আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফসফরাসের ভ্রুণ

মুখোশ দিনগুলো ছিল বড়ই অদ্ভুত; একজন বক্ষহীনা তরুনীর মত- অমসৃণ গ্রীবা আর ফ্যাকাশে একজোড়া ঠোঁটে স্বাদহীন চুম্বন এঁকে যেত অমবস্যার দিনগুলো, রাতগুলো; অবলীলায়। অথবা, একজন পেশীহীন তরুনের মত- নুঁয়ে পড়া কাঁধ আর শোষিত চোখে অবিরাম মৃত নিরুত্তাপ, নিস্পৃহ সূর্যগ্রহন, চন্দ্রগ্রহন; অযাচিত। স্বরীসৃপের মত সন্তর্পনে শরীর বেয়ে বিষম সময়ের স্রোত যায় নেমে- জলে কন্ঠের রুক্ষতা বাড়ে উদরপূর্ত খাদ্যে পাথরের আবেশ। তবে, মজবুত ভীষন পাঁজর-প্রাচীর অন্তরালে আলোক জ্বালে ফসফরাস নিষ্পাপ, ধীর পুঞ্জিভুত অগ্নিশিখা ধ্বংসযজ্ঞের আহবান নিয়ে ঘুমোয়, জাগে। অতঃপর, একটি বুলেট সাড়া দেয় আহবানে পাঁজরছেদী বুলেটের ফেলে যাওয়া করিডোর ধরে উত্তাল নৃত্যের মূর্চ্ছনা আর ব্যাঞ্জন তোলে দাবানল- উৎসব চলে- ধ্বংসোৎসব, মৃত্যুৎসব, জন্মোৎসব; প্রবল বিক্রমে। ক্রমে, উত্তাপে অঙ্গার অশুভ ছায়ামূর্তি পাঁজরভেদী ফসফরাসের অগ্নিগোলক ছূটে উর্ধ্বপানে দিগন্তপৃষ্টে গেঁথে যায় ইচ্ছের রাজপুত্র- চিরন্তন লালচে, ভাস্কর রাজপুত্র। একান্ত নিজ রাজ্যে। রাজপুত্রের সবুজ আলখাল্লায় ঢেকে যায় অবসন্ন বিষাদের দল। দীর্ঘ বিরতির পর।  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।