আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বব্যাংক কি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ........?

জানতে ভালোবাসি,...তাই প্রশ্ন করি... বিশ্বব্যাংক আমাদের দেশে তথা বিশ্বের অনেক উন্নত ও অনউন্নত দেশের বন্ধু হয়ে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে অর্থ বিনিয়োগকারী হিসাবে কাজ করে এবং এটা তাদের ব্যবসাও। আমাদের দেশের পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক ১.২ বিলিয়ন ডলার সহয়তার চুক্তি সই করেছে কিন্তু সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন কি নিয়ে সৃষ্ট দূর্ণীতির জটিলতায় এই টাকা বিশ্বব্যাংক আটকে দিয়েছে। যা যথার্থ ছিল বলে আমি মনে করি কেননা তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ কেন দূর্ণীতিতে অপচয় হবে উপরন্তু আমাদের দেশের একটা বড় রকমের আগাম দূর্ণীতি রোধ করার জন্য বিশ্বব্যাংককে আমরা ধন্যবাদও দিতে পারি। যাই হোক দেরিতে হলেও যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেনকে যোগাযোগ মন্ত্রনালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা মন্দের ভাল বলা যায়।

এখন হয়তো আমরা নতুন যোগাযোগ মন্ত্রীকে নিয়ে নতুন উদ্যমে পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে ভাবতে পারি এবং আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু গতকাল এক সংবাদ সম্মলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কি বললেন আমার বোধগম্য হয় না। কিভাবে একজন প্রধানমন্ত্রী এই সমস্ত বক্তব্য প্রকাশ্যে দিতে পারে? সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) ভিত্তিতে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিপিপির আওতায় বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক টাকা দিলে তা অন্য খাতে খরচ করা হবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন, ‘বিশ্বব্যাংক টাকা ছাড় দিয়েছে? যেখানে টাকাই ছাড় দেওয়া হয়নি, সেখানে দুর্নীতি হলো কীভাবে? এখন বিশ্বব্যাংককেই প্রমাণ করতে হবে, কোথায় দুর্নীতি হয়েছে।

মন্ত্রীকে (আবুল হোসেন) সরিয়ে তাদের সুবিধা করে দিয়েছি। এখন তারা প্রমাণ করুক। ’ প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ অনুমাননির্ভর। দুদক তাদের কাছে তথ্য চেয়েছিল, তারা দিতে পারেনি। তারা ধারণার বশে কথা বলছে।

আমার কথা হচ্ছে বিশ্বব্যাংক কি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ? যে তাদের সাথে এই ভাষা ব্যবহার করে কথা বলতে হবে। দেশের বৃহৎ স্বার্থে নিজেকে কি একটু সামলে কথা বলা যায় না? প্রধানমন্ত্রীতো রীতিমত বিশ্বব্যাংককে উস্কে দিচ্ছেন বা গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে চাচ্ছেন বলে আমি মনে করি। আরে বিশ্বব্যাংক কি আমাদের একদিনের বন্ধু নাকি কি এই প্রথম তারা পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে এসেছে কিংবা আর কোনো দিন বিনিয়োগ করবে না। আর প্রধানমন্ত্রী পিপিপি'র তথা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ এর আওতায় বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের কথা বলেছেন। যদি আমি ভুল না করি তাহলে বলতে পারি এই পিপিপি বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গঠিত হয়েছিল কিন্তু আজ পর্যন্ত এই পিপিপি'র মাধ্যমে কোনো একটি প্রকল্প শুরুই করতে পারেনি আর বাস্তবায়নতো দূরে কথা।

যাই হোক বিশ্বব্যাংককের সাথে এধরনের ভাষা ব্যবহার বা বাক্য ব্যয়ে কার ক্ষতি হবে তা একজন মূর্খ না বুঝলেও আমদের প্রধানমন্ত্রীর বুঝারতো কথা। পরিশেষে প্রধানমন্ত্রীকে বলবো বিশ্বব্যাংককে খালেদা জিয়া বা বিরোধীদল ভাববেন না, বন্ধু ভাবুন আর আপনার সরকারের হয়তো বিশ্বব্যাংককের চেয়ে আবুল হোসেনকেই বেশি দরকার কিন্তু আমাদের দেশের পরবর্তী যে কোনো সরকারের বিশ্বব্যাংককে প্রয়োজন আছে, প্রয়োজন আছে আমাদের দেশের জন্য। তাই না বুঝে দেশের এধরনের ক্ষতি থেকে বিরত থাকুন। সূত্রঃ Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.