আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃত্তিকা (প্রথম প্রকাশনা- গ্রীষ্ম সংখ্যা) : সম্পাদকীয়

আমরা শুধু আপন মানুষ খুঁজি, আপন মানুষদের খুঁজতে হয় না, তারা পাশেই থাকে !! “শুভ নববর্ষ” চৈত্রের দাবদাহ শেষে জীবনের সকল জরাজীর্ণ দূর করে প্রকৃতিতে যখন বৈশাখের আগমনি বার্তা, তখন কৃষি অনুষদের একমাত্র ম্যাগাজিন “মৃত্তিকা” এর প্রথম সংখ্যা আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। মাত্র ক’দিন আগে “কৃষি অনুষদ ছাত্রসমিতি” নামে কৃষি অনুষদের সর্বজন স্বীকৃত একটি সংগঠনের আবির্ভাব। সাংগঠনিকভাবে এই সমিতি “মৃত্তিকা” প্রকাশের মাধ্যমে আরো শক্তিশালী হল। কৃষি অনুষদ থেকে একটি ম্যাগাজিন করার চিন্তা মাথায় আসার পর আমরা কয়েকজন উদ্যমী ও উদ্যোগী শিক্ষার্থী দারুণভাবে উৎসাহিত হই। কৃষি অনুষদ ছাত্রসমিতি’র কাছে আমাদের ইচ্ছা প্রকাশ করলে তারাও অত্যন্ত আগ্রহের সাথে রাজী হয়।

বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর সারা ক্যাম্পাসেও অভাবনীয় সাড়া পাওয়া যায়। কৃষি অনুষদ ছাড়াও অন্যান্য অনুষদ এমনকি ক্যাম্পাসের বাইরের অনেক সাহিত্য অনুরাগীরা আমাদের ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশের ইচ্ছা পোষণ করে। শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকারা লেখা জমা দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক ও মানসিকভাবে সহায়তার আশ্বাস দেন। এতে আমরা আরো বেশী অনুপ্রাণীত হই। “মৃত্তিকা” প্রকাশের খবর শুনে উপাচার্য মহোদয়, পরিচালক ছাত্র পরামর্শ মহোদয়, কৃষি অনুষদের ডীন মহোদয় আমাদের প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তাও আমাদেরকে সহায়তা করেছেন এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। আমরা আরও কৃতজ্ঞ, সিলেটের বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক শুভেন্দু ইমাম, লেখক ও গবেষক সুমনকুমার দাস, ছড়াকার বশির আহমেদ জুয়েল প্রমুখ ব্যক্তিবর্গের কাছে। এছাড়া দৈনিক ইত্তেফাকের ফখরুল ইসলাম, দৈনিক প্রথম আলো’র উজ্জল মেহেদী, দৈনিক যুগান্তের সংগ্রাম সিংহ, বিশিষ্ট শিল্পী ফেরদৌস আরা’র সহায়তাও ভুলার নয়। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতি যারা আমাদের ম্যাগাজিনে বিজ্ঞাপন দিয়ে সহায়তা করেছেন। তবে আমরা সবচেয়ে বড় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি “মৃত্তিকা’র” লেখকদের প্রতি।

যারা সুন্দর সুন্দর লেখা দিয়ে আমাদের ম্যাগাজিনটিকে সমৃদ্ধশালী করেছেন। লেখা ছাপানোর ক্ষেত্রে আমরা কৃষির প্রচার ও প্রসারের পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যের সকল শাখাগুলোকে একত্র করার চেষ্টা করেছি। মানবতা, প্রেম-বিরহ, শিল্প-সংস্কৃতি, সামাজিক সচেতনতা সহ সাম্প্রতিক বিষয়ের অনেক লেখা “মৃত্তিকায়” ছাপা হয়েছে। কয়েকটি ইংরেজী লেখা “মৃত্তিকা”কে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশ।

আমরা হলাম ভবিষ্যতের কৃষিবিদ। কৃষিকে আরও আধুনিকায়ণ ও প্রযুক্তিশীল করে আমরাই শ্যামল বাংলাকে সোনার বাংলা বানাবো। দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির চেতনা মনে লালন করে আমরা হবো জাতির কান্ডারী। “মৃত্তিকা" পরিবারের পক্ষ থেকে রইল আন্তরিক অভিনন্দন। পাঠকের সুস্থ-সুন্দর জীবনের প্রত্যাশায়- সম্পাদক  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।