আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৯৫ জনের হিসাব জানি, কিন্তু ৭৫২ জনের হিসেব কে দেবে?

আমার এই ব্লগের কোনো লেখা বা লেখার কোনো অংশ আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া যে কোনো প্রকার মিডিয়াতেই প্রকাশ করা যাবেনা। যদি তা করা হয়, তাহলে আমি আইনগত এবং অবস্থাভেদে ব্লগের আইন/প্রসিজিওর অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিতে বাধ্য হব বঙ্গবন্ধুর সাধারন ক্ষমা বিষয়ক যে মিথ্যাচার আজ গত ৪০টি বছর ধরে শুনে আসছি, তার উত্তর গতকাল এই পোস্টে তথ্য, প্রমাণ, যথাযথ কাগজ-পত্র সহ দিয়েছি । এই সাধারণ ক্ষমা ছাড়াও আরো একটি মিথ্যাচার সব সময় শুনতে পাই। সেটি হচ্ছে, ১৯৭১ সালের মুক্তি যুদ্ধে যে ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীকে শনাক্ত করা হয়েছিলো, তাদেরকে বঙ্গবন্ধু ত্রিদেশীয় চুক্তির মাধ্যমে ছেড়ে দিলেন কেন? এই প্রসঙ্গে আসলে আমার কিছুই লিখবার নেই। কেননা আমি যা লিখতে পারতাম বা লিখতাম তার চাইতেও কয়েক হাজার গুনে চমৎকার ভাবে লিখেছেন সচলায়তনের একজন ব্লগার সাঈদ আহমেদ।

দয়া করে তার এই বিষয়ক চার পর্বের লেখাটি পড়লে আপনি গ্যারান্টেড ভাবে অনুধাবন করবেন যে, কি হয়েছিলো সেই ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষেত্রে। পড়ুন এই লিঙ্কে গিয়ে কিন্তু এই ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গের সাথে সাথে আমার একটি সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। গতকাল আমার পোস্টে আপনাদের জানিয়েছিলাম যে, ১৯৭৫ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর জিয়া দালাল আইন বাতিল করে দালালদের বিচার বন্ধ করে দেয়। সেই দালাল আইন রদের ছবিটি আবার দেখুন- ভালো করে উপরের ছবিটির হলুদ মার্কার দিয়ে রঙ করা অংশটি দেখুন। পড়ুন...পড়েছেন? কি লেখা রয়েছে সেখানে??? সেখানে লেখা রয়েছে যে, এই দালাল আইন ১৯৭২ বাতিল করা হলেও, এই আইনে দন্ডিত, মানে কনভিক্টেড যারা রয়েছেন তাদের দন্ড চলতে থাকবে এবং তারা এই বাতিলের আওতাভুক্ত না।

ভালো করে উপরের ছবিটার শেষের হলুদ অংশের দিকে লক্ষ্য করুন। সেখানে বলা হচ্ছে- ৩য় উপ-অনুচ্ছেদের প্রথম অংশ অর্থাৎ 'ক'-তে বলা হয়েছে- যারা দালাল আইনে ইতোমধ্যে দন্ডিত হয়েছে এবং বিভিন্ন পর্যায়ে আপিল করেছে, তাদের ক্ষেত্রে এই বাতিল অধ্যাদেশ প্রযোজ্য হবে না। [2. (3) Nothing in sub-section (2) shall be deemed to affect - (a) the continuance of any appeal against any conviction or sentence by any Tribunal, Magistrate or Court under the said Order; এর মানে হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুকে নিহত করবার ঠিক আগ পর্যন্ত, মানে ১৯৭৫ সালের ২০ শে এপ্রিল পর্যন্ত দালাল আইনে ৭৫২ জন ব্যাক্তি দন্ডিত হয়। যাদের মধ্যে প্রায় ২০ জনেরও বেশী ফাঁসির আসামী ছিলো। জিয়ার এই দালাল আইন বাতিল করবার পরেও কিন্তু সেই ৭৫২ জন কোনোভাবেই উপরের ডকুমেন্টস অনুযায়ী মুক্তি পেতে পারেন না।

কিন্তু সেই ৭৫২ জন, মানে ২০ জন ফাঁসির আসামী সহ সবাই জিয়ার আমলেই জেল থেকে কি করে বের হয়ে গেলেন? কোন যাদুবলে? ১৯৫ জনের কথা আগেই বলেছি, এইবার কেউ কি আমাকে দয়া করে বুঝিয়ে বলবেন যে, জিয়া কি করে ৭৫২ জন দেশে আটক কৃত রাজাকার-আলবদরকে ছেড়ে দিলো। কিভাবে?? কোনো যুক্তিতে??  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।