আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১০ই মহরম বা আশুরার তাৎপর্য

রোলেন মহান আল্লাহ তায়ালা মহাকুশলী ও মহা বিজ্ঞানী। তিনি তাঁর কুদরতী শক্তি দ্বারা অলৌকীক ভাবে এ বিশ্ব জগৎ ও ইহার মধ্যকার বস্তু সমূহ সৃষ্টি করেন। মানুষকে করেন সৃষ্টির সেরা জীব। অতঃপর নবী মোহাম্মদ (সাঃ) এর নিকট পবিত্র কোরআন মাজীদ নাজীল করে তাঁর কুদরতের নানাবিধ রহস্য প্রকাশ করেছেন। (১০ই মহররম) এমনি এক রহস্যময় ও ঘটনা বহুুল দিবস।

সুতরাং এই দিবসটি যেমনি ইবাদতের তেমনি শিক্ষা গ্রহন করার মত তাৎপর্যপূর্ণ। এ দিবসে মহান আল্লাহ এ বিশ্ব জগৎ সৃষ্টি করেন। এ দিবসে হযরত আদম (আঃ) এর প্রার্থনা মঞ্জুর করা হয়। এ দিবসে হযরত নূহ (আঃ) এর কিস্তি মহা প্লাবন শেষে জমিনে লাগে। নবী আইয়ুব (আঃ) রোগ থেকে মুক্তি লাভ করেন, এ দিনে ইউনূছ (আঃ) মাছের পেট থেকে মুক্তি পান, এই দিবসে হযরত মূছা (আঃ) তাঁর অনুসারীদের কে নিয়ে ১২টি অলৌকিক ভাবে তৈরী হওয়া রাস্তা দিয়ে নীল নদ পার হন এবং ফেরাউন তাঁকে তাড়া করতে গিয়ে নদীতে স্ব-দলবলে ডুবে মারা যায়।

এ দিবসে হযরত ইসা (আঃ) জন্মগ্রহণ করেন। সর্বশেষ ইসলামের ইতিহাসে কারবালার ঘটনা এক গুরুত্ব পূর্ন অধ্যায়ের সৃষ্টি করে এই দিনে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রাঃ) অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ইয়াজিদের বশ্যতা স্বীকার না করে এক অসম যুদ্ধের মাধ্যমে ৬১হিঃ ১০ই মহররম আত্মবিসর্জন দিয়ে শাহাদাৎ বরন করেন। যাহা এক বিরল দৃষ্টান্ত। অতএব, আসুন আজকের এই দিনে, আমরা মহান আল্লাহর অলৌকিক কুদরত ও শক্তির প্রকাশ অনুধাবন করে তাঁর ইবাদতে মগ্ন হই এবং অবনত মস্তকে বলতে থাকি এক আল্লাহ ব্যাতিত ইবাদতের উপযুক্ত অন্য কোন মাবুদ নেই।

অপরদিকে ইমাম হোসাইনের ত্যাগ আমাদেরকে এই শিক্ষা দেয় যে, আমরা যেন কোন ক্রমইে সময়িক স্বার্থের আশায় অন্যায় ও অবৈধ কিছুর সাথে আপশ না করি এবং ন্যায় ও সত্যর জন্য যেন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকি, তবেই স্বার্থক হবে মানব কুলে আমাদের জন্ম। “আমিন” আল্লাহ হাফেয ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।