আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পীরদের দাবী: রাসূলুল্লাহ (সঃ)-সর্বত্র হাযির-নাযির??? সত্য নয়? গায়েব, মিলাদ নিয়ে কোরআনে কি বলে?? মৌলিক ৫টি প্রশ্নোত্তর!

সেই চিরবিদ্রো.... যে লড়াই , কখনো শেষ হয়না.... আমাদের ব্লগে এক ভাই তার একটি পোষ্টে তার মতামত প্রকাশ করেছেন। পীরদের দাবী: রাসূলুল্লাহ (সঃ)-সর্বত্র হাযির-নাযির???প্রসংগ নিয়ে। যেখানে দুর্বল হাদীস এবং কথার মারপ‌্যাচ ছাড়া অন্য কিছূ নাই। অথচ তিনি এবং তার সমর্থন বৃন্দ বেশ সরব এই জাতীয় বিষয়ে। তার উত্তরে আমার কিছু প্রশ্ন এবং তিনার(আবদুল্লাহ আরিফ মুসলিম) উত্তর এবং কোরআনের আলোকে তার যাচাই করার ছোট্ট চেষ্টা... তার নামে মুসলিম লিখে উনি কি উনার মুসলমানিত্বের কমজুরীকে মজবুতি দিলেন কিনা সেই প্রসংগে যাবনা; মূল প্রসংগে আসি- উনার শিরোনামে যে মূলবিষয় গুলো আলচনার দাবী রাখে তা লক্ষ্য করি- পীর, দাবী, রাসুল, গায়েব জানা, মিলাদ, সর্বত্র হাজির নাজির প্রসংগ।

পীর কে? >যিনি ইসলামের পথে দীর্ঘ রিয়াজত এবং সাধনার পর আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের শিক্ষায় সুশিক্ষিত হয়ে মানব জাতিকে হিদায়াতের শিক্ষা দেন বা দিচ্ছেন, তাঁদেরই আমরা পীর বা শিক্ষক বা শিক্ষা গুরু বা পথ প্রদর্শক বলে জানি ও মানি। দাবী! > দাবী শব্দটাই আরোপিত অভিযোগ প্রক্ষেপনের চেষ্টাকে প্রতিষ্ঠিত করে। কারণ আমার জানা মতে কোন পীর আজ পর্যন্ত জোর করে কারও কাছে কোন কিছু দাবী করে নাই বা করেনা। এবং যারা তাঁকে মানে তারা দাবীর প্রশ্ন উঠার আগেই তাঁকে মান্য করে বা দ্বীধাহীন চিত্তে গ্রহন করে থাকে। কারণ তাঁরা তাঁর জ্ঞান প্রজ্ঞা এবং আল্লাহ এবং রাসূলের মান্যতার ব্যাপারে তাঁর প্রতি সন্তুষ্ঠ হয়েইতো বাইয়াত বা শীষ্যত্ব গ্রহন করেছে।

তাই দাবী শব্টা দিয়েই উনি মূলত উনার পীর বিরোধী অবস্থানকে পরিস্কার করেছেন। অন্য কিছূ নয়। যা উস্কানিমূলকও বটে। রাসুল > রাসূল প্রসংগে মুসলমান মাত্রই জানেন, সাধারন যা জানা যায়। বিশেষায়িত জ্ঞানের জন্য চেষ্টা, সাধনা করতে হয় এবং ভাগ্যে থাকলে সেই জ্ঞান প্রাপ্তি ঘটে।

