আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঃঃঃ হাতের ইশারায় চলবে টেলিভিশন !!! ঃঃঃ

ঃঃঃঃ চল বহুদূরে...নির্জনে আড়ালে লুকোই...ঃঃঃ তখন আর রিমোট কন্ট্রোল নিয়ে কাড়াকাড়ি হবে না। তবে সবচেয়ে বিড়ম্বনা হল যার যার ইচ্ছে মত চ্যানেল ঘুরবে আর রেশারেশি ও অনেক বৃদ্ধি পাবে যদি টিভি রূমে একাধিক মতালম্বি থাকে তো ! কোনো বোতামে চাপ নয়, রিমোট কন্ট্রোল তো দূরের কথা। টেলিভিশনের চ্যানেল পরিবর্তন হবে শুধু আপনার হাতের ইশারায়। অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার মতোই ব্যাপার। এ অবাক করা বিষয়টি আর কিছুদিনের মধ্যেই বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করে যাচ্ছে ইসরায়েলের একটি প্রতিষ্ঠান—নাম এক্সটিআরথ্রিডি।

এ প্রযুক্তির রহস্য হচ্ছে, টেলিভিশনের ভেতরেই মানুষের হাতের ইশারা বোঝার মাইক্রোচিপস সংযুক্ত থাকবে। আপনার হাতের ইশারাটা সেই মাইক্রোচিপস কেবল বুঝে নেবে। তেলআবিব-ভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যেই প্রায় আট মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে তৈরি শুরু করেছে স্পর্শবিহীন এই মোশন ক্যাপচার প্রযুক্তি সংযুক্ত ‘টাচলেস টেলিভিশন’। প্রতিষ্ঠানটি একই প্রযুক্তির একটি স্মার্টফোনও বাজারে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে। ২০১২ সালের শুরুর দিকেই এগুলো বাজারে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত বছর মাইক্রোসফটের ‘কিনেক্ট’ এমনই একটি মাল্টি ডাইরেকশনাল গেশচার কন্ট্রোল গ্রেমিং কনসোল বাজারে এনেছিল। অসম্ভব জনপ্রিয় এই গেমিং কনসোলটির দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ার পরেও এটি প্রায় হট কেকের মতোই বিক্রি হচ্ছে। এক্সটিআরথ্রিডি জানিয়েছে, এই টেলিভিশনে থাকবে একটি ডেপথ সেন্সর। এর পাশাপাশি মাল্টি অ্যারাই মাইক্রোফোন ও আরজিবি ক্যামেরা দিয়ে এটি মানুষের হাতের বিভিন্ন ইশারা বুঝতে সক্ষম হবে। এ ধরনের প্রযুক্তিতে আলোর একটি ব্যাপক প্রভাব রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

আরজিবি ক্যামেরা যদি ঠিকমতো ব্যবহারকারীর ছবি নিতে না পারে তাহলে ইশারা ঠিকমতো কাজ না-ও করতে পারে। তবে এক্সটিআরথ্রিডির একজন প্রকৌশলী জানিয়েছেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠান যে প্রযুক্তিটি তৈরি করছে, তাতে খুব একটা আলোর প্রয়োজন হবে না। মোটামুটি অন্ধকারে বসে থাকা ব্যবহারকারীর ইশারাও তাঁদের টেলিভিশনের ভেতরে সংযুক্ত মাইক্রোচিপ খুব সহজেই বুঝে নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্ট টেক্সাস ইনসট্রুমেন্টস এই প্রকল্পটিতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে আসছে বলে জানা গেছে। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।