আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বনেদী, সাধারন, ব্লগীয়, টেকি নানান ধরনের ফেইক ভিক্ষুকে দেশ ছেয়ে গেছে। যথাযথ তদন্ত ব্যতীত সাহায্য না করাই শ্রেয়:

নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!! ইহজগতে ভিক্ষাবৃত্তিই সর্বনিকৃস্ট পেশা। দু মুঠো ভাত জোগাড়ের আর কোন রাস্তা না থাকলে, কাজ করার মত কায়িক বা মানসিক আর কোন সক্ষমতা না থাকলেই এককালে নিরুপায় মানুষ এটা বেছে নিত। তবে সে কাল আর নাই। এটা এখন পুরোদস্তুর পেশা, এটা একটা ইন্ডাস্ট্রি, এর পেছনে বিরাট রাজনীতিবিদ, পুলিশ, স্থানীয় টাউট। ফার্মগেট, পান্থপথ বা অন্যান্য সিগনালের দলবদ্ধ ও অতি চেনা ভিক্ষুকদের অনেকেই যে টাউট সে নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে।

আজ আমরা ভিন্ন ধাঁচের কতিপয় ভিক্ষুক সম্পর্কে জানব। পথ হারিয়ে ফেলেছি ভিক্ষুক সাধারনত মহিলা, বা ফ্যামিলি, বা বাচ্চাকোলে টাইপ চিত্র। মুক্তাগাছা বা পটুয়াখালী থেকে এসে পথ/টাকা পয়সা হারিয়ে ফেলেছে। যাবার ভাড়া নাই। এ ধরনের বা কাছাকাছি ফিরিস্তি।

বছরখানেক আগে একদিন বাচ্চা কোলে এক মহিলা এ বয়ান দিয়ে সাহায্য চাইলে আমি সিএনজিতে করে নিজেই মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে পৌছে দেয়ার প্রস্তাব দিই। সে সটকে পড়ে! বোবা, লিভার নস্ট, হাতে চেয়ারম্যান সনদ ভিক্ষুক লেমিনেটিং করা সনদ। এলাকার চেয়ারম্যানের সুপারিশ। তার লিভার নস্ট ইত্যাদি ইত্যাদি। মাইলের পর মাইল এ ধরনের রোগী কটকটে রোদের মধ্যে হাঁটে! তবু লিভার নস্ট, হার্টের বাল্ব ফাটা ইত্যাদি! সাধারনত: প্রেসক্রিপশনও সাথে রাখে তারা।

মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, হেফজখানা তাগড়া শরীরের হুজুর, সাথে ম্যাড়ম্যাড়ে ১/২ পিস ছাত্র নিয়ে ওনারা কালেকশনে বেরুয়। রমজান ও ঈদুল আজহার পরদিন এদের বেশী দেখা যায়। অবশ্যই রশিদ বই সাথে থাকে। অমুক জেলার তমুক প্রতিস্টানের জন্য....। কালেকশনের টাকা হক হালালী ভাবেই ওনারা ২৫-৫০% পায়! আর হারামী করার রাস্তাও অসংখ্য!! সুতরাং এসব ভ্রাম্যমান কালেকশন এজেন্টের কাছে পরকালে বেহেস্তের খোয়াবে সরলমনে কিছু না দেয়াই ভাল।

ক্যাম্পাস ভিক্ষুক পোলাপাইন নিজেই বেকার! বা বাপের পাঠানো টাকায় কায়ক্লেশে চলে। তবু ক্যাম্পাসই যেন একশ্রেনীর ভিক্ষুকের আখড়া। এদের উৎপাতের মূলে রয়ে গেছে ছাত্র/ছাত্রীদের অতি কোমল মন। জানামতে শিক্ষক ও কর্মচারীরা চার আনাও দেয়না। ক্যাম্পাস ভিক্ষুকরা অতি চতুর হয়।

নানান গল্প ফাঁদে। বলাবাহুল্য এসব মিথ্যা, মোস্টলি। বাসের চকলেট ভিক্ষুক কথা নাই বার্তা নাই। সিটের মধ্য, কোলের উপর ১টা করে চকলেট ও ধেঁতলা চিরকুট দিয়ে যাবে। ওখানে নানান গীত লেখা আছে।

সারাংশ, ভিক্ষার চেয়ে কর্মকে প্রেফার করে! তাই এ হেন ব্যবসা কর্ম! পত্রিকা/টিভি বিজ্ঞাপন ভিক্ষুক সাহায্য চাই শিরোনামে পেপার এড। ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। ১ কোটি টাকা হলে সেরে যাবে। আছে ২ লাখ। লাগবে আরো ৯৮ লাখ।

ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার.....। প্লিজ সরেজমিন তদন্ত না করে কানাকড়িও দিবেন না। প্রচুর ভুয়া। ফেসবুক, টুইটার, সামু বা অন্যান্য ব্লগ ভিক্ষুক এটা অতি সাম্প্রতিক। এবং বলাবাহুল্য লেখাপড়া জানা, টেকি প্রতারকগোস্টীর মাধ্যম।

বাপ, মা, স্বামী, ভাই, বন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা, কবি নানান ধরনের লোকের জন্য চিকিৎসার বাহানায় সাহায্য চাইবে। আর চাওয়া মাত্রই একশ্রেনীর বোকচোদ ব্লগার (বা সিন্ডিকেটের অন্য চালাক নিক) হাত বাড়িয়ে দাও টাইপের বিলাপ তুলতে থাকবে। পোস্ট স্টিকি করার দাবি। কালেকশনের স্বেচ্ছাসেবা, পোস্টার, জিকির.....। তারপর মাঝেমধ্যে গোমর ফাঁকও হয় বা হচ্ছে।

হেরোইন, ফেন্সিডিল, ইয়াবাখোর বন্ধু এরা কাছের মানুষের কাছে হাতপাতে। বড় ফিগার দিয়ে শুরু করে। নামতে নামতে ১০/২০ টাকায়ও নেমে আসে। তবে কালকেই দিয়ে দেব এ ধরনের কথা দিয়ে ধার নেয়াই তাদের ভিক্ষাবৃত্তির বৈশিস্ট্য! আমার জনৈক ক্লাশমেট শাহবাগ থেকে উত্তরা যাওয়ার জন্য মানিব্যাগ হারিয়ে ফেলেছে উছিলায় ৫০০ টাকা (??) ধার চাইলে গভীর তদন্তে গিয়ে এ ধরনের কেইস ধরি। সুতরাং সবাই কেয়ারফুল হয়ে ভিক্ষা দিন।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।