আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পার্সোনালিটি এক অমুল্য সম্পদ। জেনে নিন কিছু পার্সোনালিটি ডিসওর্ডার ও আপনার মধ্যেকার ডিসওর্ডার। (২য় অংশ)

https://www.facebook.com/udaspothik007 ডিসওর্ডার নিয়ে আগে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। সেখানে অনেকেই হইত তার নিজের ডিসওর্ডারটা খুজে বের করতে পারেননি। আসলে সাইকোলিজিস্টরা অনেক ধরনের ডিসওর্ডার নির্নয় করেছেন। আজ পোস্ট করছি গতকালের পর থেকে বাকি ডিসওর্ডারগুলো। তার আগে যারা পার্সোনালিটি সম্পর্কে এখনো জানেন নি তারা এখান আগে ত্থেকে জেনে নিন।

ক্লিক তার পর জেনে কিছু ডিসওর্ডার এখান থেকে। ক্লিক ................................................................................................... গতকালের পর থেকেঃ ডিপেনডেন্ট পার্সোনালিটি ডিসওর্ডারঃ - অন্যের উপর নির্ভরশীলতা এবং পরমুখাপেক্ষিতাই এই পার্সোনালিটির প্রধান কারন। - এরা দুর্বলচিত্ত। - আত্নবিশ্বাসের অভাব, হীনমন্নতা এবং অসহয়ায়ভাবের জন্য অন্যের বাধ্য হয়ে থেক্তে পছন্দ করে। - বিবাহিত হলে অতিশয় বাধ্য স্ত্রী হয় অথবা অতিশয় বাধ্য স্বামী হয়।

- এরা স্বামী বা স্ত্রীর সব কথায় উঠা বসা করতে পছন্দ করে। - এ ধরনের লোকেরা অন্যের অনুভাজন হয়ে থাকতে পছন্দ করে। - প্রত্যাখান ও সমালোচনার ভয়ে এরা নিজেদের দাবি পর্যন্ত জানাতে সাহস পায় না। - এ ধরনের পার্সোনালিটির বা ব্যাক্তিত্ব মেয়েদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। এই পার্সোনালিটি গঠনে বংশগত প্রভাব যেমন থাকে তেমনি শৈশবে স্বাধীন ব্যাক্তিত্ব ঘটনে বাধার সৃষ্টি হয়।

অ্যান্টিসোশ্যাল পার্সোনালিটি ডিসওর্ডারঃ - এরা অল্প বয়স থেকেই অপরাধপ্রবন। - দ্বায়িত্বজ্ঞানশুন্য -বেপরোয়া। -কলহপ্রিয়। - উগ্র স্বভাবের এরা সমাজের সব লোকের অশান্তির কারন। - বিবেকহীন - ন্যায়নীতিহীন - অপরাধবোধ শুন্য - সব সময়ি এই টাইপের লোকেরা ঝুকি নিয়ে চলাফেরা করে।

- কোন ব্যক্তি দল বা প্রচলিত রীতিনীতির ধারধারে এরা চলাফেরা করে না। - নিয়মাবলীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে না। - সাধারনত এরা অপরিনত ভাবাবেগের দ্বারা পরিচালিত হয়। - নিজেদের দুস্ট আচরনের সমর্থনে এরা যেকোন ধরনের যুক্তি দাড়া করাতে এরা পটু। - এরা কখনোই কারো বাধ্যতা স্বীকার করে না।

- এরা আইনের চোখে সমাজের চোখে দোষী সাব্যস্ত হয়। - জেল জরিমানা শাস্তি সত্বেও এরা বারে বারে নির্বিচারে অপরাধ করে। - অবৈধ পথে প্রচুর ধন সম্পত্তির মালিক হয়। - রাজনীতিতে সাফল্য অর্জন করে ফেলতে পারে। - সচরাচর দীর্ঘজীবি হয় না।

এই ধরনের লোকেরা সাধারনত অল্প বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখা যায়। তবে বেচে থাকলে ৩৫-৪০ বয়সের পরে এদের জীবনে একটা পরিবর্তন দেখা যায়। তখন সাধারনত এরা সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে চেস্টা করে। আরো চারটি ডিসওর্ডার আছে সেগুলো পরের পোস্টে দিব। ইনশাআল্লাহ আজ এই পর্যন্ত।

সবাই ভাল থাকবেন। উদাসপথিক ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৫০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.