আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইফতার ও রোযা

রোজাদারের পুরস্কার স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা দিবেন। এমটি ই বলা হয়েছে। আল্লাহ নিজেও খান না। সে হিসেবে এটি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের গুণ। তাই রোজাদারে পুরস্কার স্বয়ং আল্লাহ পাক।

রমযানে একটি আমলের ছওয়াব ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়। একটি ফরয ৭০টি ফরযের সমান। একটি নফল একটি ফরয বরাবর হয়ে থাকে রমজানের বরকতে। প্রত্যেক ইফতারের সময় একটি ও সেহরীর সময় একটি দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। রমযানের প্রত্যেকটি রোযা রাখা ও তারাবীর নামায পড়ার পর যখন ঈদের নামায পড়বে একদম নিষ্পাপ হিসেবে রোযাদারকে গণ্য করা হবে।

সেহরী এবং ইফতারের সময়কার খাওয়ার হিসাব আল্লাহতায়ালা নিবেন না। তবে খাবার দাবারে সাদেকি সহজ সরল পন্থা অবলম্বণ করাই শ্রেয়। রমযানে বেশি থেকে বেশি নেক আমল করার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ হাদীসে বলা হয়েছে ধ্বংস হোক ঐ ব্যক্তি যে রমযান পাইলো অথচ তার গুনাহ সমুহ মাফ করাতে পারলো না। রমযান মাসে শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়।

রমযান মাসে প্রত্যেক সুস্থ মুসলমানের জন্য দিনের বেলা খাওয়া হারাম। একটি ফরয রোযার কাফ্ফারা একাধারে ৬০ টি রোযা রাখা । মধ্যে একটি ভেঙে ফেললে আবার ষাটটি। হদীস শরীফে আছে রোযা ঢাল স্বরূপ। রোযা রাখা মানুষের রিপুকে দূর্বল করে দেয়।

হুযুর সাঃ এরশাদ করেন তিন ব্যক্তির দোআ ফেরৎ দেয়া হয়না। এক , ইফতারের সময় রোযাদারের দোআ দু ই ন্যায় বিচারক বাদশাহর দোআ তিন, মজলুম ব্যক্তির দোয়া । আল্লাহ তায়ালা তার দোয়া মেঘের উপর উঠিয়ে নেন। আসমানের সকল দরজা উহার জন্য খুলে দেয়া হয়্ । তাই কারো মনে কষ্ট দিতে নেই।

জুলুম করতে নেই। সাচ্ছা দিলে কষ্ট দিলে আল্লাহ তায়ালা নারাজ হন। যে আত্নীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করলো সে যেন আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করলো। সাধবান। দুনিয়াবী সামান্য স্বার্থে সম্পর্ক নষ্ট করা নির্বুদ্ধিতা ।

হারাম পয়সার খাবার দিয়ে সেহরী ইফতার করলে রোযা শুদ্ধ হয় না। এক লোকমা পরিমান হারাম খাবার খেলে ৪০ দিন পর্যন্ত তার কোন ইবাদত কবুল হয় না। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।