আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

[ংন]পানসিম্পদ প্রতমিন্ত্রীর মতে এটি ভারতরে অভ্যন্তরীণ বষিয়[/ংন]

(From Amadershomoy)টপাইমুখ নিয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কথা বলার সুযোগ নেই। বরাক নদে কোনও ধরনের অবকাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশের সঙ্গে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়নি। তবে অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা হয়েছে। সে আলোচনাতেই ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলÑ বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছুই করা হবে না। ভারতের ওপর দিয়ে আমাদের দেশে এসেছে এ কারণেই বরাক নদে কোনও অবকাঠামো তৈরি করার উদ্যোগ নিলে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ সমীক্ষার প্রয়োজন ছিল।

কিন্তু তা করা হয়নি। এটি করা হলে ভালো হতো। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আলহাজ মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার গতকাল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারতের মনিপুর রাজ্য সরকার টিপাইমুখ ড্যাম ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যে চুক্তি করেছে তা পাকিস্তান আমলেই করা হয়েছিল। আর এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

গত ২২ অক্টোবর যৌথ বিনিয়োগ চুক্তির মাধ্যমে আগেকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, টিপাইমুখ ড্যাম নির্মাণ বিষয়ে বিনিয়োগ চুক্তি করার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করার। তবে এখনও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে কোনও নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা এলে বিশেষজ্ঞদের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী আশা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষা করেই কাজ করবেন। বরাক নদে ভারত যে ড্যাম ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে বাংলাদেশের কাছে কোনও তথ্য আছে কিনাÑ তা তিনি জানেন না বলেও উল্লেখ করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আন্তর্জাতিক নদী আইন, পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে কোনও আলোচনা না করে, টিপাইমুখ বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে এনএইচপিসি, এসজেভিএন ও মণিপুর রাজ্য সরকার যৌথ বিনিয়োগ চুক্তি সই করে। ভারত একতরফাভাবে যে চুক্তি করেছে এটা পুরোপুরি গঙ্গা চুক্তির ৯ নম্বর আর্টিকেলের লঙ্ঘন। ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের সময়ও ভারত এখনকার মতোই বলেছিল যে, বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কিছুই তারা করবে না।

সূত্র জানায়, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ হলে বাংলাদেশের সিলেটের হাওর অঞ্চলসমূহ পানিতে তলিয়ে যাবে। ফলে প্রতিবছর প্রায় এক হাজার কোটি টাকার যে বোরো ধানের আবাদ হয় তা আর হবে না। এছাড়া বন্যা ও খরাতেও আক্রান্ত হবে বাংলাদেশের ভাটি অঞ্চল। বিশ্ব ব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলো এসব প্রকল্পে অর্থ ঋণ দেয়। পার্শ্ববর্তী দেশের অনাপত্তির পরই এ অর্থ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের আপত্তির মুখে ২০১০ ও ২০১১ সালে প্রতিবেশী দুদেশের প্রধানমন্ত্রীরা বৈঠক শেষে যুক্ত ইশতেহারে মনমোহন সিং বলেছিলেন, বাংলাদেশের ক্ষতি হয় টিপাইমুখে এমন কোনও পদক্ষেপ নেবে না ভারত। কিন্তু বাংলাদেশকে অন্ধকারে রেখেইে এ বাঁধ নির্মাণে চুক্তি করা হয়েছে। ভারত এ সিদ্ধান্তের পথে অগ্রসর হলে বাংলাদেশ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও অর্থনৈতিক স্বার্থহানির কবলে পড়বে। আইন অনুযায়ী সমতা, ন্যায্যতা ক্ষতির কারণ না হয় দুদেশ যখন এমন অবস্থানে পৌঁছাবে তখন এ ধরনের বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব। কিন্তু ভারত একতরফাভাবেই এ বাঁধ নির্মাণ করতে যাচ্ছে।

পরিবেশবাদীদের আশঙ্কা, টিপাইমুখে বাঁধ ও বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে বিরাট এলাকার পাহাড়-জঙ্গল পানিতে তলিয়ে যাবে। তা ছাড়া টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের পর সেটি ভূমিকম্পে ধসে পড়লে আসাম ও বাংলাদেশের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। মণিপুর রাজ্যের চন্দ্রচূড় জেলায় প্রস্তাবিত এ প্রকল্পে ১৬২ দশমিক ৮০ মিটার উঁচু পাথরের বাঁধের পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ছয়টি ইউনিট থাকবে। নয় হাজার ২১১ কোটি টাকার ব্যয়ের এ প্রকল্প শেষ হবে ৮৭ মাসে। ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ভারতের টিপাইমুখে গিয়েছিল।

প্রতিনিধিদলে বাংলাদেশের কারিগরি কমিটি ছিল, তারাও সে জিনিসটি তাদের কাছ থেকে বুঝেছে যে ওখানে বাঁধ বা ড্যাম নির্মাণ করা হলে বাংলাদেশ বরং উপকৃত হবে। কারণ বর্ষা মৌসুমে যখন পানি থাকবে, তখন বাংলাদেশ প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে রক্ষা পাবে এবং যখন শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকবে না, তখন বাংলাদেশ পানি সেখান থেকে পাবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ বরং সংরক্ষিতই হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।