আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গল্প: এক পুরুষ তাকে বলুক রমনী

নিশীথ রাতের বাদল ধারা এক পুরুষ তাকে বলুক রমনী “রিতা আপা, আপনি কি ব্যস্ত? সন্ধ্যা হয় হয়, খুব নরম, মনকাড়া মায়াময় আলো আকাশে! নীড়ে ফেরার রঙ এমনই হয় বোধহয়। চা হাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছিলাম। হঠাৎ করে ফোনের আওয়াজে চমকে উঠলাম। কতবার যে ভেবেছি একটা হাল্কা মিষ্টি সুর রিংটোন হিসাবে সেট করব। আলসেমী করে করা হয় না।

প্রায়ই আমি অন্যমনস্ক হয়ে যাই, তখন সনি-এরিক্সনের ডিফ্লট ঝমঝমাঝম বাজনা আমাকে হতচকিত করে বাস্তবে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এখনো তাই হল। চমকে উঠে ফোন ধরে তিথির গলা শুনে আরো একটু অবাক হলাম। ও তো কোনদিন আমাকে ফোন করেনি। আমার বন্ধু শাহানার অফিসের জুনিয়র কলিগ।

বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে আমার সাথে। অনেক গল্প করেছি। খুব লক্ষীমন্ত মিষ্টি একটি মেয়ে। “আরে তিথি! কেমন আছ? “ভাল আছি। আপনি কি ব্যস্ত আপু? বিরক্ত করছি নাতো?” “একদম না, চা খাচ্ছিলাম।

বল, তোমার খবর টবর কি?” “এইতো চলছে আপু। আপনি কেমন আছেন?” “আমি আছি ভালই। কাজ—বাসা--কাজ এই রুটিন চলছে। “ “আমি একটু আপনার সাথে কথা বলতে চাই। আপনার সময় হবে?” মেয়েটার গলাটা কেমন ভারী ভারী শোনাচ্ছে।

কেঁদেছে হয়তো কিছুক্ষন আগে। আল্লাহ মেয়েদের এত অভিমানী একটা মন কেন দেন কে জানে! এত জল কেন থাকে চোখে! “অবশ্যই হবে তিথি। কি হয়েছে আপু? তুমি ঠিক আছ তো?” “আপু আমি ভাল নেই। আপনি হয়তো জানেন না কিন্তু আপনাকে আমার খুব ভাল লাগে। আপনাকে দেখলেই মনে হয়, আপনি আমার খুব কাছের—আপনাকে আমার কষ্টের কথা বললে আপনি জাজ করবেন না।

আমাকে একটা ঠিক পথ দেখিয়ে দেবেন। “ কি বলব খুঁজে পেলাম না। আমার নিজের জীবনের জটিল গোলকধাঁধা থেকে বের হবার পথ আজো খুঁজে পাইনি। কিন্তু এটা সত্যি যে আমার কারো দুঃখ ভাল লাগে না। কিছু করতে না পারি, তাদের কথা তো মন দিয়ে শুনতে পারি! “তিথি, কোন পথ ঠিক আর কোনটা সোজা, তা আমি জানি না, কিন্তু তোমার আমাকে সব বলে যদি হাল্কা লাগে, আমি অবশ্যই তোমার কথা শুনব।

“ “আপু অনেক সময় নেব কিন্তু। “ “কোন অসুবিধা নেই আপু। তুমি বল। “ তিথি বলে চলল তার গল্প—স্বপ্নভঙ্গের নিদারুন গল্প—যার শুরু অনেক প্রেমময় প্রতিশ্রুতিতে কিন্তু শেষ প্রঞ্চনার জমাট কষ্টে! তিথি ছাত্রজীবন থেকে অয়ন নামের একটি ছেলেকে ভালবাসতো। এক ক্লাসে পড়তো ওরা।

