অধীনে থাকতে পছন্দ করে। - এ ধরনের পার্সোনালিটির লোকেরা চোখের পানি, মায়া মমতা ও আদর ভালবাসার অভনয় দেখিয়ে অন্যকে ব্ল্যাকমেইল করতে পছন্দ করে। অফটফিকঃ লিখতে লিখতে হাত ব্যাথা হয়ে গেছে।

আরো কিছু পার্সোনালিটি ডিসওর্ডার আছে সেগুলো আগামীতে পোস্ট করব। তাছাড়া আজ আবার জিসিসি নির্বাচন। ফলাফল জানতে মনটা সেদিকে রয়ে গেছে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.