মোহাম্মদ সা: আমাদের সকল বিশ্বাসী, মুসলিম, মুমীন সহ উর্ধস্তরের সকলেরই প্রিয়, অনুসরনীয়, অনুকরনীয়, লক্ষ্য, যার রহমত ও সুপারিশের প্রত্যাশি সকলেই শুধূ আজ নয় কাল কেয়ামতেও । গায়েব জানা > এক দল আছেন তারা বলছেন রাসূল গায়েব জানতেন না! অথচ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ কি বলছেন দেখুন. وَلَوْلاَ فَضْلُ اللّهِ عَلَيْكَ وَرَحْمَتُهُ لَهَمَّت طَّآئِفَةٌ مُّنْهُمْ أَن يُضِلُّوكَ وَمَا يُضِلُّونَ إِلاُّ أَنفُسَهُمْ وَمَا يَضُرُّونَكَ مِن شَيْءٍ وَأَنزَلَ اللّهُ عَلَيْكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُنْ تَعْلَمُ وَكَانَ فَضْلُ اللّهِ عَلَيْكَ عَظِيمًا (113 যদি আপনার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুণা না হত, তবে তাদের একদল আপনাকে পথভ্রষ্ট করার সংকল্প করেই ফেলেছিল। তারা পথভ্রান্ত করতে পারে না কিন্তু নিজেদেরকেই এবং আপনার কোন অনিষ্ট করতে পারে না। আল্লাহ আপনার প্রতি ঐশী গ্রন্থ ও প্রজ্ঞা অবতীর্ণ করেছেন এবং আপনাকে এমন বিষয় শিক্ষা দিয়েছেন, যা আপনি জানতেন না। আপনার প্রতি আল্লাহর করুণা অসীম।

সূরা নিসা, আয়াত-১১৩, مَّا كَانَ اللّهُ لِيَذَرَ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى مَآ أَنتُمْ عَلَيْهِ حَتَّىَ يَمِيزَ الْخَبِيثَ مِنَ الطَّيِّبِ وَمَا كَانَ اللّهُ لِيُطْلِعَكُمْ عَلَى الْغَيْبِ وَلَكِنَّ اللّهَ يَجْتَبِي مِن رُّسُلِهِ مَن يَشَاء فَآمِنُواْ بِاللّهِ وَرُسُلِهِ وَإِن تُؤْمِنُواْ وَتَتَّقُواْ فَلَكُمْ أَجْرٌ عَظِيمٌ (179 নাপাককে পাক থেকে পৃথক করে দেয়া পর্যন্ত আল্লাহ এমন নন যে, ঈমানদারগণকে সে অবস্থাতেই রাখবেন যাতে তোমরা রয়েছ, আর আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদিগকে গায়বের সংবাদ দেবেন। কিন্তু আল্লাহ স্বীয় রসূল গণের মধ্যে যাকে ইচ্ছা বাছাই করে নিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহর ওপর এবং তাঁর রসূলগণের ওপর তোমরা প্রত্যয় স্থাপন কর। বস্তুতঃ তোমরা যদি বিশ্বাস ও পরহেযগারীর ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে থাক, তবে তোমাদের জন্যে রয়েছে বিরাট প্রতিদান। সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১৭৯ (26 তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী।

পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না। ”(He Alone) the All-Knower of the Ghâ’ib (unseen), and He reveals to none His Ghâ’ib (unseen).” إِلَّا مَنِ ارْتَضَى مِن رَّسُولٍ فَإِنَّهُ يَسْلُكُ مِن بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ رَصَدًا (27 তাঁর মনোনীত রসূল ব্যতীত। তখন তিনি তার অগ্রে ও পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন সূরা জ্বিন, আয়াত-২৬-২৭, উক্ত ৩টি সূরার বোল্ড কৃত অংশ ষ্পষ্ট করে বলছে আল্লাহ গায়েব জানেন এবং তাঁর পছন্দনীয়/বাছাইকৃত/মনোনীত রাসূলদের তিনি সেই জ্ঞান দান করেছেন। আর সর্বশেষ নবী যে সর্ব শ্রেষ্ঠ বাছাই এটাতো অবিশ্বাসীরা ছাড়া কেউ অস্বীকার করবে না। বরং আল্লাহর আদেশ অনুসারে " আল্লাহর ওপর এবং তাঁর রসূলগণের ওপর তোমরা প্রত্যয় স্থাপন কর" - তাই করবে।

