আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

''এক ঘুটে কুরানী রাজকন্যার গল্প''

জালালসী গ্রামে কাঁদামাটিতে সবুজের ছায়াঘেরা পরিবেশে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম কৃষক পরিবারে জন্ম নিয়েছিল এক রাজকন্যা। জন্মের সময় বিধাতা তার কপালে রাজটিজকা অর্থাৎ পবিত্র চিহ্ন অংকন করে দিয়েছিল। যা কেহ জানতে পারেনি্। গ্রামের কাঁদামাটিতে বেড়ে উঠা মেয়েটি সারাদিন হাসত, খেলত, পড়ত আর সারা বাড়ী ঘুরে বেড়াত। কখনও পেয়ারা গাছে উঠে পেয়ারা পাড়ত, আবার কখন বাড়ীর পিছনের ঘা্টে বাধা নৌকা নিয়ে মধ্য মাঠে চলে যেত।

ঝলমলে পানিতে কলমি শাক তোলা্ । খুব ভোরে উঠে আম কুড়াতে যাওযা, বকুল ফুল কুড়িয়ে মালা গাথা। বিকালে ভাইবোন মিলে গোল্লাছুট্ খেলে সারাদিন কাটত তার দিন। আর মজার ব্যাপার হল তাকে খেলায় কেহ হারাতে পারতন। আবার সন্ধায় শান্ত হয়ে পড়তে বসা।

এক গ্রাম্য পরিবেশে বন জঙ্গলের সাথে বেড়ে উঠা একটি বুনো ফুলের নাম কৃষান কন্যা। উনিশ শ পচাত্তর সনে বড় ভাইয়ের নির্মম হত্যার পর মেজে ভাহযের সাথে নড়াইল চলে আসে। ফাইভে স্কলারসিপ পাওয়া ভাল ছাত্র কৃষান কন্যা ১৯৭৬ সনে নড়াইল শিব সংকর বালিকা বিদ্যালয়ে সেভেনে ভর্তি হল। সকলের প্রিয় কৃষান কন্যা ক্লাসে প্রথম হয়ে ক্লাস ক্যাপটেন নির্বাচিত হল। পাশেহ জমিদার বাড়ী।

বান্ধবীদের সাথে হেসে খেলে কেটেছিল কিছুটা সময়। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আবার তাকে গ্রামে ফিরে যেতে হল। মান্তুকে আনিসা আপা (রৌউপ স্যারের স্ত্রী, আমাদের মেডাম) নাকী বলছিলেন-ওর কথা মনে হলে রবীন্দ্রনাথের ফটিক গল্পের কথা মনে পড়ে। আমার বাসায় ছেলে না থাকলে ওকে আমার কাছে নিয়ে আসতাম। '' কারন সেদিন নির্দোষ হয়েও সকল দোষ নিজ মাথায় নিয় কৃষান কন্যাকে নড়াইল ছাড়তে হয়েছিল।

এবার গ্রামের হাইস্কুলে কৃষান কন্যা ভর্তি হয়ে এসএসসি পাশ করে ১৯৮১ সনে আবার ফিরে এসে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজে একাদ্বশ বিজ্ঞানে ভর্তি হল। আবার নির্মম পরিনতি ! নড়াইলে স্থান হলনা। তাকে চলে যেতে হল ধর্ম সম্পকীয় আত্মীয়ের বাসা ঝিনাইদহে। সেখানে নতুন করে ভর্তি হল ঝিনেইদাহ কেসি কলেজে। নুতন পরিবেশে, নতুন বন্ধু বান্ধবীদের সাথে ভালই কাটছিল তার দিনগুলি।

আবার তার জীবনে নেমে এল দুর্যোগ। সামনে ফাইনাল পরীক্ষা। কিন্ত উপায় নাই। তাকে আবার এই স্থান ত্যাগ করতে হবে। ভাগ্যের লিখন না যায় খন্ডন।

ঠিক এমনি সময়ে সম্ভবত: ম্যাথমেটিকের নওয়াব আলী স্যার ট্রান্সফার হয়ে নড়াইল কলেজে গেলেন। তারপর তিনি তাকে তারঁ ছোট বোন হিসেবে ট্রান্সফার করে নিয়ে গেলেন আবার নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজে। এইচ,এস সি পাশ করার পর তার ইচ্ছা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালযে ভর্তি হওয়া। কিন্ত শেষ মুহুত বাবার অমত-বাবাকে তার মামী বলেছে-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে মেয়েরা বুড়ি হয়ে যায়, তারপর বিয়ে দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাহ পরিশেষে রাজশাহী আর পড়া হলনা।

