আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোথায় সে শেকড়

নিঃস্বার্থ মন্তব্যকে ধন্যবাদ, সাময়িক ভাবে আমি মন্তব্যে নেই আমরা কত যে গরীব ছিলাম মনে পড়বে না। অস্থিসার সেই তরুণকে মনেই পড়বে না কারো । অযত্নে তোলা ছবি বংশধরের দেয়ালে এক কোনায় ঝোলে। খুব বেশী বছর আগের নয়। এক চিলতে জমিনের ভূমিদাস ছিল, লাঙ্গলের সাদা প্যাক লেগে থাকত তার গোড়ালিতে।

রোদে পুড়ে এক বস্ত্রে সেই চাষা তার সন্তানকে জাগিয়ে ধরেছেন দুই হাতে। এতটুকু জল স্পর্শ করে নি, কাদা নাগাল পায় নি শরীরে কোথাও। পায়ের তলা মাটি খেয়েছিল তার। কাঁধে জোয়ালের দাগ বসে গিয়েছিল আফ্রিকার ক্রিতদাসের মত। ফ্লাশব্যাকে দেখতে পেয়েছি রেলগাড়ি থামছে হুইসেল দিয়ে।

বাদামী ঘোলা চোখে পুত্রের ব্যাগ তুলে দিয়ে যাচ্ছে সেই দরিদ্র মানুষ । টেলিগ্রাম এসেছে সন্তান সুখী হয়েছে নগরের আলোয়। চাকুরী খুঁজে পেয়েছে। দরিদ্র মানুষটির সুখ হয় নি আর কোন দিন। কিন্তু তিনি হয়তো স্বর্গ থেকে দেখছেন তার সন্তান নানান ভাষায় কথা বলতে জানে ।

হাতে সোনালী ঘড়ি সময় দিচ্ছে টিক টিক। সময় অনুযায়ী লুচি পরোটা, ভাত গোশত আসছে । জন্মদিন হচ্ছে। ফোন বাজছে, নেট পুড়িয়ে আদান প্রদান করছি সবাই। এই গরমশীত বাড়ি, উপরে ঝরণার মত জল ভিজিয়ে দেয় শরীর, আর অলস বিড়ালের মত টিভি দেখে ঘুমিয়ে যাওয়া।

এসব দেখে এই প্রজন্মের শিশুগুলো ভাবতেই পারবে না। এই সুখী গাছের শেকড়ে নিচু জাতের গরীব মানুষেরা ছবির মতন। হাল ঠেলছে, বিলে জাল ঠেলছে, বৃষ্টির জন্য উল্টো নামাজ পড়ছে। আর রূপহীন কালো রমনীরা বসে আছে স্বামীদের বেঁচে যাওয়া খাদ্যের জন্য। -- ড্রাফট ১.০/ সাময়িক / মন্তব্যকৃত ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.