আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেন যাব আইনের কাছে ?

কাছাকাছি৯৬ {১}আইনের উরদ্ধে কেউ নেই {২}পুলিশ জনগণের সেবক{৩}দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে পুলিশের ভুমিকা অনস্বীকার্য । এই সব কথা বার্তা তো শুনে আসছি,জন্ম অব্দি । এখন প্রশ্ন {১} দেশের প্রতিটি সরকার কি আইনের উরদ্ধে থেকে যাচ্ছে না ? {২}পুলিশ কি সেবার বদলে জনগণকে লুটে খাচ্ছে না ?{৩}দেশে শান্তির বদলে- পুলিশ কি বিশৃংখলা বাড়িয়ে দিচ্ছে না ? । এই প্রশ্ন থাকলো জাতির বিভেকের কাছে । আমরা যারা সাধারন মানুষ , তারা কি পুলিশের নিকট সেবা পাচ্ছি ? আর যদি সেবাই পেতাম – তা হলে আজ আমরা অতি উৎসাহের সাথে কেনই বা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছি ? এটি নিশ্চয় ভেবে দেখার সময় এসেছে এখন ।

আজ কাল কি–পুলিশ সাধারন মানুষকে সেবা দিতে এগিয়ে আসছে ? পুলিশ দ্বারা কি সাধারন মানুষের সমস্যা সমাধান হচ্ছে ? টাকা ছাড়া পুলিশ এক পা নরছে কি ? নিশ্চয় না । সুতরাং আইনের কাছে যাওয়া মানে বিপদ থেকে মুক্তির বদলে নিজের বিপদ নিজ হাতে বাড়িয়ে নেওয়া । অর্থাৎ {খাল কেটে কুমির আনা’}র- সমতুল্যই বটে । দরুন আমি কারো নিকট প্রতারিত হলাম,যেমন কেউ আমার নিকট থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার নিল/আমি বিদেশে যাওয়ার জন্য টাকা জমা দিয়ে কারো নিকট প্রতারিত হয়েছি । সাক্ষী প্রমান থাকা সত্বে ও স্থানীয় ভাবে সমাধানের হাজার চেষ্টা করে ও যখন ব্যর্থ ।

তখন আইনের আশ্রয় নেওয়ায় বাঞ্ছনীয় । কিন্তু আইনের আশ্রয় নেওয়ার ক্ষেত্রে,প্রধান বাঁধা তো পুলিশ নিজেই। কারন’ যদি মামলা করতে যায় – কম করে হলে ও পুলিশকে দিতে হবে চার- পাঁচ হাজার টাকা । দারগা তদন্ত করতে গেলে তাকে ও দিতে হয় টাকা । বাদী আসামি ধরাতে গেলে ও পুলিশকে তেল ও চা পান বাবত খরচ দিতে হবে তিন – চার হাজার টাকা ।

আসামি ধরুক বা নাই ধরুক । অথচ তেলের খরচ মেটানো হয় রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে । আবার কখনো দেখা যায়,পুলিশ আসামি পক্ষের সাথে ও একটা রফা করে নিচ্ছে । বিনিময়ে তারা আসামিদের ধরতে যাওয়ার পূর্বেই আসামিদেরকে অভিযানের সময় ও তারিখ জানিয়ে দেন । যার ফলে আসামিরা সময় মত সরে যেতে সক্ষম হয় ।

এতে করে প্রতিটি অভিযানেই হয় ব্যর্থ । আর এভাবে দেখা যায়,পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে আনতে গিয়ে - মাস দুই মাসে পুলিশের পেটে মজাতে হচ্ছে আরও পঞ্চাশ হাজার টাকা । এতে করে লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণটায় বেশী দাড়াচ্ছে । এ সবই বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা- কল্পনার আশ্রয় হাজার মাইল দূরে নেই । এই সব সত্য জানার পর বলতেই হয়,{কেন যাব আইনের কাছে ?}তবে পুলিশের অসহযোগিতা ও দুর্নীতির শেষ কোথায় কে জানে ? কিন্তু এই দ্বারা অব্যাহত থাকলে,সাধারন মানুষ অচিরেই আইনের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবেন ।

যার ধরুন আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবনতা সমাজে দ্রুত বৃদ্ধি পাবে । এবং দেশ নিমজ্জিত হবে চরম অন্ধকারে । এই অন্ধকার থেকে জাতিকে মুক্তির আলো দেখাতে,এদেশে কোন ন্যায় পরায়ণ শাসকের আবির্ভাব হয় কিনা এটিই এখন দেখার বিষয় । ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ  প্রত্যেক কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ্‌ বলুন ।  নিজে নামাজ পড়ুন,এবং অন্যকে নামাজ পড়তে উৎসাহিত করুন ।

 মাদক থেকে দূরে থাকুন ।  গাছ লাগান,পরিবেশ বাঁচান ।  দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হোন ।  বাল্য বিবাহ রোধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন ।  যৌতুক এই সভ্যতার একটি কুলষিত অধ্যায়ের সূচনা,যৌতুককে না বলুন ।

 নাড়ি ও শিশু নির্যাতন রোধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন ।  আপনার সন্তানকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি, ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলুন ।  জিকির মানুষকে অশালীন কথা বার্তা থেকে বিরত রাখে, কলবকে সচ্ছ রাখে, স্রষ্টার সাথে সন্ধিত্ব সৃষ্টি করে- আসুন সর্বদা জিকিরের সাথে চলি । ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ ঃঃঃঃঃঃ ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।