আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই না হলে "আমজনতা" !

জাগ্রত বাঙ্গালি এক হও.... আগে বলতাম- "আমাদের জীবনটারে ত্যাঁনাত্যাঁনা করার অধিকার এসব রাজনীতিবিদদের কে দিয়েছে? কিভাবে তারা এরকম করে? আমরা সাধারণ জনগণ তো তাদেরকে এসব করার জন্য ভোট দেইনা। " -তবে এখন আমি ভুলটা বুঝতে পেরেছি। আসলে আমরাই তো ভোট দিয়েই তাদের এ অধিকার দেই। সরকারী দল বা বিরোধী দল সবই তো আমাদের ভোটেই হয়। সবই তো জনগণের সৃষ্টি।

সরকারি দল আমাদের অধিকার কেড়ে নিবে, আমাদের টাকা আত্মসাৎ করে নিজেরা আরাম-আয়েশ করবে, সেটাও যেমন আমরা জানি... একইসাথে বিরোধী দল সরকার বিরোধী আন্দোলন করে লাগাতার হরতাল দিয়ে আমাদের জীবনটাকে অতিষ্ট করে তুলবে- সেটাও আমরা জানি। সব কিছু জেনেই তো আমরা তাদের ভোট দেই.. সব কিছু জেনেই তো আমরা তাদের ক্ষমতায় পাঠাই। সবকিছু জেনেই তো আমরা তাদের সংসদে পাঠাই। তাদের ভুল ধরিয়ে দেয়ার কথা না বলে আমরাই তো তাদের পক্ষে সাফাই গাই। আমরাই তো বলি- তাদের বিরুদ্ধে এ সব কিছুই অপপ্রচার! তাদেরকে ভালো প্রতীয়মান করার জন্য আমরাই তো মুখে ফেনা তুলে ফেলি।

ছিঁচকে চোর পেট চালানোর দায়ে চুরি করলে গণধোলাই দিয়ে তাকে মেরে ফেলি, আর সারা দেশের মানুষের টাকা বিলাসিতার জন্য যখন আমাদের মন্ত্রী-মহোদয়েরা চুরি করে, তখন আমরা তাকে আসতে একবার, যেতে একবার সালাম দেই। এই না হলে আমরা - "আমজনতা" আবার অন্যদিকে বিরোধী দল হরতাল করে যখন দেশের বারোটা বাজায়, দেশের অর্থনীতির চাকা বন্ধ করে দেয়, মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করে মানুষকে পঙ্গু করে ফেলে, তখন তারা বলে সাধারণ জনগণের ভালোর জন্যই তারা হরতাল দিয়েছে। যদি মানুষ কাজই করতে না পারে, ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষাই দিতে না পারে-- তখন সেসব পরিবারকে চালানোর টাকা কি আপনারা দিবেন...??? এভাবে পরীক্ষার মাঝে হরতাল দিয়ে যে সেশন জট তৈরি হচ্ছে, সেই সময়টুকু কি আপনারা ফিরিয়ে দিতে পারবেন??? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।