আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যদি নিজের দেশকে এতটুকুও ভালবেসে থাকেন তাহলে একটু লক্ষ্য করুন।

A successful man is one who can lay a firm foundation with the bricks others have thrown at him. ফারাক্কা বাঁধ হলো গঙ্গা নদীর উপর অবস্থিত একটি বাঁধ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় এই বাঁধটি অবস্থিত। ১৯৬১ সালে এই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ১৯৭৫ সালে। সেই বছর ২১ এপ্রিল থেকে বাঁধ চালু হয়।

ইন্ডিয়া পরীক্ষামূলকভাবে ৪১ দিনের জন্য ফারাক্কা বাধ চালু করে, কিন্তু তাদের ৪১ দিন আজও চলছে . . . ফারাক্কা পরবর্তি সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গঙা নদীর (পদ্মা) প্রবাহে চরম বিপর্যয় ঘটে। প্রবাহ কমে যাওয়ায় নদীর নাব্যতা কমে যায়। ফলে বাংলাদেশকে বর্তমানে প্রায়ই বড় বন্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বাংলাদেশের গড়াই নদী এখন সম্পূর্ণ ভাবে বিলুপ্ত। পদ্মা নদীও আজ মৃত ! উত্তাল পদ্মার গর্জন আর শোনা যায় না ! দেশের অভ্যন্তরের ৮০টি নদী শুকিয়ে গেছে এবং ১৭টি নদীর মৃত্যু ঘটেছে!! ফারাক্কার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের প্রতি বছর ক্ষতির পরিমাণ ৪ বিলিয়ন ডলার।

মানে গড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা। আর অন্য এক হিসাব মতে, ফারাক্কা বাঁধের কারণে ৩৬ বছরে বাংলাদেশের ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪শ কোটি টাকার সরাসরি ক্ষতি হয়েছে!! অর্থাৎ ফারাক্কার কারণে প্রত্যক্ষ যা ক্ষতি হয় পরোক্ষ ক্ষতি তার ছয়গুণ!! ফারাক্কা নিয়ে এতকিছু বলার কারন আমরা আরেকটি ফারাক্কা চাই না। আমরা টিপাইমুখ বাঁধ চাই না। “ টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ করা হলে মহাবিপর্যয়ে পড়বে বাংলাদেশের আটটি জেলা। এবং পাঁচ কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকাও হুমকির মুখে পড়বে ” ভারত কখনও কথা রাখেনি, ভারত কখনও কথা রাখেনা, ভারত কখনও কথা রাখবেনা।

মনে রাখবেন, আমাদের মাকে আমাদেরই বাঁচাতে হবে। আমাদের দেশ আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। বাইরের দেশের কেউ এসে রক্ষা করে দিয়ে যাবে না। দেশের স্বার্থে একাত্ম হোন... আগামী ২ ডিসেম্বার, ২০১১, শুক্রবার বিকাল ৪টায় ঢাকার প্রেসক্লাবের সামনে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে বিশাল বিক্ষোভ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। দলে দলে যোগ দিন এই বিশাল বিক্ষোভ মানব বন্ধনে।

এই মানব বন্ধন কোন রাজনৈতিক মানব বন্ধন নয়। [ সংগ্রহ ] বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন ঃ Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।