আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার বোকামি

পৃথিবীর কাছে তুমি হয়তো কিছুই নও, কিন্তু কারও কাছে তুমিই তার পৃথিবী" বোকামি করলে কি কারো ভালো লাগে? না চাইলেও জীবনে অনেক বোকামি করেছি। তবে এটা সত্যি, মাঝে মাঝে বোকামি করেও অনেক আনন্দ পাওয়া যায়। এরকম দুটো গল্প বলি। প্রথম বোকামিঃ তখন অনেক শীত। লেপ থেকে বেরুতেই মন চায়না।

অথচ বাড়ির সবার উপর কড়া সামরিক আইন জারি করেছে আম্মু। তাঁর বক্তব্য হল যত শীত হোক না কেন গোসল করতেই হবে। আমি তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি। সামনে বৃত্তি পরীক্ষা। স্কুলে তেমন যাইনা।

সকাল বিকাল কোচিং করি আর বাসায় থাকি। আমার মা চাকরি করে, বাসায় ছিলনা। উঠোনে পাশের বাড়ির আন্টি রান্না করে গেছে। চুলো একদম গরম। আমি ও চুলোতেই পানি গরম করব।

এর আগেও দুদিন করেছি। আম্মু বলে দিয়েছে, পানির যখন শোঁ শোঁ শব্দ শোনা যাবে তখন বুঝবি পানি গরম হয়েছে। গত দিনগুলোর মত আজও আমি চুলোতে খড়ি দিয়েই যাচ্ছি এমনিতেই একটু বেশিই দিই, মজা লাগে। কিন্তু পানির শব্দের কোনো নামগন্ধ নেই। শেষমেশ আমি ঢাকনাটা উঠিয়ে দেখি, ভেতরে পানিই দিইনি।

বোকামি নম্বর টুঃ তখনও আমি ফাইভে। আর খুব গাছ-প্রেমিক ছিলাম। নতুন বাসায় উঠেছি। বাসায় একটা সুন্দর বেলকুনী আছে। টবে আমার কিছু ঘাসফুলের গাছ ছিল।

ওগুলো বেলকুনীতে নিয়ে রেখেছি। বারবার দেখতে যাচ্ছি, মনটা ভরে যাচ্ছে। হঠাৎ দেখি বেলকুনীতে চাঁদের আলো আসছে। ভাবলাম চাঁদের আলো দেখে আমার যদি এত ভালো লাগতে পারে তাহলে গাছগুলোরও লাগবে। টবগুলোকে সরিয়ে আলোর মাঝামাঝি করলাম।

ভাবতে লাগলাম চাঁদের আলো পেয়ে ওরা খুশি হয়েছে। ধীরে ধীরে ওদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। (কী অদ্ভুত চিন্তা!) যা-ই হোক, চাঁদের আলো বেলকুনীতে আসছে ভাবতে ভাবতে তাকালাম চাঁদের দিকে। চাঁদে নাকি বুড়ি আছে, যে সুতা কাটে। ওমা, একি! এটা তো লাইটপোস্টের আলো!! সূত্র: মুক্তকণ্ঠ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।