আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রি-অ্যানাউন্সড এবং অ্যারেঞ্জড নাশকতা মিডিয়ার কাভার ......

প্রি-অ্যানাউন্সড এবং অ্যারেঞ্জড নাশকতা মিডিয়ার কাভার করা উচিত কি না এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। সব মিডিয়াকে একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে কোথাও নাশকতা হবে, নাশকতাকারী এটা জানানোর পর ওই বোমা মারার, বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা কাভার করার জন্য রিপোর্টার/ ক্যামেরাম্যান পাঠানো হবে নাকি ইগনোর করা হবে। এরকম ঘোষিত নাশকতা যতো কাভার করা হবে, ততোই বাড়বে নাশকতার ঘটনা। গণমাধ্যম সেই দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেবে কি না সেই সিদ্ধান্ত এখনই নেওয়া উচিত। আফটার অল, গণমাধ্যম নাশকতার প্রচার মাধ্যম হতে পারে না; সেটা যেই সরকারে থাকুক অথবা বিরোধীদলে।

পাশাপাশি এটাও ভাবা উচিত, মানুষ এখন বুঝতে পারছে মিডিয়াকে জানিয়ে অনেক নাশকতা হচ্ছে। তাই এরকম কোনো ঘটনার পর মানুষ যদি মিডিয়াকে উস্কানির অভিযোগে অভিযুক্ত করে তাহলে তাদের দোষ দেওয়া যাবে না। নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থেও তাই এরকম অ্যানাউন্সড নাশকতার কাভারেজ থেকে দূরে থাকা উচিত। কয়েকদিন পর টেলিফোন ট্র্যাক করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও মিডিয়াকে অভিযুক্ত করতে পারে। সংবাদকর্মীদের এরকম চতুর্মুখী আক্রমণের মুখে ঠেলে দেওয়া ঠিক হবে কি না মিডিয়া ব্যবস্থাপনাকে সেই সিদ্ধান্ত এখনই নিতে হবে।

শুধুমাত্র মিডিয়াকে জানিয়ে যেসব নাশকতা করা হচ্ছে সেক্ষেত্রে এই বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ রইলো। সভা-সমাবেশ-হরতালে মারামারি-কাটাকাটির ঘটনা এদেশে পুরনো। আমরা চাই বা না চাই, রিস্ক থাকলেও বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে ওইরকম সহিংসতা আরও অনেকদিনই কাভার করতে হবে, হয়তো। ” তবে সাংবাদিককেই নিশ্চিত করতে হবে, জামায়াত-শিবির যাতে তাদের কায়েমী স্বার্থ উদ্ধারে সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করতে না পারে ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।