আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

How to focus something bad and practice it

এসো আবার চড়াই উৎড়ই.......... ছোট্ট বেলায় ঠাকুরর্দা বলতেন বেশি বাঁদরামো করলে নাকি দৈত্য ধরে নিয়ে যাবে। ঠাকুরর্দাকে বলতাম দাদা দৈত্যের দেশ কোথায়। দাদাঃ পৃথিবীর দুই প্রান্ত, সু-মেরু এবং কুমেরুতে থাকে দৈত্যরা ওখানে বরফের দেশ। আমিঃ দাদা ওরা ছুটে আসে না কেন? এগুলো মিছা কতা, মাইনষে কয় দৈত্য কইতে কিচ্ছু নাই, এইগুলান গল্প। দাদাঃ নারে এগুলা হাঁচা কতা।

দৈত্যগোরে মাটিরতন আসমান পইর্যন্ত লোহার শিখ দিয়া দেওয়াল কইরা আটকাইয়া রাখছে। আমিঃ কচু, দৈত্যরা বলে খুব শক্তিশালী ওরা ভাইঙ্গা ফ্যালতে পারে না। দাদাঃ দৈত্যরা তো জানে না যে ওদের গাঁয়ে এতো শক্তি। শাক্তিমানের মাথায় বুদ্ধি থাকে না। ঐখানে থাকে গোবর, খুব ভাল শষ্য জন্মায় মুখ, বীর্য ও চেহারা থেকে।

আমিঃ তাইলে, ওরা কি কোন চেষ্টাই লয় না। দাদাঃ লয় ওরা মনে করে ওগো গরম জ্বীব দিয়া লোহার শিখগুলারে চাঁটতে থাকলে এইগুলান এমনিতেই নাই হইয়া যাইব। আমিঃ না মনে লয় ওরা লেবেনচুষই মনে করে, খাইতেও মজা, চাঁটতেও। দাদাঃ সারাদিন চাঁটে আর চাঁটে সন্ধ্যার সময় গধূলীর আলোতে লোহার চেহারাটা পাল্টে গেলেও চাঁটে একসময় অন্ধকার আসে ও তারা ঘুমাতে যায়। ইদানিং জনতা ও প্রশাসন সমস্ত কিছুকেই আজকাল আমার দৈত্য বলে মনে হয়।

ওরা ই মাদক, দূর্ণীতি, যুদ্ধপরাধী, মানবাধিকার লংঘন, জালটাকা, কালোবাজারী, ছাত্র-শিক্ষক খুন, সমস্ত ধরনের অন্যায়কে আজকাল লোহার শিখ বলে মনে করে। জনতা যেই হারে চাঁটছে, প্রশাসন-সরকার-মিডিয়া সবাই যেই হারে চাঁটছে কোনদিন এগুলোর কোন সমাধান হবে কি? একটা ব্যাপার মাথামোটাদের মাথায় কিছুতেই ঢুকে নাই ইয়াবার বিক্রি বাড়ানেরার জন্য মিডিয়ার প্রচার, পর্ণোর প্রসারে মিডিয়ার প্রচার, এগুলোকে প্রচার বলছি এই জন্যই যেখানে পুরো শিক্ষাব্যবস্থাটাই শিয়াল পন্ডিতের পাঠশালা সেখানে মানুষ খারাপটাইতো বেশী নিবে, গনহারে নিবে, অস্থি-মজ্জায় মিশিয়ে নিবে, যেই শিক্ষাব্যবস্থা শিখায় তুমি সৃজনশীল গাইডবই কেনো, তুমি সৃজণশীল ভালোবাসা কেনো নিত্য-নতুন। তুমি সৃজণশীল কোচিং-এ ভর্তি হও। বলছিনা সৃজণশীল শিক্ষা ব্যবস্থা পাল্টাতে। বলছি সৃজনশীল ব্যাপারটাকে আসলেই সৃজণশীলভাবে নিতে।