তাহলে তারা কিসের ভিত্তিতে এতবড় সত্যের উপর প্রলেপ দিতে জাল দুর্বল হাদীসের অবতারনা করে বেড়ায় যেখানে কোরআনে পরিস্কার ভাবে সিদ্ধান্ত জানানো আছে। মিলাদ > মিলাদ কি? রাসূল সা: এর শান ও প্রশংসা করা। সমবেত ভাবে তাঁর জন্য দরুদ ও সালাম পাঠ করা। এর জন্য তারা কত ঠুনকো জাল দুর্বল হাদীস নিয়ে দৌড়ায়- অথচ কোরআন থাকতে ঐসবের কোন প্রয়োজনই নাই! পবিত্র কোরআনে এই প্রসংগে কি বলছে চলুন দেখি- إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا (56 আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর।

সূরা আহযাব, আয়াত-৫৬, কি বিস্ময়কর! আল্লাহ তাঁর ফেরেশতাদের নিয়ে যেই রাসূলের উপর রহমত, দরুদ সালাম পাঠ করছেন এবং মুমিনদেরকেও তাই করবার সরাসরি আদেশ দিয়েছেন সেখানে তারা কারা? যারা এর বিরোধীতা করে? যেহেতু তারা মৌলিক সত্য থেকেই বিচ্যুত তাই হাজির নাজির প্রসংগ উহ্য রাখলাম। কারণ যে সাধারন মূল ফর্মূলাই মানেনা তাকে বিস্তারিত বলা আর উলুবনে মুক্ত ছড়ানো এক কথা। তবে বিষয়ে গুরুত্ব ও বিশালত্বের কারণে অন্য স্থানে আগ্রহীদের জন্য তা আলাপের ইচ্ছা রইলো। ঐ পোষ্টে মৌলিক কিছূ সাধারন প্রশ্ন রেখেছিলাম ঐ নামে সংযুক্ত মুসলিম দাবী কারী ভাইকে। উত্তর গুলো লক্ষ্য করুন।

- ১.আপনি কি মুসলমান? ২.কিভাবে? (পৈতৃক সূত্রে/অর্জিত সূত্রে/বিশ্বাস সূত্রে)?? বা অন্য কিভাবে? ৩. মুমিন কোন স্তরের মুসলিমকে বলা হয়? ৪. আজানে দৈনিক পাচঁবার যে স্বাক্ষ্যদেন - আশহাদু আন্না মোহাম্মাদার রাসূলাল্লাহ" কেন? ৫. আল্লাহ পাক কি করেন? আশা করি উত্তর দিয়ে জানতে সাহায্য করবেন। ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৩ ১.আপনি কি মুসলমান? => না, তবে মুসলিম। কারণ মুসলমান শব্দ কোরআনে কোথাও নাই মুসলিম আছে। মুসলমানরা পীর পুজা, কবর পুজা, মাজার পুজা, কোন ব্যক্তির তাকলীদ বা অন্ধ অনুকরণ, মানুষ পুজা ইত্যাদি করে কিন্তু মুসলিমরা করে না। মুসলমানরা আল্লাহর বিধান মানে আবার পাশাপাশি নিজেরা আল্লাহর আইনগুলো বাতিল করে মানবরচিত আইনকে প্রতিষ্ঠা করে।

কিন্তু মুসলিমরা বলে আমাদের জীবন আমাদের মরণ আমাদের সালাত আমাদের কোরবানী বিশ্ব জগতের রবের জন্য। আমাদের জীবন বিধান কোরআন। আমাদের মুসলিমদের সংবিধান কোরআন। আরও অনেক বক্তব্য আছে। লেখা বড় হয়ে যাবে বলে দিলাম না।

তবে আমি জানি আপনারা মুসলমান। >>> মুসলমান আর মুসলিমে যে বি-শা-ল পার্থক্য আবিস্কার করছেন, তার তলে ফালাইয়া আপনেগো সব ইবাদত বরবাদ কইরা দিবার পারি!!! মুসলমান কোরআনের নাই বল্লেন খুব ভালা কথা। এইবার বলেন- আপনেরা যে নামাজ পড়েন কোরান খুইলা আমারে দেখানতো কোথায় নামাজ পড়তে বলছে! একটা জায়গায় দেখান!!!পারবেন না!!! যদি না পারেন তবে তওবা করেন এইরকম যুক্তি আর কখনো দেখাবেন না। ২.কিভাবে? (পৈতৃক সূত্রে/অর্জিত সূত্রে/বিশ্বাস সূত্রে)?? বা অন্য কিভাবে? => মুসলিম পরিবারে জন্ম। পরবর্তীতে কোরআন ও হাদিস এবং অতিতের বিজ্ঞদের থেকে জ্ঞান অর্জন।

