আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১/১১ এর নেপথ্য কারণ, আমার নিজস্ব চিন্তাধারা। মানা না মানা আপনার ব্যাপার !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে", "এ্যান্টি ব্লগারদের ঘৃণা করুন", "দাঁতভাঙ্গা জবাব দেন", "অশ্লীল মন্তব্যকারীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলুন", "প্রয়োজনে তাদেরকে ব্লক করুন" (কিছুটা ধারনা আর কিছুটা যুক্তিনির্ভর লেখা। ) ১/১১ এর ব্যাপারটি যে পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা এবং কেন ১/১১ তৈরী করা হয়েছিলো, এই ব্যাপারটি নিয়ে আমি গত জাতীয় নির্বাচনের অনেক পূর্বেই আমার এক নব্য এস আই বন্ধুর সাথে আলাপ করছিলাম। আমি আমার বন্ধুকে বললাম, প্রতিটি দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলই শক্তিধর বিশেষ কোন দেশের বিশেষ কোন দলের দ্বারা প্রভাবিত। আমার ধারণা, বি এন পি যুক্তরাষ্ট্রের রি-পাবলিকপন্থী অর্থাৎ বুশপন্থী দল আর আওয়ামীলীগ ডেমোক্রেটপন্থী অর্থাৎ ওবামাপন্থী দল। যখন যুক্তরাষ্ট্রে বুশপন্থী দল ক্ষমতায় আসবে, বাংলাদেশে নির্বাচন হলে তখন বি এন পি ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা ৯৯%-১০০% আর যখন ওবামাপন্থী দল ক্ষমতায় আসবে, বাংলাদেশে নির্বাচন হলে তখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা ৯৯%-১০০%।

সারা বিশ্বে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে যুক্তরাষ্ট্র তথা বুশ প্রশাসন আর তার দোসররা যা শুরু করেছিলো, বিশ্বের মানুষে এর থেকে পরিত্রান পেতে চেয়েছিলো। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেট দল তথা বারাক হোসেন ওবামা তার নির্বাচনী বানী প্রচার করলেন, “ আমরা পরিবর্তন চাই "। তখনকার বিশ্ব পরিস্থিতিতে এটি মোটামোটি নিশ্চিত ছিলো যে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচনে ওবামার দল ক্ষমতায় আসছে। আমার ধারণা, আওয়ামীলীগ চিন্তা করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের প্রায় দুই বছর বাকী আছে। এই “প্রায় দুই বছর” যদি কোন ভাবে আটকানো যায়, তাহলে তাদের ক্ষমতায় আসার পথ আর ঠেকায় কে ?????????????? তাইতো তত্বাবধায়ক ইস্যুতে নানান ঘটনা ঘটানো হলো।

যে পর্যন্ত তাদের সমর্থিত ব্যক্তি তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রধান অথবা প্রধান উপদেষ্টা না হলো, সেই পর্যন্ত কি ঘটানো হলো তা আর বলার অবকাশ নেই। চূড়ান্ত ঘটনা ১/১১। অবশেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হলো। শুরু হলো “প্রায় দুই বছর” সময় অতিবাহিত করার অভিনব পন্থা। তারা ঘোষনা দিলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য “ছবি সম্বলিত ভোটার আই ডি কার্ড” তৈরী করবেন তারা।

ভালো কথা। খুবই আশার কথা। এটি দেশের সকল নাগরিকেরই কাম্য। কিন্তু এটি করতে দুই বছর সময়ের প্রয়োজন কেন ? এক বছর বা দেড় বছর নয় কেন, কেন দুই বছর প্রয়োজন ? কারন ঐ একটাই। ঐ সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে।

সারা বিশ্বের সবাই এক প্রকার নিশ্চিত যে, বারাক হোসেন ওবামা ক্ষমতায় আসতেছে। কাজেই আওয়ামীলীগও তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারও এটি আগেই জানে যে, বারাক হোসেন ওবামা ক্ষমতায় আসলে আওয়ামীলীগও ক্ষমতায় আসবে। এখানে “ছবি সম্বলিত ভোটার আই ডি কার্ড” এর ব্যাপারটি ছিলো আসলে দুই বছর সময় অতিবাহিত করার অযুহাত। কারন পূর্বে যেই নির্বাচন কমিশনার সুষ্ঠু ভোটের জন্য “ছবি সম্বলিত ভোটার আই ডি কার্ড” তৈরীর কথা বললেন, সেই নির্বাচন কমিশনারই ভোটের আগে বললেন, “ভোট কেন্দ্রে ভোটার আই ডি কার্ড নেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। ” তাহলে কেন সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে ভোটার আই ডি কার্ড তৈরীর জন্য দুই বছর সময় নেয়া হলো ??????????????? কারণ ঐ একটাই।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলের আশা। আর আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় আসা। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছে। যেমন বুশের আমলে ক্ষমতায় এসেছিলো বি এন পি !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।