আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কথা রাখেনি ভারত। বাংলাদেশ আরেকটি ফারাক্কার অপেক্ষায় !!

সত্যবাদী হতে চেয়েও পারলাম না!!! ২০১০ ও ২০১১ সালে দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণায় মনমোহন সিং অঙ্গীকার করেছিলেন, "টিপাইমুখে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, যাতে বাংলাদেশের ক্ষতি হয়। " ভারতের বিদ্যুৎমন্ত্রী ও মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গত ২২ অক্টোবর বরাক নদের ওপর টিপাইমুখ নির্মাণের জন্য চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে দিল্লিতে। আর এটি শেষ হবে ৮৭ মাসে। ঝুঁকির কবলে বাংলাদেশ। টিপাইমুখ অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা।

বাঁধটি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভাটি অঞ্চলে থাকা আসাম ও বাংলাদেশের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। পরিবেশবাদীরা বলছেন, টিপাইমুখে জলাধার ও বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে বিরাট এলাকার পাহাড়-জঙ্গল পানিতে ডুবে যাবে এবং অনেক লুপ্তপ্রায় প্রাণিসম্পদ ধ্বংস হবে। ঘর আর জীবিকা হারাবে বহু মানুষ। ১৯৭৬ সালে ভারত কোলকাতা বন্দরের নাব্যতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যের কথা বলে বাংলাদেশের উজানে গঙ্গা নদীর ওপর একতরফা ভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালু করে। বলা হয়েছিল ফারাক্কা বাঁধ পরীক্ষামূলক, কিন্তু ঐ পরীক্ষা এখনো শেষ হয়নি !! এর ফলাফল কারো অজানা নয়।

ফারাক্কা চালুর পর বিগত তিন দশকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৮০ টি নদী শুকিয়ে গেছে এবং ইতিমধ্যে ১৭টি নদীর কার্যত মৃত্যু ঘটেছে। বরাক নদীর ওপর বিশাল এই বাঁধ তৈরি হওয়া মানে ভাটিতে আমাদের নদীগুলো পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়া, শুকনো মৌসুমে পানির আকালে মেঘনা অববাহিকা কার্যত মরুভূমি বনে যাওয়া, আর বর্ষাকালে বাধ খুলে দেয়ার ফলে সিলেট অঞ্চলে বন্যার তীব্রতা বৃদ্ধির সেই পুরনো ফারাক্কা ধাঁচের কাহিনী। প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল কি চুপ থাকবে ?? শেয়ার করুন সবার সাথে। সচেতন করুন সবাইকে, এখনই সময়। টিপাইমুখ বাঁধ বাংলাদেশের জন্য কতটা হুমকি স্বরূপ বুঝতে পারছেন ??!! আমরা আরেকটি ফারক্কা চাই না।

সূত্রঃ অপ্রিয় যত সত্য সহ্য করার ক্ষমতা আছে কি ? বিস্তারিত ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।