পাস কোর্সে বিএসসিতে নড়াইল কলেজে ভর্তি হতে হল। সে যখন চতুর্থ ইয়ারের ছাত্রী। তখন হঠাৎ একদিন বাই দি বাই গোপালগঞ্জে বিয়ে হয়ে গেল। প্রথম সন্তানের জন্ম হল। আর সে স্বামী সন্তান নিয়ে গোপালগঞ্জ হয়ে চলে এল ঢাকায়।

১৯৮৬ সনে যাত্রাবাড়ী ভাড়ার বাসায় নুতন জীবন শুরু হল। বিএসসির রিজাল্ট হবার পর জগন্নাথ কলেজ থেকে বোটানীর জন্য ফরম এনেও নানা সমস্যার কারনে ভর্তি হতে পারেনি। ঘটে গেছে অনেক দু্:খজনক ঘটনা কিন্ত জীবন থেমে থাকেনি। ১৯৯০ সনে যাত্রাবাড়ীর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে চাকুরী নিয়ে ১৯৯১ সনে আবার নিয়তীর নির্মম পরিহাসে হয়ে গেল ফার্মগেট খামারবাড়ীর শিক্ষিত খামার শ্রমিক। শুরু হল এক কঠিন জীবন ! তারপর একসময় শেষ হল, আর সেখান থেকে একসময় কৃষি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়ে।

শুরু হল আর এক সংগ্রামী যান্ত্রিক জীবন ! সে জীবনে চলতে গিয়ে নিজের নামটি পর্যন্ত সে ভুলে গেল। কৃষি মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি বাজেট শাখায় কর্মরত যেখানে কাজের পরিধি বিস্তৃত। হঠাৎ ২০০৪ সনে ব্রেন টিউমার তার ভারতের সিএমসি হাসপাতালের বিখ্যাত নিউরো সার্জন ডা: আরি চাকু কতৃর্ক রিকোভার। আল্লাহর মেহেরবানীতে নতুন জীবন। তারহ মাঝে দুটি অসহায় সন্তানের দায়িত্ব দিয়ে তার স্বামীর আকস্মিক মৃতু।

যা ছিল সেদিন বড়ই নির্মম আর বেদনাদায়ক ! তারপরও একসময় সকল প্রতিকুলতা কাটিয়ে নদীর কুলের স্পর্শ পেল। কিন্ত নিয়তী বড়ই নির্মম !আবারও সেই সাদা শাড়ীতে ঢাকা কপিনটি রক্তাক্ত হল, ক্ষত বিক্ষত হল, জ্বলন হল, পিড়ন হল কিন্ত কিন্ত কিছুই করতে পারেনি। জ্বলে জ্বলে এক সময় বোবা হয়ে গেল। নিরবে কেদেঁ কেদেঁ এক সময় স্তব্দ হয়ে গেল। পরিবারের, সমাজের এহ নিষ্টুর মুখগুলি কেবল মনের কোনায় ভেসে রইল।

সে চিৎকার করে কাদঁতে চাইল কিন্ত পারেনি কারন তার সন্তানেরা তার মুখের দিকে চেয়ে থাকে। তার হাসিতে তারা হাসে তার কান্নায় তারা কাদেঁ। সেত তাদের কাদাঁতে পারেনি। এমনকি যাদের জন্য সে সারাটি জীবন মাথার ঘুমটা খুলেনি সেই আপনজনেরা চারদিকে ছড়িযে আছ, সে কেমন করে তাদের অপমান করবে ? সে তখন তার পরিবার কৃষি মন্ত্রনালয়কে নিয়ে বাচঁতে চাইল। কিন্ত ক্রমান্বয়ে তারাও তাকে আঘাতে আঘাতে ক্ষত বিক্ষত করল।

তার দাবী দাওয়াগুলি তাদের পদদলে ক্ষত বিক্ষত হয়ে রক্তাক্ত হল। যা সে মেনে নিতে পারেনি। তাই অবশেষে সে তার কৃষক বাবার কাচিঁ হাতে তুলে নিয়ে রুখে দাড়াল অন্যায়, অবিচার, অমানবতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে। ২০০৯ সনে নুতন আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের পর হঠাৎ একদিন সে দেখল আমাদের সময় পত্রিকায় (৩১শে মার্চ,০৯) সাবেক রাষ্ট্রদুত ওয়ালীউর রহমা্ন স্যার লিখেছেন-'গণতন্ত্রকে বাচাতেঁ হলে চাহ সর্বাত্ত্বক প্রচেষ্টা'' আমি সেদিন আমার কাচিঁর ধার পরীক্ষার জন্য স্যারের লেখার উপর রাহট আপ করলাম। স্যার ভিষণ খুশি হলেন।