তাই সকাল থেকে সন্ধ্যে অব্দি এক সাথে কাটতো। এক সাথে গান, কবিতা পড়া, লেখাপড়া সব কিছু। অয়ন গিটার বাজিয়ে শোনাতো আর তিথি পরীক্ষার সব নোটস রেডি করে দিত। অয়নের বাবা-মা ডিভোর্সড ছিলেন, অয়ন বাবার সাথে থাকত। বাসায় সারাদিন কেউই থাকতো না।

একুশ বছরের দুই তরুন তরুনী কি মুগ্ধ আবেশে, অনির্মেষ তাকিয়ে থাকত একে অন্যের দিকে—কি বিশ্বাসে, ভালবাসার গভীর আশ্বাসে! তিথির জন্মদিনে অয়ন গেয়েছিল— কেটেছে একেলা বিরহের বেলা আকাশকুসুমচয়নে। সব পথ এসে মিলে গেল শেষে তোমার দুখানি নয়নে॥ দেখিতে দেখিতে নূতন আলোকে কি দিল রচিয়া ধ্যানের পুলকে নূতন ভুবন নূতন দ্যুলোকে মোদের মিলিত নয়নে॥ বাহির-আকাশে মেঘ ঘিরে আসে, এল সব তারা ঢাকিতে। হারানো সে আলো আসন বিছালো শুধু দুজনের আঁখিতে। ভাষাহারা মম বিজন রোদনা প্রকাশের লাগি করেছে সাধনা, চিরজীবনেরি বাণীর বেদনা মিটিল দোঁহার নয়নে॥ সত্যি তিথি জানত, “পৃথিবীর সব প্রেম আমাদের দু’জনার মনে”। কিন্তু মাস্টার্সের পর পর সব কিছু কেমন এলোমেলো হয়ে যেতে লাগল।

অয়নের বাবা যিনি আগে কখনোই ছেলের ভালমন্দের খোঁজও নেননি, হঠাৎ করে ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে উৎকন্ঠিত হয়ে উঠলেন। ওকে দেশের বাইরে পড়তে পাঠানোর জন্য তোড়জোড় করতে লাগলেন। কিন্তু তারথেকে আরো আশ্চর্য হচ্ছে, যেই অয়ন বাবাকে একদম সহ্য করতে পারত না, সে-ই বাবার আদেশ শীরোধার্য করে বাইরে যাবার প্রস্তুতি নিতে থাকল। খুব দ্রুত বদলে যেতে থাকল সবকিছু—কারন অয়ন বদলে গেল যে—যে ছিল তিথির সবকিছু। একদিন চলেই গেল ও ইংল্যান্ডে।

মাস খানেক পরে জানাল, এই লং ডিস্টেন্স সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার কোন মানে হয় না। চুকে বুকে গেল এত দিনের স্বপ্ন এক নিমিষেই। চাকরীটা পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেল ও। বাসায় ডিপ্রেসড হয়ে বসে থাকা অসহনীয় উঠছিল। সবার সাথে অকারণ খারাপ ব্যবহার করত।

চাকরীর সুবাদে নুতন এক জগতের জানালা খুলে গেল ওর কাছে। সত্যি ছোটবেলায় কোটেশনের খাতায় লিখে রাখা একটা লাইনের মত—জীবনে যখন একটি দরজা রুদ্ধ হয়ে বন্দীত্বের অসহায়ত্ব ঘিরে ফেলে, তখন একটি জানালা উন্মুক্ত হয়ে মুক্তির কিরণে মনকে উদ্ভাসিত করে। কিন্তু আবার বহুল প্রচলিত আরেক কোটেশন “অভাগা যেদিকে যায়, সাগর শুকিয়ে যায়” নুতন করে ওর জীবনে সত্য হয়ে এল। “আপু আমার পাশের টেবিলের আহসানকে মনে আছে?” “হ্যাঁ! গতবার ও তো অনেক আড্ডা দিল আমাদের সাথে। সিঙ্গারা খাওয়াল।

