আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেইসবুক হ্যাকিং বা অপ্রত্যাশিত শেয়ারিং এগিয়ে চলুন (ই-বুক লিংকসহ)

মইধ্যে রাইতে লুকাইয়া লুকাইয়া হাসতাম কিন্তু অহন আর হাসবারও পারি না, কিচ্চু হইলেই ঝারি মারে :( ওই কুটকুট কইরা হাসবি না! ১. Facebook-এ আমরা বিভিন্ন এপ্লিকেশন ব্যবহার করে থাকি। এপ্লিকেশনগুলো পার্মিশনের মাধ্যমে চালু হয় এবং প্রত্যেকটি এপ্লিকেশনই আপনার একাউন্টে স্টোর হয়। প্রয়োজনীয় এপ্লিকেশনগুলো রেখে জমে থাকা বাকি এপ্লিকেশন রিমুভ করুন ফেলুন। তারপরও যদি অপ্রত্যাশিতভাবে কোন এপ্লিকেশন কাজ করে, তাহলে ঐ এপ্লিকেশনগুলোকে ব্লক করে রাখুন। ব্লক করুন- Privecy Setting থেকে Blocked People and Apps. এপ্লিকেশন পাবেন : Account Setting ক্লিক করার পর বাম পাশে থাকা Apps ক্লিক করুন।

Apps ট্যাবে অপ্রয়োজনীয় Apps গুলো রিমুভ করে দিন। ২. থার্ডপার্টি অনেক ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যার আছে। যেমন- স্মাইলি ব্যবহার করার মতো কিছু সফটওয়্যার বা Facebook-র সৌন্দর্যবৃদ্ধি করে এমন সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার না করাই ভালো। ইন্সটল করে থাকলে রিমুভ করে দেয়া। কোড ব্যবহার করেই বিভিন্ন স্মাইলি ব্যবহার করতে পারেন।

যেমন - :’( o.O ইত্যাদি ৩. Facebook থেকে এখন ম্যাসেজের পাশাপাশি e-mail রিসিভ এবং সেন্ট করা যায়। সুতরাং অপ্রত্যাশিত অনেক মেইলই আসতে পারে। না বুঝে ঐসব মেইল ওপেন করবেন না। ৪. চ্যাটিং করা অবস্থায় অপ্রত্যাশিত কোন লিংক ওপেন বা ক্লিক করবেন না। তবে এই নয় যে, আপনি কোন লিংকই অপেন করতে পারবে না।

যে সাইটগুলোকে আপনি ট্রাস্ট করেন ঐগুলো অপেন বা ক্লিক করতে পারবেন। ৫. সব ধরনের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করবেন না। সাধারনত বিভিন্ন ওয়েব লিংকগুলো বন্ধুদের কাছ থেকে আসে। তাই এখানে সাবধানতা অবলম্বন করুন। এখন যেহেতু এসব স্পেওয়্যার, ম্যালওয়্যার (যাকে ভাইরাস বলছি) প্রকপ খুব বেশি।

তাই আপনার ভিডিও, বিভিন্ন লিংক, অডিও ট্যাগ করাকে কাস্টমাইজ বা বন্ধ করে দিন। খুব প্রয়োজনে কাস্টমাইজ অপশন ব্যবহার করুন। আপনার তথ্য আপনার Facebook বন্ধু ছাড়া পাবলিক শেয়ার করবেন না। এতেও খুবই প্রয়োজনবোধে কাস্টমাইজ অপশন ব্যবহার করুন। ৬. প্রতি মাসে ১বার ফেইসবুকের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।

পাসওয়ার্ড কী ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ দিকে একটু নজর দিন। পাসওয়ার্ড সবগুলো নাম্বার যেমন 112233 বা লেটার abcdef ব্যবহার করবেন না। পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে নাম্বার লেটার এবং সিম্বল ব্যবহার করা উচিত। যেমন : cric3692#@। তবে অবশ্যই মনে থাকে এমন পাসওয়ার্ড দিন।

৭. আপনার ইমেইল এড্রেস সবার সাথে শেয়ার করবেন না। প্রাইমারি ইমেইল এড্রেসের পাশাপাশি অল্টারনেটিভ ইমেইল ব্যবহার করতে পারেন। ফেইসবুক ইমেইল এড্রেস বা পাসওয়ার্ড কাজ না করলে প্রয়োজন হতে পারে। ফেইসবুকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য না দেয়াটাই ভালো। দিয়ে থাকলে সবগুলো ট্যাবই পাবলিক শেয়ার করবেন না।

একাউন্ট স্যাটিং, এপ্লিকেশন স্যাটিং-এ বিভিন্ন মানের নিরাপত্তার ব্যবস্থা আছে। এগুলো ব্যবহার করুন। ৮. প্রতিদিনই চোখ রাখুন আপনার ফেইসবুক ওয়ালে। অপ্রয়োজনীয় এপ্লিকেশন, অডিও-ভিডিও লিংক রিমুভ করুন। প্রয়োজনে ট্যাগ কাস্টমাইজ করুন।

৯. একাউন্ট নিরাপদ রাখতে Application Settings থেকে Secure Browsing ও Login Notification Enable করুন আশা রাখি এ কমান্ডগুলো আপনার সাধারন সমস্যাগুলো সমাধান করতে সহায়তা করবে। সর্বশেষ : আলোচিত বিষয়গুলো একান্তই আমার পর্যালোচনা থেকে লিখলাম। এবং উক্ত টিপসগুলো সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করে না। এ পোস্টের ই-বুক ডাউনলোড করুন : ই-বুক ডাউনলোড লিংক  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।