আড্ডাগুলো হোক জ্ঞানের তর্কে ক্লাশগুলো হোক প্রশ্নমূখর, পরিবারগুলো হোক পারস্পরিক নির্ভরশীলতা, ভালোবাসা ও সহায়তার, শিক্ষকরা হোক আরও মিষ্টি আরও সুন্দর ঠিক আমার মোনার মতো, ছাত্র-ছাত্রীরা হোক আরও সরব আরও হাঁসিমুখ নিয়ে ক্লাশে বসুক। মুখ গোমড়া করে কি জ্ঞান অর্জন হয়? তাতে চাপ, টেনশান আর ভয়ই বাড়বে, সেই সাথে শিক্ষা নামের প্রহসনটিকে ১০-২০ বছর ধরে গলাধঃকরণ ও অতঃপর উগড়ে দিয়ে নিজের আখেড় গোছানো চলবে, দেশেরও কচু হবে জাতিরও কচু হবে, আর মানুষ্য জন্ম --------------এমন মানব জনম আর কি পাবে, --------------------------মন যা চায় তরাই কর এই ভবে। কয়েকটি জরুরী পদক্ষেপ এখনই নেওয়া দরকার। ১. মোবাইল অপারেটরসমূহকে সীম বিক্রির লাগামে আনতে হবে এবং স্কুল স্টুডেন্টদের জন্য বিশেষ ক্যাটাগোরীতে সীম বিক্রি করার নীতিমালায় আনতে হবে। ২. পার্ক, চাইনিজ রেস্তরা, সাইবার ক্যাফে ইত্যাদি স্থানে স্কুল চলাকালীন সময়ে স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশ নিষেধ করে দিতে হবে।

৩. স্কুল পূর্ব কোন প্রকার প্রাক শিক্ষা ব্যবস্থা থাকতে পারবে না, স্কুল ভর্তি নামক মারাত্মক সংক্রামক ব্যাধী হতে শিশুদের অব্যাহতি দেওয়া হোক। ৪. বিশ্ব বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য একমাত্র যোগ্যতা হোক ভর্তি পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হওয়া এবং ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে আই. কিউ ক্যাটাগোরীওয়াইজ প্রশ্ন আরও বাড়ানো হোক। ৫. আমরা প্রত্যেকেই জানি ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও লৈঙ্গিক মৌলবাদ কতটা ধ্বংসাত্মক। নূণ্যতম ১৮ বছর না হলে কেউই ধর্মীয় রাজনৈতিক বা লৈঙ্গিক ব্যাপারে অংশ নিতে পারবে না এমন আইন করা হোক, লঙ্গণকারীর জন্য ভয়াবহ শাস্তির বিধান রাখা হোক। তাদেরকে এসব কাজে যারা মদদ, উৎসাহিত বা ব্রেইন ওয়াশ এর চেষ্টা করবে তাদের মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হোক, First sight shoot order হোক।

৬. একটি অশ্লিল উপস্থাপন প্রতিনিয়ত যেই পরিমান আত্মার মৃত্যু ঘটায়, সমাজে যেই পরিমান অবক্ষয় নামায় তা কয়েকশত খুন-ধর্ষন কিংবা গণহত্যার জন্ম দেয় বা দিতে পারে এরকম প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও কঠোর শাস্তির বিধান করা হোক। ------------যদিও জানি কিছুর আগে নিষিদ্ধ, ১৮+, যৌণ কথাগুলো থাকলেই হিট ও আগ্রহটা বাড়ে। (আমেরিকাতে একটি শিশুর সামনে মাদক সেবন, পর্ণোগ্রাফী প্রদর্শন, খুন, অশ্লিল খিস্তি করা বড় ধরনের অপরাধ বলে গণ্য হয়। আমাদের হুজুররা মাইক লাগিয়ে। রাজনীতিবিদরা টেলিভিশনে, পরিবারসমূহ চিৎকার করে কি করছে? ---------------আবার এই আমরাই পথে নামি নিপাত যাও ওবামা ----------------------নিপাত যাও বুশ -----------পুঁজিবাদের/সাম্রাজ্যবাদের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।