আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশ ও দুই ভাগ হোক, প্রধানমন্ত্রীও দুই জন হোক

সংসদে আইন পাশের মধ্য দিয়ে ৪০০ বছরের পুরনো ঢাকাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। সরকারকে সাধুবাদ জানাই এই বিভক্তির জন্যে। সরকারের চিন্তাভাবনা অত্যন্ত মহত্‍। দুই ভাগ হলে দুই প্রান্তের মানুষ সহজে সেবা পাবে এই চিন্তাভাবনা থেকেই সরকার এই বিভক্তি করেছে। তাই সরকার সাধুবাদ পেতেই পারে।

কেন খামোখা বুদ্ধিজীবি এবং কিছু পাবলিক এর বিরোধীতা করছে বোধগম্য নাহ। এরা বোধকরি দেশের মঙ্গল চায়না। এই বিরোধীদের মুখে চুন কালি দেওয়ার জন্যে আমি আরো একটা দাবি করতে চাই। এমন সহজ সেবা পাওয়ার জন্যে দেশটাও উত্তর দক্ষিনে দুই ভাগ করা হোক। প্রধানমন্ত্রী,মন্ত্রীপরিষদ ও দুইটা হোক।

এত বড় দেশে দুই প্রধানমন্ত্রী হলে জনগনের উপকারই হবে। জনগনের সুবিদার্থে দুই প্রধানমন্ত্রী এখন সময়ের দাবী। তাতে দুই নেত্রীকে দুই দিকের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমরা পেতে পারি। এতে জনগনের উপকার হোক বা না হোক অন্তত রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে দেশ কিছুটা মুক্তি পাবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা কেটে গেলে পরে আপনা আপনিই দেশের উন্নতি হবে।

এই দেশের উন্নতির পথে সবচেয়ে বড় বাধা এই রাজনীতি। সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে তাদের নীতি পরিবর্তন হয়। সব কিছুতেই সামগ্রিক পরিবর্তন আসে । তাই দেশটাও একজায়গাতেই স্থির হয়ে থাকে। ঢাকা ভাগের ফলে কিছু অসুবিধার কথা বলছে বিরোধীরা ।

সেই গুলো একটু লিখতে চাই এখানে। তারা বলছে উত্তরের ঢাকা অনেক বেশি সমৃদ্ধশালী। অন্যদিকে দক্ষিন ঢাকা পশ্চাত্‍পদ জনপদ হিসেবে গড়ে উঠেছে। উত্তরে সম্পদশালী রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাবশালীদের অবস্থানের কারনে ওই অংশে রাজস্ব আদায়ও বেশি হবে। দক্ষিন ঢাকাতে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র এবং সুবিধাবঞ্চিতের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এখানে রাজস্ব আদায় ও কম হবে।

উত্তরে প্রভাবশালীদের অবস্থানের কারনে বিভিন্ন উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধাও বেশি বাস্তবায়ন হবে। সেই তুলনায় দক্ষিন ঢাকা পিছিয়ে থাকবে। এমনিতেই ডিসিসি অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জর্জরিত। এখন সেই দুর্নীতি আর অনিয়ম দুই অংশে বিকেন্দ্রীকরন হবে বলেই ধারনা করছেন তারা। সমন্বয়হীনতার কথাও বলছেন তারা।

এগুলো কোন ব্যাপারই নাহ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন দেশটা ও দুই ভাগে বিভক্ত করে জনগনের সহজ সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করুন। ০৮। ১২। ২০১১ ঢাকা ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।