আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কখন যে ভালবেসেছি তোমাকে !! শেষ পর্ব)

আমার চোখে ঠোটে গালে তুমি লেগে আছো !! ২য় পর্ব তারপর সেই একই কাহিনী । দেখা করা । ঘন ঘন দেখা করা । ফোনে কথা বলা । রাতের পর রাত কথা বলা ।

একসময় আই লাভ ইউ বলা । অন্য দের বেলায় আমিই বলতাম কিন্তু এবার অনুশেখা বলল । খুব সুন্দর ভাবে বলল । আমরা সেদিন বসুন্ধারার কাশবনে গিয়ে ছিলাম । চারিদিকে শুভ্র কাশফুল ।

তার মাঝে আমরা দুজন বসে । ও কি যেন বলতে চাচ্ছিল । আমি বুঝতে পারছিলাম ও কি বলবে । তবুও বললাম “তুমি কি বলবা আমাকে ! তোমার মুখ দেখে মনে হচ্ছে কিছু বলতে চাও” । “তুমি বুঝো না কি বলতে চাই” ।

“কি?” ওর চোখের দিকে ভাল করে তাকাই । “কোথায়? কি বলতে চাও বলো প্লিজ” । ও খানিকটা যেন মুখ কালো করলো । অন্য দিকে তাকালো । আমি ওকে ধরে আমার দিকে ঘুরালাম ।

বললাম “প্লিজ বলো” । ও কিছুক্ষন আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকলো । আমি খুব অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম ওর চোখে পানি জমতে শুরু করেছে । কি অদ্ভূদ সুন্দর সেই দৃশ্য ! “অপু আমি জানি না এটাকে সত্যিই ভালবাসা বলে কি না কিন্তু দিনের একটা মুহুর্তও আমি তোমার কথা চিন্তা না করে থাকতে পারি না । আমার মনে হয় আমি তোমার প্রেমে পড়েছি” ।

আমি হাসলাম । “মনে হয়? সিওর না?” এবার অনুশেখার চোখ দিযে টুপ করে পানি গড়িয়ে পড়ল । “যাও তুমি একদমই সিরিয়াস না । আমি আমি ....” ও উঠে যেতে চাইল । আমি ওর হাত ধরে আটকালাম ।

“অনু কোথায় যাও ? বস বাবা, আমি সিরিয়াস । সত্যি । “ অনুশেখা বসল । আমি ওর চোখ মুছে দিলাম । বললাম “তুমি আজকে বললে ।

তুমি যে দিন থেকে আমার প্রেমে পড়েছ আমি সেদিন থেকেই জানি। তোমার চোখ দুটো আমাকে চিত্কার করে বলেছে যে I LOVE YOU . আর আমিও তোমাকে ভালবাসি । অনেক আগে থেকেই তোমাকে ভালবাসি । ভালবাসি । “ তারপর তারপর থেকে আমাদের দিন গুলোর যেন রঙিন হয়ে উঠল ।

আমি সাধারনত একটা মেয়ের সাথে খুব দিন থাকি না । কিন্তু অনুশেখার সাথে অনেকদিনের রিলেশন হয়ে গেল । তাহলে কি আমি ওর উপর সত্যি সত্যি ফল করেছি ? নাহ্ ! এরকম হলে হবে না । তারপর ওর কাছ থেকে বড় কিছু হাতানোর চেষ্টা করলাম । এবং খুব সহজেই তা হয়েও গেল ।

ওর কাছ থেকে প্রায় লাখ টাকার নেকলেসটা হাতিয়ে নিলাম । এখন গায়েব হবার পালা । কিন্তু আমি কিছুতেই ওর কাছ থেকে গায়েব হতে পারলাম না । ওর ঐ নেকলেসটাও মেরে দিতে মন সায় দিলো না । ওকে না দেখে থাকতেও পারলাম না ।

প্রতি দিন ওর সাথে দেখা হয় কথা হয় । কিন্তু কি হল জানি না কাল রাতে ওকে ফোন করে সব কিছু সত্যি সত্যি বলে দিলাম । আর আজ সকালে নেকলেসটা ফেরত্ দিতে এসে এই বিপত্তি । ভদ্রলোক বেশ জোড়েই চড়টা মেড়েছে । এখনও ব্যাথা করছে ।

