আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর কত রঙ্গ দেখব ... ... ...

আলো অন্ধকারে যাই আর কত রঙ্গ দেখব ... ... ... শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে এবার এমপি কোটা! খবর : কালের কণ্ঠ (Click This Link) এবার সরকারি বেসরকারি সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটাসুবিধা ভোগ করবেন এমপিরা । কি যোগ্যতার বলে তারা এই সুবিধা পাবেন ? এমনিতেই পাবলিক ভার্সিটি গুলোতে শুরু হয়েছে বেসরকারিকরণ । শিক্ষা যখন এমনিতেই একটি গরিবের সোনার হরিণে পরিণত হচ্ছে , তখন কোটা করে মেধাবি শিক্ষার্থীদের সুযোগ আর ও কমিয়ে দেয়া হচ্ছে । ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম , ভর্তি বাণিজ্যে সয়লাব আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো । এমপিদের কোটা সুবিধা দিয়ে তার লাইসেন্স যেন হাতে তুলে দেয়া হল ।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন “শিক্ষা মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সংসদ সদস্যদের জন্য ২ শতাংশ কোটা রাখার জন্য সুপারিশ করেছে। এখন মন্ত্রণালয় এই সুপারিশ বাস্তবায়নের কাজ করবে। ” আমাদের দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে সাধারণত দুইধরনের কোটা চালু আছে : (১)মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটা । (২)নানা রকম সুবিধাবঞ্চিত ছেলেমেয়েদের জন্য কোটা । বলা হচ্ছে এমপিদের জন্য ২% সীট বরাদ্দ রাখা হবে ।

তারমানে বেশ বিপুল সংখ্যক সীট ই তাদের দেয়া হচ্ছে । বেশিরভাগ মন্ত্রি ,এমপি এর সন্তানরা দেশের বাইরে পড়াশোনা করে । কোটার ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে , এমপিদের সন্তান অথবা তাদের পছন্দের প্রার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন । এই “পছন্দের প্রার্থী” শব্দটি বিতর্কিত এই ব্যাপারটিকে আরও বিতর্কিত করে দিচ্ছে । এমপিদের অনেকের নাম শোনা যায় , ভর্তিবানিজ্যের ব্যাপারে ।

দেশের নামিদামি স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় সব জায়গাতেই সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠন (তারা ছাত্র কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে ) ভর্তি নিয়ে অরাজকতার সৃষ্টি করে । তাদের শক্তির উৎসে থাকে , এই মন্ত্রি এমপিরাই । তাদের কোটা সুবিধা দেয়া একটি হাস্যকর ব্যাপার ছাড়া আর কিছু নয় । কোটা পদ্ধতি নিয়ে একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করি । আমি তখন আইডিয়াল স্কুলের ছাত্র ।

স্কুলের বাইরে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল দেখছিলাম । ১ম শ্রেণীতে মেধা তালিকা থেকে সর্বশেষ যে ছেলেটি ভর্তির সুযোগ পাবে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮ । আর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যে দুজন ভর্তির সুযোগ পাবে তাদের প্রাপ্ত নম্বর ছিল যথাক্রমে ৪৭ এবং ৪৫ । ঘটনাটি ২০০৮ সালের , মুক্তিযুদ্ধের ৩৭ বছর পর । একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যুদ্ধের ৩৭ বছর পর ১ম শ্রেণীতে ভর্তি হবে , তা বিশ্বাস করা সত্যি ই কষ্টকর ।

মুক্তিযোদ্ধা কোটার ফলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা কতটুকু লাভবান হয়েছেন , কে জানে ? নকল যোদ্ধারা ফায়দা ঠিক ই লুটছে , আড়ালে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন প্রকৃত যোদ্ধারা । আদিবাসীদের জন্য যে কোটা চালু আছে , তা সত্যি ই দরকারি । তারা নানারকম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত । এই সুবিধাটুকু আমি তাদের অধিকার বলবো । প্রতিবন্ধীদের জন্য যে কোটা সুবিধা দেয়া হয় ,তা নিয়ে প্রশ্নের কোন অবকাশ নেই ।

শিক্ষা ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা নেই , ছিল না কোন দিন । আর এখন এমন একটি শ্রেণীকে কোটা সুবিধা দেয়া হচ্ছে , যাদের এই সুবিধাটুকুর প্রয়োজন নেই । সরকারের এমন সিদ্ধান্ত শিক্ষা খাত কে আরও কলুষিত করবে বলে আমি মনে করি । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।