“ “রিতা আপু, আহসান আমার ব্যপারে হঠাৎ ইন্টারেস্ট দেখানো শুরু করল। আমি ওকে অনেক বার বল্লাম, আমার জীবনের ঘটে যাওয়া সব ঘটনা দূর্ঘটনার কথা—বল্লাম আমার পক্ষে অন্য কাউকে নিয়ে ভাবা সম্ভব না!” “সেটা কি খুব খারাপ তিথি? একটা ভুল বা একটা মিসহ্যাপের জন্য জীবন তো থেমে থাকবে না। জীবনের ব্যাপ্তি কিম্বা দাবী যে অনেক বড়। আহসান কে তোমার ভাল না লাগলে সেটা অন্য ব্যাপার কিন্তু তোমার অয়নকে ভুলে আবার নুতন করে জীবন সাজাতে হবে আপু! সারাটা জীবন সামনে পড়ে আছে তোমার--” “নাহ আপু, আহসানকে ভাল না লাগার তো উপায় নেই। এত যত্ন করে, এত খেয়াল রাখে আমার।

সব জেনেও আমার প্রতি ওর এত টান—ভাললাগারই কথা যে কোন মেয়ের। আমিও ক্রমশঃ দূর্বল হয়ে যাচ্ছিলাম আপু, আবারো স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ছিলাম। “ “বাহ সেটা তো ভাল খবর!” “আপু শুনুন বাকীটা। আমি একদিন আহসানের সাথে অফিসের পর আশুলিয়া গিয়েছিলাম বেড়াতে। ও এত খুশী, অনেক হাসছিল, সেটা দেখতে ভালই লাগছিল।

কিন্তু সেখানে নদীর উপর একটা বাঁশের রেষ্টুরেন্টে ও আমাকে কিস করতে চাইল। আমি হঠাৎ খুব রিএক্ট করলাম—তাতে ও রেগে গিয়ে যা ইচ্ছা তাই বলল আমাকে। আমি মিলাতেই পারছিলাম না। কেউ তার ভাললাগার মানুষকে এই ভাষায় গালাগাল দিতে পারে। আমি যে ওখান থেকে কি করে বাড়ি ফিরেছি আমি জানি না।

“ আমি কি বলব বুঝে পেলাম না। এ যুগের ছেলে মেয়েরা এত অস্থির। এরা যে কি চায় কে জানে। কাউকে দেখে বুঝার উপায় নেই কিছু। আমার নিরবতা দেখে তিথি আবার বলতে শুরু করল, “আহসানের ব্যপারটা আমাকে তেমন এফেক্ট করল না---আমার ক্ষুদ্র জীবনের কঠিনতম কষ্টের তুলনায় এই ঘটনা তো নস্যি, তাই না বলেন আপু! আমার সাথে ও আর কোন কথা বলেনি।

কিন্তু সবাইকে কি বলে বেড়িয়েছে কে জানে, অফিসের সবার হাবভাব বদলে গেল আমার প্রতি। চারদিকে সবসময় ফিসফিস। আমি দাঁতে দাঁত চেপে, মুখবুঝে, চোখ নামিয়ে নিজের কাজ করে যেতে লাগলাম। নেহাতই দরকার না পড়লে কারো সাথে কথা বলতাম না। শাহানা আপু অনেকবার জিজ্ঞেস করেছেন আমাকে কিন্তু ঊনাকেও কিছু বলতে পারিনি কারন আহসান উনার ডিরেক্ট জুনিয়র।

ওর ক্যারিয়ারে কোন ক্ষতি হোক আমি তা চাই না। “ আমি মেয়েটার কথায় খানিক বিস্মিত হলাম। নাহ, এদের জেনেরেশনের সবাই খুব খুব কোল্ড ক্যালকুলেটিভ স্বার্থপর নয় তাহলে, অপকারীর উপকার করার মত বোকাও আছে দু-একটা। “আপু এদিকে হয়েছে আরেক ঝামেলা। আমার ছোট খালা আমার একটা বিয়ের প্রস্তাব এনেছেন।

