বিশ্ববিদ্যালয় বাসে ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র রাহাত। বাস গুলিস্তান পৌঁছালে দুটি ষন্ডা মার্কা ছেলে পাশে এসে দাড়ায় রাহাতের। তারা রাহাতের কাছে কিছূ টাকার জন্য আবদার করে । টাকা কেন দিতে হবে এ প্রশ্ন করলে তারা বলে তারা গাঁজা খাবে তাই টাকা দিতে হবে । !!! রাহাত এই্ কথায় বিস্ময়ে হতভম্ব অবস্হা ।

ছেলে দুটি ছাত্রলীগ করে এটা সে জানত । এবং তারা রাহাতের জুনিয়র। ছাত্রলীগ কর্মী মানে ক্যাম্পাস হিরো । তাদের কথার একটা দাম আছে । তারা তো আর অন্য কোন কারনে টাকা চায় নাই ।

সামান্য গাঁজা খেতে বড় ভাই এর কাছে তারা কি কয়টা টাকা আবদার করতে পারে না?? কিন্তু রাহাত বড়ই বেরসিক এর মত মুখের উপর বলে দিল সে আজেবাজে খাতে পয়সা খরচ করে না। । দেখেন দেখি কি মসিবত!!!! দুইটা ছোটভাই একটা আবদার নিয়ে আসল আর বড় ভাই হয়ে রাহাত কিভাবে তাদের মুখের উপর না করে দিল !!!! এই পোলারে কি করা উচিত কন তো?? যাই হোক আপনেরা হতাশ হবার কোন কারণ নাই। সিনেমার ভীলেন তাদের পার্টটা ঠিক মতই করছে । ইংরেজী বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী(!!) ছাত্র রাহাত মিয়া বাস ভর্তি ছাত্র-ছাত্রীর সামনে সেইরকম একটা ঠেঙানী খাইলো।

। কিন্তু এখানে কোন নায়ক নাই । রাহাত মিয়া স্রেফ একজন ভিকটিম । তারে উদ্ধার করতে কোন ছাকিব খান বা মান্না ভাই আগাইয়া আহে নাই । তবে ঐ ভীলেনগ এক বড় ভাই(ছাত্রলীগ) নাকি রাহাতরে চিনতে পাইরা নিজের বন্ধু পরিচয় দিয়া আগাইয়া আছীল লেকিন "অপরাধী যেই হোক তাকে শাস্তি পাইতেই হবে " এই নীতিতে বিশ্বাসী ছাত্রলীগ কর্মীরা বড় ভাই এর আবদার মানতে নারাজ।

বড় ভাই এর উদ্দেশ্যে তাদের অমর বানী "হালায় আমগরে ৫০ টা টেকা দিলেই তো আর এত কিছূ করতে অয় না"। । রাহাতের বন্ধুরা ঠিক করছে তারা কাইল ক্যাম্পাসে কাউরে এই মুখ দেখাইব না । তারা কালা কাপড় বাইন্ধা হাতে-হাত ধইরা কি জানি কয় , ঐ মানব বন্ধন (!!) না কি জানি করব। আপনেগ মনে অয় আমি হুদাই গেজাইলাম ????? আপেনরা তো আবার পরমান ছাড়া কুনু কতা বিশ্বাস কইরবেন না!!! Click This Link ।