আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঃঃঃ কি চা খাওয়াইলা লোটাস কাহা !!! ঃঃঃ

ঃঃঃঃ চল বহুদূরে...নির্জনে আড়ালে লুকোই...ঃঃঃ Bangladesh 135 & 275 (82.3 ov) Pakistan 594/5d Pakistan won by an innings and 184 runs ড্রিংস চলছে ! ইস্ কেও যদি বুদ্ধি করে ড্রিংসে একটু স্যালাইন মিশিয়ে দিত !!! ম্যাচে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট রান ২৬৯। পাকিস্তান এক জুটিতেই প্রায় ছুঁই-ছুঁই। অপরাজিত পঞ্চম উইকেট জুটিতে ২৫৯ রান পাকিস্তান দলের অভিজ্ঞতম ও নবীনতম দুই ব্যাটসম্যানের মেলবন্ধনে। ইউনুস খান তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করতেই তালি দিয়ে অভিনন্দন জানানো ও ব্যাটসম্যানদের ডেকে পাঠানোর কাজটা একসঙ্গে সেরে ফেললেন মিসবাহ-উল-হক। জুটির সঙ্গী আসাদ শফিক একটু আগে ১০৪ রানে আউট হয়ে গেছেন।

পাঠানের ১৯তম টেস্ট সেঞ্চুরির দিনে আরাধ্য প্রথমটির দেখা পেলেন করাচির তরুণ। বাংলাদেশের ১৩৫ রানের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৪ রানের একটি জুটি হয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে এরই মধ্যে দুটি ফিফটি পার্টনারশিপ হয়ে গেছে। ২৫৯ রানের জুটির সঙ্গে তুলনাটা হাস্যকর। তুলনাটা করতে হচ্ছে দুই দলের ব্যাটসম্যানদের মানসিকতার পার্থক্যটা বোঝাতে।

ইউনুস-শফিকের ২৫৯ রানের জুটিটিতে রান এসেছে ওভারপ্রতি ৩.৬১ করে। নাজিমউদ্দিন-নাফীসের ৫০ রান ৪.২৬ রানরেটে। নাজিমউদ্দিন-সাকিবের অসমাপ্ত ৫৪ রানের জুটিতে রানরেট আরও বেশি—৪.৫৬। দ্রুত রান তোলা কোনো অন্যায় নয়। তাতে পৌরুষের একটা প্রদর্শনী থাকে।

দর্শকদের হাততালি পাওয়া যায়। কিন্তু টেস্ট ম্যাচ বাঁচানোর লক্ষ্য পূরণে সেটি কতটা উপযোগী হয়, এই প্রশ্নের উত্তরটা বোধহয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ছাড়া বাকি সবারই জানা। ব্যতিক্রম বলতে হচ্ছে শুধু নাজিমউদ্দিনকে। জীবনের প্রথম টেস্ট ইনিংসে ৩১ করেছিলেন ৭৯ বলে। উইকেটে ছিলেন ১৩২ মিনিট।

দ্বিতীয় ইনিংসে এরই মধ্যে ১৭১ মিনিট ব্যাট করা হয়ে গেছে। রান ১০৯ বলে অপরাজিত ৪১। প্রায় সাত সেশনব্যাপী পাকিস্তানের ব্যাটিং দেখে শুধু অভিষিক্ত ব্যাটসম্যানই মনে হচ্ছে যা একটু শিখেছেন! স্কোর-টোর না জেনে কেউ ইলিয়াস সানির সংবাদ সম্মেলনে থাকলে তিনি ভুল বুঝতে পারতেন। পাকিস্তানই বোধহয় ম্যাচ বাঁচাতে লড়ছে আর বাংলাদেশ চালকের আসনে! দুই দলের ব্যাটসম্যানদের খেলার ধরনে পার্থক্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাঁহাতি স্পিনার বললেন, পাকিস্তান ‘সেফ ক্রিকেট’ খেলেছে। কিন্তু সেটি কি ইনিংস পরাজয়ের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশেরই খেলার কথা নয়? জয় একরকম নিশ্চিত হয়ে গেছে, ইনিংস ঘোষণারও তাড়া আছে—এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের দুই সেট ব্যাটসম্যানের জুটি কীভাবে প্রথম ইনিংসে ৪৫৯ রানে পিছিয়ে থাকা দলের বলার মতো দুটি জুটি থেকেই রানরেটে পিছিয়ে থাকে! বিস্ময়চিহ্ন বোধ হয় দুটি দেওয়া উচিত।

ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি এসে টেস্ট ব্যাটিংয়ের ধরন অনেক বদলে দিয়েছে। কিন্তু কিছু জিনিস তো বদলানোর নয়। টেস্টে কত রান করলেন, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ সেটি কত সময়ে করলেন। সম্মানজনক পরাজয়ের লক্ষ্যে লড়তে থাকা দলের জন্য তো আরও বেশি। অথচ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ‘কুৎসিত সেঞ্চুরি’র চেয়ে গ্যালারি-বিনোদক দেখনদারি ত্রিশ-চল্লিশের দিকেই যেন বেশি ঝোঁক! আশরাফুলকে এই দোষে দোষী করা যাবে না।