পরবর্তী সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর চূড়ান্তভাবে আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ যেমন আত্মসমর্পণ করেছিলেন নবী ইব্রাহিম আ:। >>> রাসূল সা: এর যুগে কি এইভাবেই মুসলমান হত? তারা কিভাবে কাফির বা অবিশ্বাসী থেকে মুসলিম বা আত্মসমর্পনকারী হতো? আপনি কি সেই ভাবে ইসলামকে কবুল করেছেন? কোথায়? কখন? না করে থাকলে আপনার পরিচয় কি? গভীর ভাবে ভাবুন। ৩. মুমিন কোন স্তরের মুসলিমকে বলা হয়? => মুমিন ও মুসলিম দুটি আলাদা শব্দ। মুমিন হলো তারাই যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহতে, ফেরেশতাদের উপর, কিতাবসমূতে, নবী রাসূলদের উপর, পরকালে, মৃতু্র পরের জীবন কে। মুমিন তারা যারা কিতাবসমুহে এবং সর্বশেষ গ্রন্থ কোরআনে বিশ্বাস স্থাপন করে।

অতপর যখন কোরআনের আদেশ বা বিধি বিধানগুলো আল্লাহ নাজিল করেন তখন সেগুলোতে যারা নির্ধিদায় আত্মসমর্পণ করে তারা হলো মুসলিম। এবং সূরা আল ইমরানের ৬৪ নং আয়াতে আল্লাহ মুসলিম হতে হলে ৩টা শর্ত পূরণের কথা বলেছেন। এছাড়াও মুমিন এর সংঙ্গা আছে সূরা আনফাল এর ২ নং আয়াতে এবং সূরা মুমিনুন এর ১-১০ নং আয়াতে। আমরা মুসলিমরা প্রথমে ঈমান এনে মুমিন হয়েছি এবং পরবর্তীতে আল্লাহর বিধান সমূহের নিকট আত্মসমর্পন করে কোরআন ও সহীহ হাদিসের অনুসরণ করে মুসলিম বা আত্মসমর্পণকারী হিসেবে জীবন যাপন করছি। এখন আপনারা মুসলমানদের খবর কি বলেন? >>> উদ্ধৃতি ঠিক আছে।

কিন্তু তার ছাচেঁ কয়জন টিকবে? আর কথাটা ভুল বল্লেন- "আমরা মুসলিমরা প্রথমে ঈমান এনে মুমিন হয়েছি !" বরং এটাই সঠিক আমরা প্রথমে ঈমান এনে বিশ্বাসী হয়েছি। এবং তারপরের স্থান মুমিনদের। যা অর্জন করতে হয় ইবাদত এবং আমল দিয়ে। আমরাইতো ঠিক আছি। আপনারা মিলিযে দেখে নিন ভ্রান্তি এবং শুধরে নিন ভুল বিশ্বাসগুলোকে।

আল্লাহ তৌফিক দিন। ৪. আজানে দৈনিক পাচঁবার যে স্বাক্ষ্যদেন - আশহাদু আন্না মোহাম্মাদার রাসূলাল্লাহ" কেন? => মহানবী সা: আল্লাহর রাসুল বা বার্তাবাহক এই স্বাক্ষ্য দেওয়ার মাধ্যমে আমরা এটাই ঘোষনা করি যে, তিনি যা বলেন সব সত্য, আল্রাহর আদেশেই তিনি আল্লাহর বাণী গুলো আমাদের জানিয়েছেন, নির্ধিদায় কোন টু শব্দ না করে তার আনুগত্য করা ফরজ, তাকে জীবনের চেয়েও বেশী ভালবাসতে হবে তবে আল্লাহর চেয়ে না। আমরা একমাত্র আল্লাহর হুকুমেই তার আনুগত্য করি। তা না হলে উনারও আনুগত্য করার কোন প্রশ্নই উঠে না। শুধু মাত্র আল্লাহর নির্দেশের জন্যই আমরা উনার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত এবং তা শুধু মাত্র আল্লাহর জন্যই।