আবার তিনি লিখলেন সুনিতা পাল সম্পর্কিত। সে লিখল। ঠিক এহভাবে এক মাসের বেশি সময় ধরে চলতে থাকল লেখালেখি। তিনি তার বাংলায় লেখা গল্প পড়তে ভিষণ আগ্রহী হয়ে তার রিয়েল নাম, ব্যাকগ্রাউন্ড, আইডেনটিটি জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠলেন। কিন্ত সে তার ছদ্ধ নাম বাঙ্গালী বলে লিখত।

কিন্ত সে তার নাম বলতে চাইনি কারন নাম বললেই তার লেখা বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি আবার নড়াইলের এসএম সুলতানের ভিষণ ভক্ত। তিনি হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার। কেবল বলেছিল-স্যার আমার লেখা সব শেষ করার পরই আপনি আমাকে অরজিনার প্রোফাইলে দেখতে পাবেন। আর তখনই সে ভাবতে শুরু করল -আমি কে ? কোথা থেকে এসেছি ? আর ঠিক তখনই সে দেখতে পেল ইতোমধ্যে সে অনেক সঙ্ঘায় সঙ্গাযিত হয়ে গেছে।

কখনও রবীন্দ্রনাথের সাধারন মেয়ে, মানসী, কখনও কাজী নজরুলের বিদ্রোহী নারী, কখনও বঙ্গবন্ধুর বাঙ্গালী আবার কখনও অসাধারন বাঙ্গালী নারী। অবশেষে সে দেখতে পেল সে নড়াইলের জালালসী গ্রামে এক কৃ্ষক পরিবারে কাদাঁ মাটিতে জন্মগ্রহন করেছিল আজও তার গায়ে কাদাঁমাটির গন্ধ সে শুনতে পায়। তারপর এক সময় সে তার বোবা কান্নার গল্প বাংলায় কোথায় প্রকাশ করতে না পেরে ফেসবুক ওপেন করে প্রতিনিয়ত তার কৃষান ভাবনা গুলি লিখে গেছে। তারপর এক সময় তার লেখা পড়ে পাকিস্তান ইনলাভ হিউানিটি মিশন তাকে তাদের অগ্রানাইজার হিসেবে নিযোগ করে। কিন্ত সে তাদের সাথে কাজ করতে পারেনি।

তখন সে বাংলার পতাকার উপর তার কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশন তেরী করে। তখন তার অফিস হতে তাকে মেন্টাল পেসেন্ট হিসেবে আখ্যাযিত করা হয় তখন সে বাংলাদেশ সচিবালয় হতে বেরুবার পথ খুজঁতে থাকে। তারপর ১৬ ডিসেম্বর,২০১০ সে সোহরাওয়ার্দী উদ্যা্ন হতে বাংলার গরীব, দু:খী ও অসহায় মানুষের মুক্তির ঘোষণা দিয়ে তার বিজয় ঘোষণা করে বের হয়ে যায়। কিন্ত তার এহ বিজয়কে সরকার মেনে নিতে পারেনি। অনেক ঘাত প্রতিঘাতের পর একসময় কৃষান কন্যা থার্ড পাটি অব বাংলাদেশ ঘোষনা করে।

তার অনেক সপ্ন। আজ সে রানী হবার সপ্ন দেখে। তাইত দেশ বিদেশের অনেক বন্ধুরা তাকে অনেক কথা বলে। তার বন্ধুর সংখ্যা পাচ হাজার। লন্ডন হতে ইকবাল আহমেদ বলেছিল-মুফতী আমিনির খেতাব প্রাপ্ত রাবেয়া বশরী ঘুটে কুরানী রাজকন্যা আজ রানী হবার সপ্ন দেখে।

আসলেই তাহ আমি বাংলার রানী হবার সপ্ন দেখি । (অব্যাহত) -কৃষান কন্যা রাহিলা, ২ নভেম্বর,২০১১ খ্রি:। View this link View this link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।