আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাদ্দাফির হ্যাভেন অন আর্থ লিবিয়া, আলু পত্রিকার রিপোর্ট

কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস গাদ্দাফির শাসনকালীন লিবিয়া নিয়া আলুপত্রিকার একটা রিপোর্টের কিছু অংশ এইরকম, নাগরিক জীবনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে জনগণকে অনেক সহায়তা দেওয়া হতো গাদ্দাফি সরকারের আমলে। বলা যায়, প্রায় রাজার হালেই ছিলের গাদ্দাফির প্রজারা। আধুনিক সময়ের নগরজীবনের অন্যতম প্রধান চাহিদা বিদ্যুত্। আর লিবিয়ার জনগণ সেই বিদ্যুত্ ব্যবহার করত পুরোপুরি বিনামূল্যে। সরকারনিয়ন্ত্রিত ব্যাংকগুলো থেকে বিনা সুদে ঋণ দেওয়া হতো নাগরিকদের।

তেলসমৃদ্ধ দেশটির তেল বিক্রি করে যে টাকা আয় হতো, তা সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হতো লিবিয়ার সব জনগণের ব্যাংক হিসাবে। গাড়ি কেনার সময় লিবিয়ার নাগরিককে গাড়ির মূল্যের অর্ধেক সরকার থেকে ভর্তুকি দেওয়া হতো। তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ায় প্রতি লিটার পেট্রলের মূল্য ছিল মাত্র ০.১৪ ডলার। মাত্র ০.১৫ ডলারে পাওয়া যেত ৪০ স্লাইসের বড় রুটি। গাদ্দাফি সরকারের ৫০ হাজার ডলার সহায়তা পৌঁছে যেত প্রতিটি নববিবাহিত দম্পতির কাছে।

যেন তাঁরা বাড়ি কিনে স্বাচ্ছন্দ্যে তাঁদের নতুন জীবন শুরু করতে পারেন। সন্তান জন্ম দেওয়ার পরও লিবীয় মায়েরা সরকারের কাছ থেকে পেতেন পাঁচ হাজার ডলার করে। পড়াশোনা বা চিকিত্সাসেবার জন্য কেউ বিদেশে গেলে তাঁকে মাসে দুই হাজার ৩০০ ডলার দেওয়া হতো সরকারের তরফ থেকে। গাদ্দাফি ক্ষমতায় আসার আগে লিবিয়ায় স্বাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ২৫ শতাংশ। শিক্ষাখাতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিয়ে সেই সংখ্যাটা ৮৩ শতাংশে নিয়ে গিয়েছিলেন গাদ্দাফি।

পুরোপুরি বিনামূল্যে শিক্ষা ও চিকিত্সাসেবা পেত লিবিয়ার জনগণ। সেখানকার ২৫ শতাংশ মানুষের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি আছে। পড়াশোনা শেষ করে কেউ যদি চাকরি না পেত, তাহলে বেকার থাকা অবস্থায় সরকারের কাছ থেকে ভাতাও পেত তারা। কৃষিখাত উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বিশাল অবদান ছিল মুয়াম্মার গাদ্দাফির। কৃষিকাজকে পেশা হিসেবে নিতে ইচ্ছুক লিবিয়ার জনগণকে জমি, খামারবাড়ী, বীজ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি দেওয়া হতো সরকারের পক্ষ থেকে।

সবই বিনামূল্যে। গাদ্দাফির লিবিয়ার কোনো বৈদেশিক ঋণ তো ছিলই না, বরং বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ছিল ১৫০ বিলিয়ন ডলার। সূত্র: খারিয়ান টাইমস। এখনকার দিনে হাবিজাবি অনেক কিছুই ক্রস চেক করা যায় ইন্টারনেটে । শখ জাগলো এইসব জিনিস একটু চেক কইরা দেখি ।

চেকের কিছু ফলাফল । *লিবিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বা রিডিসকাউন্ট রেট ছিলো ৪%। এবং অন্যান্য কমার্শিয়াল ব্যাংকের জন্য সুদের হার ঠিক করা ছিলো সর্বোচ্চ ৬.৫% । লিবিয়ার সেন্ট্রাল ব্যাংকের মনেটারি পলিসি মাইনিউটস থেকে পাওয়া গেলো সুদের হার । অবশ্য স্বীকার করতে হয়, এই হার বেশ নিচের দিকেই ।

Resolution no. (8) of the year 2004 related to cutting down the rediscount rate applied by the Central Bank of Libya from 5.0% to 4.0%. Resolution no.(39) of the year 2005 concerning the uniformity of debited interest rates on all loans and credits granted by the commercial banks to be equivalent to the rediscount rate of the Central Bank of Libya plus a percentage not exceeding 2.5%. http://cbl.gov.ly/en/home/index.php?cid=71 সেন্ট্রাল ব্যাংকের ওয়েবসাইট পুরাপুরি এখন পাওয়া যাচ্ছে না । কি কারণে যেন ২০০৫ সালের মনেটারি পলিসি সংক্রান্ত এই পেজটা পাওয়া যাচ্ছে । *পেট্রোলের দাম সৌদি আরবে প্রতি লিটার ০.১২ ডলার । তেল উৎপাদক দেশে তেলের দাম কম হওয়াতে শাসকের কিছু নাই । ছৈদি বাদশারাও তাইলে ফেরেশতা ।

(Click This Link) (Click This Link) *লিবিয়ার বৈদেশিক ঋণের পরিমান ৬৫০ কোটি ডলারের মত । (Click This Link) *লিবিয়ার বৈদেশি মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ১০৭ বিলিয়ন ডলার । ১৫০ না । এটা ঠিক যে মাঝারি আয়ের দেশ হিসাবে ১০৭ বিলিয়ন ডলারও বেশ ভালো এমাউন্ট । (Click This Link) *খারিয়ান টাইমস নামে কোন পত্রিকা খুইজা পাইলাম না অনলাইনে ।

পাইলাম ফাকিস্তানের এক শহরের নাম খারিয়ান । প্রথমালু কি ফাকিস্তানের লোকাল পত্রিকাগুলারও গ্রাহক নাকি ? বাকিগুলা যাচাই করতে হইলে লিবিয়ায় গিয়া জিজ্ঞাসিব জনে জনে করতে হইবো । আলু পত্রিকার রিপোর্টার হিসাবে কি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছাগল নিয়োগ দেয়া হয় নাকি আজকাল । (কম্পিউটার ভাইরাস নিয়া সেই কালজয়ী রিপোর্টের কথাও মনে করলাম এইখানে) আসলে এই ইন্টারনেট হোক্সটা গত চারমাস যাবৎ বিভিন্ন ফোরামে ঘুরাঘুরি করতেছিলো । কে বা কারা এইটা শুরু করছে সেটা জানা যায় না ।

আলাদা আলাদা তথ্যগুলা নিয়া কোন সোর্স দেয়া নাই । যেখানেই যারে সোর্স জিজ্ঞাসা করা হইছে সে দেখাইয়া দিছে এইরকম আরেকটা জায়গা । গাদ্দাফির মরার পরে অবশ্য মোমিনদের জোশে এটার প্রচারণা তুঙ্গে । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।