আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা জার্মানিতে

লেখার কিছু নাই.. রেজাউল করিম ছোটন... অবাক মনে হলেও একথা সত্য। এই জার্মানিতেই অভিবাসী পরিবারের বহু মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একটি সমীার রিপোর্ট থেকে বেরিয়ে এসেছে এই সত্যটি। জার্মানির পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এই প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী একটি সমীা চালায়। ল্য ছিল একটাই এদেশে অভিবাসী পরিবারে মেয়েদের আদৌ জোর করে বা তাদের অমতে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে কিনা তা জানা।

আর সেটা হলে, তার সংখ্যাটা কতো! সমীার ফল অবাক করবার মতো, তবে অপ্রত্যাশিত নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৮৩০টি ‘কনসাল্টেশন সেন্টার’-এর সরবরাহ করা তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে এই সমীায়। অন্যতম নারী অধিকারবাদী সংগঠন ‘তের দ্য ফাম’ এবং হামবুর্গভিত্তিক ‘লাভেৎস’ পুরো সমীা পরিচালনা করে। যে চমকপ্রদ সত্যটি উঠে আসে তা হলো, ২০০৮ সালে জার্মানিতে অন্ততপে ৩,৪৪৩-টি জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ ঘটনাই অবশ্য ঘটেছে বিদেশি বংশোদ্ভূত পরিবারে।

জানান অভিবাসীদের জার্মান সমাজে সম্পৃক্ত করার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারিয়া ব্যোমার। জার্মান পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ক্রিস্টিনা শ্র্যোডার বলেন, জার্মানিতে মেয়েদের জোর করে বিয়ে দেওয়া আইনত নিষিদ্ধ। যাদের জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়, তাদের মধ্যে খুব অল্প সংখ্যাক মেয়েই সাহস করে পুলিশের কাছে যায় অথবা যেতে সম হয়। এেেত্র, এ ধরণের ঘটনা রোধ করা সহজসাধ্য নয়। তাই ‘‘আমার ধারণা, সরকারি হিসেবের বাইরেও এহেন বহু ঘটনা ঘটে চলেছে - যা আমাদের অগোচরেই রয়ে গেছে’’ সম্প্রতিক এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যাদের জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়, তাদের প্রায় ২৩ শতাংশের জš§ তুরস্কে, ৮ শতাংশের সার্বিয়ায়, কসোভো বা মন্টিনেগ্রোয়, ৬ শতাংশের ইরাক বা আফগানিস্তানে, ৫ শতাংশের সিরিয়ায়, ৩ শতাংশ মরোক্কোয় এবং ২ শতাংশের জš§ আলবানিয়া, লেবানন অথবা পাকিস্তানে।

অর্থাৎ বাকি প্রায় ৩৫ শতাংশের জš§ জার্মানিতে। আশ্চর্যের বিষয়, যারা এহেন ঘটনার শিকার, তাদের অন্তত ৪৪ শতাংশ জার্মান পাসপোর্টধারী। তবে শুধুমাত্র জার্মান নাগরিকত্ব কোনো রাকবচ নয়। কারণ, বেশিরভাগ েেত্রই মেয়েটি পারিবারিক অনুশাসনের ফলে নিজের মত না থাকলেও বিয়ে করতে বাধ্য হয়। পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, এরা ১৭ থেকে ২১ বছরের মধ্যে এবং এদের প্রায় ৮৩.৪ শতাংশ মুসলমান।

তাই বিদেশি বা বিদেশি বংশোদ্ভূতদের জার্মান সমাজে সম্পৃক্ত করার জন্য ছোট থেকেই প্রয়োজন জার্মান ভাষার শিা। অভিবাসীদের জার্মান সমাজে সম্পৃক্ত করার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারিয়া ব্যোয়মার বলেন, বাবা-মার কাছ থেকে স্বাধীন হয়ে একটি আত্মবিশ্বাসী, স্বাধীনভাবে বেছে নেওয়া জীবন চালানোর চাবিকাঠি হচ্ছে জার্মান ভাষার শিা। তিনি মনে করেন, জোর করে বিয়ে দেওয়া মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন। ব্যোয়মার চান স্কুলের মাধ্যমেও ইস্যুটি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো হোক। পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ক্রিস্টিনা শ্রোয়ডার জার্মানির মুসলিম সংগঠনগুলিকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার এই প্রথা রোধে বড় রকমের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি মনে করেন, নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে নারীদেরও। অন্যদিকে, জার্মানি থেকে প্রাপ্ত বা অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের বিদেশে নিয়ে গিয়েও জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। তাই এবার, তাদের আবার জার্মানিতে ফিরে আসার অধিকারকেও স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত জার্মানি। সেই সূত্রেই এ সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়ার কথা জানান ব্যোমার। তিনি বলেন, তুরস্ক অথবা অন্যান্য দেশ থেকে আসা নারীদের প্রায়ই যেভাবে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়, তা আর চলতে দেওয়া যায় না।

’ সুত্র: ইন্টারনেট ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।