বাসার সবাই খুব পছন্দ করেছে, আমাদের মত সাধারন মধ্যবিত্ত শিক্ষিত ছিমছাম পরিবার। আমাকে অনেক প্রেসার দিচ্ছে ছেলেটার সাথে দেখা করার জন্য। একদিন বাধ্য হয়ে আমি ফোনে কথা বললাম ছেলেটার সাথে। এবং আমি নিজেই খানিক অবাক হয়েছি আপু। আমার ঊনার সাথে কথা বলে ভাল লেগেছে।

খুব মার্জিত কিন্তু সেন্স অব হিউমার দারুন। আমার অফিসে ঊনার ফ্যামিলি খোঁজ নিয়ে অনেক নাকি গসিপ শুনে এসেছেন। আমারকে বললেন, বাঙালি রটনা ভালবাসে, আর যা রটে তার কিছুটা বটে হওয়াই স্বাভাবিক কিন্তু একদিন আপনি অনুমতি দিলে আপনার কাছ থেকে আমি আপনার ভার্সান শুনতে চাই। আপনি এমন আহামরি সুন্দরী নন, তাহলে আপনাকে নিয়ে এত রটনা কেন হবে বুঝতে পারছি না, অঙ্ক মিলছে না—সেজন্যই আপনার গল্পটা ইন্টারেস্টিং হবে বলে মনে হচ্ছে। “ আমি যখন বল্লাম দেখুন আমিতো পরীক্ষা দিতে আগ্রহী নই, উনি হাসতে হাসতে জানালেন, উনি নিজেই পরীক্ষা দিতে চান।

উনার জীবনও নাকি ঘটনাবহুল—আমাকে সব জানাতে চান। সব জেনে আমার মত পরিবর্তন হতেও পারে। আর আমি নিজে বিয়ে না করলেও ঊনাকে হয়তো একটা ভাল মেয়ে খুঁজে দেব—সেটাই উনার লাভ! কালকে উনার সাথে দেখা করতে যাবার কথা। আপু আমি কি করব? আমি আর কোনদিন পৃথিবীর কাউকে বিশ্বাস করতে পারব বলে মনে হয় না। আপনি বলে দিন আমার কি যাওয়া উচিত?" আমি চুপ করে থাকলাম।

কি বলব? আমার জীবনে যে এসেছিল, তিনি পুরুষ-কার কি জানতেন না। তার গগণচুম্বি অহং ছিল কিন্তু “স্বামী” শব্দের মানে তিনি শিখতে চান নি। একটি মেয়ে যতই স্বাবলম্বী হোক, আমাদের সমাজের রীতি অনুযায়ী স্বামী তার পত্নীর দায়ভার নিবেন। মেয়েটি নিবে তা স্বামীর দায়ভার। সংসারে দুইজনের ভূমিকা দুইরকম।

একে অন্যের শূন্যতাকে পূর্ণতা দিবেন, কেউ কাউকে দমিত করে নয়, সহযোদ্ধা সহযাত্রী হিসাবে দেখবেন। নিজের অহং দুজনেই যদি অন্যের জন্য ত্যাগ করতে পারেন, তাহলেই সেই সংসার সুখের হবে—শান্তির হবে আস্থায় ভালবাসায়। এই সাধারণ কথাটাই তাকে বোঝাতে পারিনি কোনদিন। এই চাওয়া ফেমিনিন, ফেমিনিস্ট নয়—এটা বোঝার ক্ষমতাও তার ছিল না। এমন মুহুর্তে মাথায় কোথা থেকে ঘুর ঘুর করা শুরু করল আমার বন্ধুর লেখা এক কবিতা—মাঝে মাঝে এমন হয় আমার—চিন্তার ধারা কোথা থেকে যে কোথায় যায়।

