আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধূমপান- একটি রোমান্টিক নাম

মনের কথা void(1);void(1); -ধুমপান- শব্দটি আজকের তরূণ সমাজে একটি রোমান্টিক নাম। আজকের সমাজে ভালবাসা বা প্রেম করাটা যেমন জরুরী হয়ে পড়েছে। ঠিক তেমনি ধূমপান করা অর্থাঁৎ সিগারেট খাওয়াটাো অবশ্যক হয়ে পড়েছে। মানব সমাজে অনেক ধ্বংসকারী নেশা রয়েছে। একেক নেশার ধরণ একেক রকম।

কোন কোন নেশা আছে যেগুলো পান করলে নেশায় বলে দেয় তার পরিচয় কি। কিন্তু সিগারেটের নেশা এমন একটি নেশা, যেটা বয়স্ক মানুষ থেকে শুরু করে আজকে তরূণ সমাজে সিগারেট খাওয়াটা হচ্ছে নিজেকে Smart দেখানোর একটা পন্থা হয়ে পড়েছে। কিন্তু দেখা যায় -দেথতে দেখতে এর পরিণতি নেশায় গিয়ে দাড়ায়। ধূমপায়ীদের মূখে দুমুঠো ভাত জুটুক বা নাই জুটুক সিগারেটের জন্য পাগলামুটাও কম নয়। অনেকে আবার একটি সিগারেট জ্বালিয়ে একটু খেয়ে কিছু অংশ যাকে বলে - বিড়ির চুট্ঠি –অপর ব্যাক্তিকে খেতে দেয়া হয়।

এই রকম করলে নাকি বন্ধুত্ব বা সম্পর্ক গাড় হয়। এই রকম নেশার জন্য বড়, ছোট কিছু ভেদাভেদ থাকে না। নেশাগ্রস্ত মানুষ নেশা করার জন্য নিজেকে নীচে নামিয়ে দেয়, একেবারে নির্লজ্জ হয়ে পড়ে। আমি অনেক শ্রেণীর ধূমপায়ি লোকজনকে প্রশ্ন করেছি- ধূমপান কিসের জন্য পান করেন। – একেক জন একেক ভাবে উত্তর দিয়েছে।

কিন্তু আমাকে সবচেয়ে অদ্ভুত লেগেছে এই প্রশ্নটির যেটা হল- ধুমপান করলে নাকি- মনের চিন্তা(Tension)কমে চায়, একাত্তবোধ আর থাকে না। আচ্ছা আপনি ভেবে চিন্তে বলেনতো- সিগারেট খেলে কি টেনশন দূর হয়। আসলে কথাটা ভুল- সঠিক হচ্ছে সিগারেট মানুষকে খাওয়ায় না বরং সিগারেটের ধোঁয়ায় মানুষকে খাওয়ায়। আপনি একটু ভেবে দেখুনতে আপনি যদি একটি চকলেট খান তবে এর টক-ঝাল-মিস্টি> অনুভব করতে পারবেন বা বুঝতে পারবেন জিনিসটি কমেন স্বাদ। কিন্তু একটি সিগারেট খেয়ে আমার মনে হয় সিগারেট থেকে ধোঁয়া ছাড়া আর কোন কিছু পাওয়া যায় না।

নেই কোন এর স্বাদ। এমনকি দেখা যায় খাবার সময় যদি তরকারীতে লবণ কম বা লবণ দেওয়া না হয় তবে সেই খাওয়াতে কোন মজা থাকে না কিন্তু যারা ধুমপায়ীরা আছে তারা শুধু নিজের বুদ্ধিতে নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে সিগারেট খায় না। আসোলে তারা খায় অপরের দেখে, কিংবা পাগলের মত। কোন চিন্তা ভাবনা করে শুধু খায় আর খায়। কারণে বিনা কারণে......... আনেকে বলে ধূমপান বর্জন করা নাকি কঠিন কাজ।

কিন্তু আমার মনে হয়, ধূমপান ত্যাগের জন্য ব্যক্তিগতভাবে সর্বাগ্রে প্রয়োজন নিজের ইচ্ছাশক্তি। তবেই ধূমপানের মত বাজে অভ্যাসকে ছাড়ানো কোন ব্যাপারই নয়। কাজেই আসুন ধূমপান-বর্জন কির সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবন যাপন করি। এখন থেকেই..........................ধূমপানকে না বলুণ। [ আমার লিখাতে যদি কারো মনে আঘাত বা দু:খ দিয়ে থাকে তবে আমাকে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন ] ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।