আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারত ভ্রমন

তৃত্বীয় পর্ব শিলীগুরি টু দিল্লী পুরো শহরটাই যেন মাএ উন্নতির ছোঁয়া পেয়েছে। অনেকটা আমাদের চট্টগ্রাম শহরের মত। তবে দেখার কিছু তেমন পেলাম না। হংকং মার্কেট নামে সেখানকার বিখ্যাত মার্কেট আছে যেখনে ছেলেদর জুতা,মেয়েদের শাড়ী ,মেয়েদের অন্যন জিনিস, ইত্যাদি সস্তায় পাউয়া যায়। সেখানেও আপনি বাংলায় কথা বলতে পারবেন কারন তারা বাংলা ভাষাতেই কথা বলে।

এই সব জায়গায় কেউ রুপিকে রুপি বলেনা,সবাই টাকা বলে। ইন্ডিয়ার আরো অনেক গুলো জায়গা আছে যেখান রুপিকে তারা টাকা বলে। সেখান থেকে বাসে চলে যাই কলকাতাতে। টিকের দাম ছিল ১৮০রুপি,সেই টিকেট কিনতে হলো ৩০০রুপি দিয়ে। ইন্ডিয়ার সিসটেমই হচ্ছে বাসস্টেশন বা রেলস্টেশনে গিয়ে কোন টিকেট মিলবেনা,এই সব টিকেট পাওয়া যাবে শুধু দালাল বা ভদ্রভাষায় ইংরেজিতে বলে এজেন্টদের মাধ্যমে, সেই টিকেট আবার কিনতে হবে চড়া দাম দিয়ে।

কলকাতায় বেশিক্ষন ছিলাম না,ঐদিন রাতেই রওনা দেই দিল্লীর উদ্দেশ্যে ট্রেনে। টিকেটের দাম ২৫০রুপিরটাকে ৪৫০রুপি দিয়ে কিনতে হয়েছে। ইন্ডিয়ার সবখানে দালালে দালালে ভরপুর। মার্কেটে,হোটেলে,দোকানে,মোট কথা যে স্কেটরেই যাননা কেন দালালের সাথে আপনার সুদেখা হবেই। তবে এই সমস্যয় পরতে হবে না, যারা পেকেজে আসেন।

যাই হোক ওসব বাধ দিলাম। ইন্ডিয়াতে এসে যে দিল্লী দেখেনি,সে অনেক কিছুই দেখেনি, পায় বলা চলে মুসলিম এরিয়া। সেখানে অনেক কিছুই দেখার আছে যা কিনা আমরা শুধু টিভির পর্দায় দেখে থাকি। বিষেশ করে কুতুব মিনার,জামে মাসজিদ,রেড ফোর্ট,ইন্ডিয়া গেট,গান্দি পরিবারের সমাধি,লোটাস টেম্‌পল্‌ আরো অনেক কিছু । কুতুব মিনার ঠুকতে ইন্ডিয়ানদের জন্য ১৫রুপি আর বিদেশীদের জন্য ২৫০রুপি।

ঠোকার পরে মনে হয়েছে আমি কোনো এক সভ্য প্রাচীন সভ্বতায় চলে এসেছি। হলিউড মুভিতে যে সব প্রাচীন মুভি দেখায়,সে সবরই কিছু রিয়াল নিদর্শন ওখানে দেখা যবে। সত্যি অসাধারন তার করকাজ। আমি দেখে যে কি রকম আনন্দিত হয়েছিলাম যে তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সেখানকার কাটবিড়ালগুলোও অনেক মিশুক যে আপনি আপনার হতে খাবার রেখে যদি তাদেরকে ডাকেন,তারা আপনার হাত থেকে খাবার খেয়ে যাবে।

বিকালের দিকে বেশি ভাল লাগে। আসাধারন সুন্দর তার বিশাল আকৃতির মিনারটি আর পুর মিনারটি আরবী লেখা দিয়ে কারকাজ করা ছিল। বলা চলে পুর কুতুব মিনারের সব কিছুই আরবী লেখা দিয়ে কারকাজ করা। লোটাস টেম্‌পল্‌ হচ্ছে একটি পদ্ম মন্দির যেখনে নতুন ধর্মের আবিশ্কার চলছে। দূর থেকে একেবারে পদ্মের মত দেখতে তাই এটা লোটাস টেম্‌পল্‌।

এটা সত্যি মনে হবে বড় আকৃতিয পদ্ম,এর চারপাশে পানিও আছে। জামে মাসজিদ -মাসজিদের গেটে প্রেবশ করতে হলে আগে অনেকগুলো বড় বড় সিড়ি পার হতে হয়,মাসজিদের গেটটিও অনেক বড় প্রায় আমাদের দালানের ৩ তলার মত। গেট পার হয়ে বিশাল খোলা মাঠ,তার চারপাসে মাসজিদের বর্ডার আর মিনার। রেড ফর্ড রাজার বাড়ি। তাতে রাজা নেই তবে বাজার আছে।

সুন্দর সুন্দর গহনার দোকান আর শো পিস। আজ এই পর্যন্ত। পরে আরো কিছু নতুন জায়গার বর্ননা নিয়ে হাযির হব। আল্লাহ আপনার সহায় হোক ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.