একা একা হাটছি আর অনুশেখার কথা ভাবছি । ও কি এখনও আমাকে ভালবাসবে ? নাকি ঘৃণা করবে ? যদি ঘৃণা করে তাহলে ? ওকে না দেখে কিভাবে থাকবো ? কিভাবে দিন কাটবে ? কিন্তু যদি ও আমাকে ঘৃণাই করবে তাহলে ওর চোখে পানি ছিল কেন ? ও আমাকে এখনও ভালবাসে । এখনও বাসে । আমার মন বলছে ও আমাকে ভালবাসে । ওর চোখ বলছে যে ও আমাকে ভালবাসে ।

আর.... যদিও এখনও আমার বিশ্বাস হচ্ছে না তবুও আমাকে স্বীকার করতেই হচ্ছে যে আমি সত্যি সত্যি অনুশেখার প্রেমে পড়ে গেছি !! আমি জানতাম অনুশেখা আমাকে ফোন করবে কিন্তু এতো জলদি ভাবিনি । পরদিন ওর ভার্সিটির সামনে এসেছি ওকে দেখবো বলে । এমন সময় অনুশেখার ফোন । ফোন রিসিভ করার পরও ও কোন কথা বলে না । আমিও চুপ ।

কি বলব ভেবে পাই না । কেবল ওর নিঃস্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছি । কতক্ষন চুপ ছিলাম জানি না ও ই আগে মুখ খুলল । বলল “কাল রাতে আমি একটুও ঘুমাতে পারি নি । কতবার চেষ্টা করলাম তোমাকে ঘৃণা করতে ।

একটুও পারি নি । একটুও না । তুমি আমার সাথে যা ই করনা কেন যে ভাবে আমাকে নিয়ে খেলা করনা কেন আমিতো তোমাকে সত্যি ভালবেসেছিলাম । একে বারে মন থেকে । আমি কিভাবে তোমাকে ভুলে যাবো? বল? কিভাবে তোমাকে ঘৃণা করবো বল?” আমি কি বলব খুজে পাচ্ছি না ।

কি বলা উচিত্ তাও জানি না । খুব বলতে ইচ্ছা করছে যে আমিও সত্যি তোমাকে ভালবাসি । কিন্তু একথা কি ও বিশ্বাস করবে ? “আমার মন কি বলছে জানো? কি আমি জানতে চাই । তুমি আমার আশে পাশে আছো । তুমি আমার কাছা কাছি থাকলে এই ফিলিংসটা আমার সব সময় হয়” ।

আমি খানিকটা অবাক হলাম । আমি এখানে এসেছি ওর জানার কথা নয় । ও কিভাবে বুঝল ? “অনুশেখা আমি তোমার ভার্সিটির সামনে” । “সত্যি?” কিছুক্ষন পরেই ও চলে আসল । ওর চোখ ফোলা ফোলা ।

রাতে কেঁদেছে অনেক । ও আমার সামনেই দাড়িয়ে । কিছু বলতে যাবো এমন কোথা থেকে যেন একদল টোকাই এসে আমাকে ঘিরে ধরল । “স্যার আইসক্রিম খামু স্যার । সেই দিন খাওয়াই ছিলেন ।

আইজাকাও খাওয়ান স্যার” । আমি ওকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম "বিশ্বাস কর আমি আজ এ সব ঠিক করি নি । সত্যি বলছি । বিলিভ মি" অনুশেখা হেসে ফেলল । “আমি জানি” ।

আমার আরো খানিকটা কাছে এসে বলল “তবে আজ থেকে কথা দাও আমার সাথে তুমি আর কখনও মিথ্যা কথা বলবা না । প্রমিজ মি” । আমার সত্যি বিশ্বাস হচ্ছিল না যে অনুশেখা আমাকে মাফ করে দিচ্ছে । সত্যি কি এটা হচ্ছে ...... (সমাপ্ত) (বি: দ্র: গল্পের শেষটা পড়ে হয়তো অনেকের ভাল লাগবে না । কিন্তু আমি কেবল ভালবাসায বিশ্বাস করি ।

সত্যিকারের ভালবাসায় সব সম্ভব । ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।