তিনি দাবি করতে পারেন, আমি তো শটই খেললাম না। খেলবেন কীভাবে, তৃতীয় বলেই যে আউট! ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাদ দেওয়ার সময় নির্বাচকেরা লম্বা একটা সময় আশরাফুলকে বাইরে রাখার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছিলেন। বিকল্পদের ফর্ম আরও যাচ্ছেতাই দেখে অনন্যোপায় হয়েই মত বদলাতে হয়েছে তাঁদের। কী প্রতিদানই না দিলেন আশরাফুল! দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম ইনিংসের চেয়েও এক রান কম করলেন। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১ রানই করেছিলেন বলে এর চেয়ে কম করা সম্ভব ছিল না! শাহরিয়ার নাফীসের ব্যাটিং দেখলে যে কারও মনে হবে, ছেলেটার নিশ্চয়ই ট্রেন ধরার তাড়া আছে।

৪৩ মিনিটে ৩৪ বল খেলে দেখনদারি ৫টি চার মারলেন। ৩৫তম বলটিতে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লু। টেস্টের এই পরিস্থিতিতে ৩৫ বলে ২৮ যে ক্রিকেটীয় বোধবুদ্ধিহীনতার প্রমাণ, তাঁর মতো বুদ্ধিমান ছেলের তা না বোঝার কথা নয়। হয়তো বোঝেনও, কিন্তু মাথায় কিছু একটা হয়ে যায়। ও হ্যাঁ, এর মধ্যে স্লিপে ইউনুসের ব্যর্থতায় একটি ‘লাইফ’ও আছে।

আগের দিন ১৪ রানে স্লিপে নাফীস ক্যাচ ছেড়েছিলেন বলেই ইউনুস খান ডাবল সেঞ্চুরিটা পেলেন। কৃতজ্ঞতার একটা ব্যাপার থাকলেও থাকতে পারে! যে চারটি উইকেট পড়ে গেছে, দুটির বর্ণনা বাদ আছে। হাফিজের বল টার্ন করবে ভেবে ছেড়ে দিয়ে বোল্ড তামিম ইকবাল। যাঁর নিষ্প্রভ ব্যাটই বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ব্যাটিংকে এত মলিন দেখানোর আসল কারণ। এই সিরিজে বাংলাদেশের সবচেয়ে ইনফর্ম ব্যাটসম্যান নাসির হোসেন পুরস্কার পেয়েছিলেন ৫ নম্বরে প্রমোশন পেয়ে।

এক ইনিংসেই ব্যর্থতায় হয়তো একটু আগেই বলা হয়ে যাচ্ছে। তবে প্রত্যাশাটা বোধহয় চাপে পরিণত হওয়ার সর্বনাশটা বোধহয় শুরু হয়ে গেছে। বাউন্সারটা ছেড়ে দিলেই চলে, সেটিতে পুল করতে গিয়ে আউট। তাঁর দর্শন অবশ্য ভিন্ন—১০০ বল খেলে ১০ রান করলেও নাকি নিজেকে সেট মনে হয় না, ১০ বলে ২০ রান করলে যা মনে হয়। ক্রিকেট-বিশ্বের সব সেরা স্ট্রোক-প্লেয়াররা মনে হচ্ছে সব বাংলাদেশ দলেই খেলেন! সাকিব তো আরও এককাঠি সরেস।

অপরাজিত আছেন বলে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ৪৪ বলে ৪১ রান পরিস্থিতির দাবি কি না, এটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। ম্যাচ পঞ্চম দিনে গেলে সেটি হবে প্রায় অলৌকিক ঘটনা। বাংলাদেশ ইনিংস পরাজয় এড়াতে পারলে তার চেয়েও বেশি কিছু। পাকিস্তান বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড (আগের সর্বোচ্চ: ৫৪৬/৩ ডিক্লেয়ার্ড, মুলতান, ২০০১) করে ফেলার পরই তো ওটা একরকম নিশ্চিত হয়ে গেছে।

ইনিংস পরাজয় এড়াতে আরও ৩২৫ রান প্রয়োজন। পাকিস্তানের ৫টি উইকেট নিলেই হয়। ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পেয়ে রুবেল শুধু এই টেস্ট ম্যাচই নয়, বেশ কিছুদিনের জন্যই সম্ভবত বাইরে চলে গেছেন। এর আগেই ইউনুসের ডাবল সেঞ্চুরিতে অবদান রেখেছেন রুবেলও। সকালে প্রথম স্পেলে কিছুটা পুরোনো রূপে দেখা দেওয়া শাহাদাতের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ ফেলেছেন।

শাহাদাতের হাততালিটা বোধহয় টিটকারিই ছিল! কিছুক্ষণ পর রুবেলের বলে ফাইন লেগে ইউনুসের ক্যাচটা নেওয়ার চেষ্টাই করলেন না শাহাদাত। সময় যখন খারাপ যায়, দুর্ভাগ্যের একটা মিছিলই শুরু হয়ে যায়। ৪৩ রানে আসাদ শফিককে আউট করেও নো-বল হওয়ায় যেমন উইকেট পেলেন না রুবেল। সৌভাগ্য-দুর্ভাগ্য এসবেরও বোধ হয় বাছবিছার আছে! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।