আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সীম মেমোরী বিক্রয় !! সাবধান ধোঁকা খাবেন না।

জাবেদ ইকবাল। ছোটকা থেকেই লেখালেখি তার এক ধরণের বদ অভ্যাসে পরিণত হয়। গত কয়েকদিন ধরে দেশের সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিনে এক চমকপ্রদক বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। এই বিজ্ঞাপন দেখে মনে পড়ল প্রায় এক বছর আগে এমনই এক বিজ্ঞাপনের সর্বস্ব হারিয়েছেন আমার কাছের এক বন্ধু। আশ্চর্য ব্যাপার, এই সেই ব্যক্তি।

আজকের ২৯-১০-২০১১ বাংলাদেশ প্রতিদিনের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় ক্রয়-বিক্রয় কলামে আবারও এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। সীম মেমোরী বিক্রয় : ঈদ অফার, টাকা থাকলেই জমজমাট ব্যবসা, সারাদেশব্যাপী মোবাইল কার্ড, সেট-সীম পাইকারী, ৫০ টাকার প্রিপ্রেইড কার্ড=৪২/=, ২৫ কার্ড =২০/- , ২০ কার্ড= ১৭/-, ১০০ টাকার কার্ড=৭৭/-, সকল সীম =৫০/- , ১ জিবি,২ জিবি, ৪ জিবি মেমোরী ১ বছরের গ্যারান্টি কার্ডসহ =৮০/- , নকিয়া ৩১২০,৫১৩০ ক্লাসিক সেট =২৪৫০/-, অনলাইনে লেনদেন, তাক্ষনিক ডেলিভারী, পাইকারী ব্যবসায়ীরা যোগাযোগ করুন। লিপু # ০১৯১১৪৯৪৯১১ সি:২৭৮৯৫/১১ কে এই বিজ্ঞাপন দাতা এবং প্রতারণার সত্য এক ঘটনা !! প্রায় এক বছর আগে আমার সহজ সরল এক বন্ধু ব্যবসা করতে ফেনী থেকে ঢাকা আসছিল। কালের কন্ঠ পত্রিকায় এমন বিজ্ঞাপন দেখে সে উক্ত লিপু # ০১৭১২০৫৮৯২৬ এই নম্বরে যোগাযোগ করে। প্রতারক লিপুকে সে এত কম দামে কিভাবে সম্ভব প্রশ্ন করলে লিপু জানায়, তারা কোটি কোটি কার্ডের ব্যবসা করে মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলোর সাথে তাই এত কম দামে সরাসরি বিক্রি করে।

সহজ সরল বন্ধু প্রতারক লিপুর কথায় মুগ্ধ হয়ে কার্ড কিনতে রাজি হয়। লিপু জানায়- সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকার কার্ড কিনতে হবে। বন্ধু নিজেকে মধ্যবিত্ত বলে সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকার কার্ড ক্রয়ের কথা বললে এক পর্যায়ে লিপু রাজি হয়ে যায়। এরপর লিপু জানায়- ৫ হাজার টাকা মতিঝিল ব্র্যাক ব্যাংকে জমা করে ব্যাংকের রশিদ নিয়ে মতিঝিলের কৃষি ব্যাংকের ৫ম তলায় এসে মালামাল নিয়ে যেতে বলে। বন্ধু প্রথমে অফিসে আসতে চাইলে প্রতারক লিপু জানায় - ব্যাংকের রশিদ ছাড়া গেট দিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয় না।

বন্ধু আমার থেকে ১৫০০/- এবং আরেক বন্ধু থেকে ১৫০০/- এবং নিজের ২০০০/- মোট ৫০০০ টাকা নিয়ে মতিঝিল ব্র্যাক ব্যাংকে আমিনুল ইসলাম, একাউন্ট নং-১৫৩১২০১৮৪৯৬৯২০০১ -এ জমা করে। জমার পর সে প্রতারক লিপুর নাম্বারে ফোন দিলে সে ফোন ধরেনি। এক পর্যায়ে বন্ধু ওই অফিসে গিয়ে দেখে এই নামে ফোন অফিস নেই এবং এক লোক জানায়- বেশ কয়েকদিন ধরে অনেকে এইভাবে এই অফিস খুজঁছে। অবশেষে বন্ধু বুঝতে পারে সে প্রতারণার স্বীকার হয়েছে এবং বাসায় এসে আমাকে ধরে সে কি কান্না। প্রথমে আমি মনে করছিলাম হয়ত ছিনতাই ধরেছে, পরে এই কাহিনী শুনে মনটাই খারাপ হয়ে যায়।

পরের দিন ব্ন্ধুকে নিয়ে মতিঝিল থানায় যাই এক একটি সাধারণ জিডি করি। জিডির কপি মতিঝিল ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে জমা দিয়ে দেই এবং সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে একটা ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করি। কিন্তু ম্যানেজারের আচরণ খুবই রহস্যজনক ছিল যাতে কিছুই বুঝার বাকি রইল না। পরবর্তীতে থানায় যোগাযোগ করলে কর্মরত ওই ব্যক্তি কিছুই করতে পারেন নি। আজকের ২৯-১০-২০১১ বাংলাদেশ প্রতিদিনের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় ক্রয়-বিক্রয় কলামে আবারও এমন বিজ্ঞাপন এক বছর আগের কথা মনে পড়ল।

সামু বন্ধুরা আপনারা চাইলে ক্রেতা সেজে প্রতারক লিপু # ০১৯১১৪৯৪৯১১ ফোন করে কথা বলতে পারেন। তবে এবার ঠিকানা বলে - মতিঝিল, কাওরান বাজার, ফার্মগেট, উত্তরা এবং ব্যাংক একাউন্ট হিসেবে সে ডাচ বাংলা ব্যাংক ব্যবহার করে। সাবধান সামু বন্ধুরা !!! অন্যদের এই বার্তাটি জানান। নয়তো দেশের অনেকে সহজ-সরল ভাইরা এই ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।