আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাত বেঁধে সালাত আদায় এবং জামাতে তারাবীর নামায বেদায়াত

আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি। হাত বেঁধে সালাত আদায় হাত বাঁধা অবস্থায় সালাত আদায় নবী পরিবারের(আঃ) অনুসারীদের (শিয়া) ফিকাহশাস্ত্রে বিদায়াত বা হারাম বলে পরিগনিত। আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী(আঃ) বলেন,নামাজীরা যখন আল্লাহর সম্মুখে দাঁড়ায় তখন যেন হস্তদ্বয়কে পরস্পরের উপর না রাখে ( অর্থাৎ হাত না বাধে) কারন এরুপ আমল দ্বারা মাজুসী কাফের সাদৃশ্য প্রকাশ করে( ওয়াসায়েলুস শীয়া,খন্ড ৪,অধ্যায়-১৫,হাদিস-৭)। প্রখ্যাত সাহাবী আবু হামিদ সায়েদী একদল সাহাবী যাদের মধ্যে আবু হোরায়রা দুসী,সাহাল সায়েদী,আবু ওসাইদ সায়েদী,আবু কাতাদাহ,হারেস ইবনে রাবয়ী এবং মোহাম্মাদ ইবনে মোসলামাহও ছিলেন তাদের জন্য মহানবী(সাঃ) থেকে নামায পড়ার পদ্বতি এবং ছোট-বড় মোস্তাহাবও বর্ননা করেছেন,কিন্তু এরুপ কোন আমলের কথা(হাতের উপর হাত বাধা)বর্ননা করেননি(বায়হাকী সুনান ২/৭২,৭৩,১০১,১০২, সুনানে আবু দাউদ ১/১৯৪ বাবে এফতেতাহে সালাত,হাদিস ৭৩০,৭৩৬,তিরমিজি সুনান ২/৯৮ বাবে সেফাতুস সালাত)। স্পষ্টতই যদি মহানবী(সাঃ) কদাচিত একাজটি করতেন তবে তা তিনি বর্ননা করতেন এবং উপস্তিত ব্যক্তিবর্গকে স্মরন করিয়ে দিতেন।

সায়েদীর হাদিসের অনুরুপ হাদিস হাম্মাদ ইবনে ঈসার মাধ্যমে ইমাম জাফর সাদিক(আঃ)এর ভাষায় আমাদের হাদিস গ্রন্থসমুহে বর্নিত হয়েছে [ওয়াসায়েলুশ শিয়া ৪ বাব-১,(আফয়ালে সালাত) হাদিস-৮১] । সাহল ইবনে সা’দ থেকে বর্নিত হাদিসে আমরা পাই যে, হাত বেধে নামায পড়া মহানবী(সাঃ)র পরে চালু হয়েছে। কারন তিনি(সাহল ইবনে সা’দ) বলেন, “মানুষকে একাজের জন্য আদেশ করা হত”। যদি মহানবী(সাঃ)-এর আদেশ হতো তবে তার সাথে সম্পৃক্ত করা হতো(ফাতহুল বারী ২/২২৪ এবং সুনানে বায়হাকী ২/২৮)। জামাতে তারাবীর নামায বেদায়াত তারাবীর নামায মহানবী(সাঃ)এর অনুসরনে আদায় করা মোস্তাহাব বলে পরিগনিত।

শিয়াদের ফেকাহ মোতাবেক রমযান মাসের রাতগুলোতে মোট ১০০০ রাকায়াত নামায আদায় করা মোস্তাহাব,কিন্তু এ নামাযগুলো জামায়াতে আদায় করা বেদায়াত। অবশ্যই নামাযগুলো একাকী(ফোরাদা) মসজিদে এবং অধিকাংশ সময় ঘরে আদায় করতে হবে। যায়েদ ইবনে সাবেত মহানবী(সাঃ) থেকে বর্ননা করেছেন,কোন ব্যক্তির জন্যে ঘরে নামায আদায় করা মসজিদে নামায আদায় করার চেয়ে উত্তম যদি না তা ওয়াজিব/ফরজ নামায হয়। কেননা ওয়াজিব/ফরজ নামাযগুলো মসজিদে আদায় করা মুস্তাহাব(তুসী,খেলাফ কিতাবুস সালাত,মাসয়ালা-২৬৮)। হযরত উমর ইবনুল খত্তাব বলেন(রাঃ),জামাতে নফল নামায একটি বেদায়াত,এটিকে বেদায়াতে হাসানাহ গন্য করতে হবে(বুখারী,খন্ড ২,পৃঃ২৫২,কিতাবে সালাতুত তারাবিহ)।

রাসুল(সাঃ) ঘোষিত ৫ম ইমাম বাকের(আঃ) বলেন,মুস্তাহাব নামাযগুলো জামায়াতে আদায় করা যাবে না এবং দ্বীনের ক্ষেত্রে যে কোন প্রকার বেদায়াতই পথভ্রস্টতা যার পরিনতি হলো আগূণ(সাদুক খেসাল ২/১৫২)। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।