“অতটুকু চায়নি বালিকা ! অত শোভা, অত স্বাধীনতা ! চেয়েছিলো আরো কিছু কম, আয়নার দাঁড়ে দেহ মেলে দিয়ে বসে থাকা সবটা দুপুর, চেয়েছিলো মা বকুক, বাবা তার বেদনা দেখুক ! অতটুকু চায়নি বালিকা ! অত হৈ রৈ লোক, অত ভীড়, অত সমাগম ! চেয়েছিলো আরো কিছু কম ! একটি জলের খনি তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি, চেয়েছিলো একটি পুরুষ তাকে বলুক রমণী !”** শেষলাইনটি আমাকে আগেও অনেক জ্বালিয়েছে। এখনো জ্বালাচ্ছে। আমি কিছু বলছি না দেখে তিথির তাড়া-- “আপু, কিছু বলেন। আমি খুব অস্থির। “ “তিথি তুমি অনেক কিছু পার হয়ে এসেছ।

তোমার মনের জোর আছে, আত্মসন্মানবোধের তীব্রতা আমাকে মুগ্ধ করেছে, একই সাথে তুমি অনেক অনেক সংবেদনশীল। তুমি যার ঘরে যাবে সে অনেক ভাগ্যবান। শুধু দেখে নিও নুতন যিনি আসছেন তোমার জীবনে তিনি যেন পুরুষ হন, দায়িত্ববোধ যেন তার সহজাত হয়। স্ত্রীকে তিনি জয় করবেন পেশী শক্তিতে নয়, উপহারের প্রাচুর্যে নয় কিম্বা নেহাতই সস্তা চাটুকারীতায়!” “হু আপু, কিন্তু--” ওকে বলতে দিলাম না! আমাকে যেন বক্তৃতা দেবার ঝোঁকে পেয়েছে। আমার জীবনের অপূর্ণতা থেকে গড়গড় করে বলে চল্লাম, “তিনি যেন উদার হন, নিজের সীমাবদ্ধতা বা ভুল স্বীকার করে যিনি নিজেকে ক্ষুদ্র মনে করবেন না, যিনি তোমাকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করবেন শুধু ভালবাসার প্রতিযোগীতায়, সামান্যে তার অহং আহত হবে না, সত্য বা ন্যায্য কথা বলতে পিছপা যেমন হবেন না তেমনি তোমার প্রাপ্য সুখ্যাতি করতেও একতিল দ্বিধা বোধ করবেন না।

“ “আপু কেউকি এমন হবে বলেন? সবাই নিজের সুপিরিয়র বা ইনফেরিয়র কমপ্লেক্স নিয়ে ব্যাতিব্যস্ত, অক্টোপাসের মত ইগোর ৮টা সুর আছে সবার। “ সত্যি কি বলছি এসব? মনে হচ্ছে অর্জুন আর কৃষ্ণের কথোপকথন! হাসতে হাসতে বল্লাম “এমন কাউকে না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। পতিপরমেশ্বর যিনি হবেন তিনি পতি হবার সম্ভাবনাই বেশী, ঈশ্বরতুল্য হবেন না, ধরেই রাখ। দেখো না ডিভোর্স রেট কি হারে বাড়ছে! তাই এত ভেব না। কথা বলে দেখ।

ভাল লাগলে ঝটপট বিয়ে করে ফেল। “ “পতিপরমেশ্বর পাব না, তবুও বিয়ে করতে বলেন আপু?” “হু বলি। ধরো যদি পেয়ে যাও তাকে? তাহলে জীবন কত সুন্দর হবে বল? না খুঁজ়লে, না চাইলে কি তাকে পাবে বল?” মনে মনে বল্লাম, “এই চাওয়ার শেষ নেই রে মেয়ে। নারীসত্তা সবসময়ই তাকে খুঁজে বেড়াবে। চাইবে---“এক পুরুষ তাকে বলুক রমনী!” -------- **কবিতা: কবি আবুল হাসানের নিঃসঙ্গতা  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.