আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভূত বলে কি কিছু আছে এই পৃথিবীতে?

আমি আসাদ যদি আমরা ভূতে বিশ্বাস না করি তবে অবশ্যি আমাদের সেই সব মানুষদের জানা উচিত যারা বলছেন ভূত আছে। মানুষ সাধারনত অবাস্তব কাহিনীর জন্ম দেয় তার কল্পনাশক্তির উপর ভর করে। ভূতরা জন্মের আদিলগ্ন থেকেই আছে কিন্তু বিজ্ঞানের কাছে তার ব্যাখ্যা নেই। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূত শিকারীরা ভূত শিকার করে চলেছেন। তারা ছবি, ভিডিও এবং ভূতের কথা তুলে বেড়াচ্ছেন।

দূর্ভাগ্যজনকভাবে, ভুয়া ভূত শিকারীরা একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। তাই ভূতের অস্তিত্ব মানেই ভুয়া কথা হয়ে দাড়িয়েছে। যারা বিজ্ঞানের লোক তারা অবিশ্বাসের সাথে সব যুক্তি নাকচ করে। বৈজ্ঞানিক যুক্তি শক্তি বিভিন্নভাবে থাকতে পারে। যেমন, তাপ, আলো, রাসায়নিক শক্তি, বৈদ্যুতিক শক্তি।

শক্তি যে কোন পরিবর্তন আনতে পারে। থার্মোডিনামিক্সে আলোচনার বিষয় এই শক্তি। থার্মোডিনামিক্সের প্রথম সূত্রঃ শক্তি এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে পরিবর্তিত হতে পারে কিন্তু তা সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যাবে না। পৃথিবীর মোট শক্তি এবং পদার্থ সবসময় ধ্রুব থাকবে। থার্মোডিনামিক্সের দ্বিতীয় সূত্রঃ একই ব্যবস্থার মধ্যে শক্তির পরিবর্তনের সময় যদি নতু্ন কোন শক্তি না ঢুকে বা কোন শক্তি বের না হয়ে যায় তবে সম্ভাব্য শক্তি সবসময় প্রাথমিক শক্তির চেয়ে কম থাকবে।

এটাকে এনট্রপি বলে। একসময় সম্ভাব্য শক্তি কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে তালাবদ্ধ হয়ে পড়ে যা গতিশক্তিরূপে রূপান্তর হ্য়। প্রণালীটিতে আর শক্তি আসে না যদি না কোন শক্তি দেওয়া হয়। এই শক্তি পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় কিছু শক্তি তাপশক্তি রূপে উড়ে যায়্। ফলে একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় যা পরিমাপ করায় এনট্রপির কাজ।

শক্তির প্রবাহ ক্রম এবং জীবন বজায় রেখে চলে। এনট্রপি পাওয়া যখন কোন প্রক্রিয়া শক্তি দেওয়া নেওয়া বন্ধ রাখে। থার্মোডিনামিক্সের সূত্র যদি বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করা যায় তবে প্রমাণ করা সম্ভব ভূত আছে। যদি এটাকে প্রমাণ হিসেবে নাও ধরেন তবুও মনে কিছু প্রশ্নের জন্ম দিবে। যদি সত্যিকারভাবে আমরা প্রশ্নগুলো জানার চেষ্টা করি তবে অবশ্যই কিছু পাওয়া যাবে।

এখন আমরা প্রথম সূত্র থেকে জানি শক্তির কোন বিনাশ নেই, শুধু এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় যায়। তাহলে, আমরা যদি শক্তি হই তবে মৃত্যুর সাথে আমরা বিনাশ হব না, শুধুমাত্র রূপ পরিবর্তন হবে। আমাদের শরীর বিশ্লিষ্ট হয় মাইক্রোঅরগানিজম দ্বারা এবং এভাবে মানুষের শক্তির রূপ পরিবর্তিত হয়। কিন্তু আমাদের বুদ্ধিমত্তার কি হয় যা দ্বারা আমরা একটা পরিচয় বহন করি। আমাদের মন কি হাওয়ায় উড়ে যায়? নাকি শুধুই জীবাণুর খাদ্য? এই পরিবর্তন কি মেনে নেওয়া যায়? বিজ্ঞানের চোখ কি বলবে, আমাদের বাইরেও অনেক প্রাণ আছে? পরিশেষে বলি, ভূত থাকুক বা না থাকুক, যারা থার্মোডিনামিক্সের সূত্র যারা পড়েছিলেন তাদের আবার পড়া হল।

আর যারা পড়েননি তাদের জানা হল। এবং অনেকের তা মনে থাকবে কারন তারা পরীক্ষা দেওয়ার জন্যে সূত্রগুলো মুখস্থ করবেন না। ভূতের কথা জানতে গিয়ে আগ্রহ নিয়ে পড়বেন। বি: দ্র: লেখাটি আমার মৌলিক লেখা নয়, এটির লেখক, এস এম তাহমিদুর রহমান, লেখাটি ভাল লাগল তাই শেয়ার করলাম। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।