>>> আপনাদের বিশ্বাসও মৃত ! আপনাদের স্বাক্ষ্যও মৃত! আপনি জ্ঞান করুন, শুধূ এই কথাগুলো বলার জন্য কত শত সাহাবা রক্ত, জীবন, সম্পদ সকল দিকে আক্রান্ত হয়েছেন! তারা দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। অথচ আপনাদের মৃত উচ্চারন কারো কোন প্রতিক্রিয়া নেই!!!সাথে মিশে আছৈ অবোধ অহম (তবে আল্লাহর চেয়ে না। আমরা একমাত্র আল্লাহর হুকুমেই তার আনুগত্য করি। তা না হলে উনারও আনুগত্য করার কোন প্রশ্নই উঠে না। শুধু মাত্র আল্লাহর নির্দেশের জন্যই আমরা উনার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত এবং তা শুধু মাত্র আল্লাহর জন্যই।

)!!! আল্লাহ বলছে তাই মানি!!! আল্লাহ কি আপনের কানে কানে কইছে? কে জানাইছে? এই রাসূলই জানাইছেন। তিনি বছলেন তাই আল্লাহরে আল্লাহ নামে চিনেন। অথচ আবার কি নির্বোধ অহংকারে বলেন আল্লাহর চেয়ে বেশী তারে ভালবাসবেন না!!!না বাসলে কি হবে কিছূ হবে??? আল্লাহ কি আগে বুঝেন। রাসূল কি আগে চিনেন তারপর দেখবেন নিজের অহম, অজ্ঞানতা সব ঝড়ে যাবে। তখনই প্রকৃত মুসলিম হতে পারবেন- আত্মসমর্পিত সেই মহান সত্তার কাছে- যেখানে অহমের কোন স্থান নেই, যেখানে অবাধ্য আর অজ্ঞানের কোন প্রবেশাধীকার নেই সেই প্রকৃত মুসলিম প্রকৃত মুসলমান প্রকৃত আত্মসমর্পনকারী হলেই বুঝবেন কে মুসলিম আর কে মুসলমান।

৫. আল্লাহ পাক কি করেন? => কোরআন পড়েন। >>> হাসালেন ভাই। কোরআনতো আমাদের পাঠের জন্য। আল্লহ কেন কোরআন পড়তে যাবেন। যিনি এটা নাজিল করছেন তারতো পড়ার দরকার নেই।

তিনিতো দাতা। গ্রহীতা তা পড়বে আমল করবে। বোঝার চেষ্টা করবে। আল্লাহ সম্র্পকে কি ভুল ধারনাই না অন্তরে পোষন করনে। অথচ কোরআনে দেখূন আল্লাহ নিজে কি বলছেন- إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا (56 আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন।

হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর। সূরা আহযাব, আয়াত-৫৬, সেই মিলাদ, সেই দরুদ আল্লাহ শুধূ নিজে করেননা সাথৈ েফরেশতাদের উত্তম মাহফিল সহকারে; তাই মুমিনদেরও তাগিদ দেন- আদব আর ইজ্জতের সাথে প্রেম এবং ভালবাসায়, ভক্তি এবং আনন্দে উত্তম মাহফিল সহযোগে সেই রাসূলের প্রতি সালাম পাঠাতে। আল্লাহ সকলকে সত্য উপলদ্ধি করা তৌফিক দান করুন। পড়া মূখস্ত করা আর বোঝা যেমন একার্থ নয়, তেমনি জানা আর জ্ঞানুধাবন এক নয়। আল্লাহ সকলকে হেদায়েত নসীব করুন।

-আমীন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।