আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছয় মাস আগে বিয়ে হয় করিম ও অপহৃতা সুরমার (সত্য চাপা থাকে না)

পিতা-মাতার মতেই ছয় মাস আগে বিয়ে হয় বিশ্বনাথের বৃটিশ পাসপোর্টধারী ১৩ বছর সাত মাস বয়সের অপহৃতা জাহেদা আক্তার সুরমা ও কথিত অপহরণকারী আবদুল করিমের। করিম এবং সুরমার পরিবারের মধুর সম্পর্ক আর আর্থিক লেনদেনের কারণেই বিষয়টি বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। আর এ বিয়ে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক গত ২০শে মার্চ করিমের ভাগিনা একই গ্রামের গজম্বর আলীর বাড়িতে ঘরোয়া পরিবেশে স্থানীয় লোকজনদের উপস্থিতিতে মসজিদের ইমামের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এই দিন স্ট্যাম্পে একটি লিখিত চুক্তি হয়। স্ট্যাম্পে বর-কনের স্বাক্ষর ছাড়াও সৎ পিতা আবদুল কাহার, গ্রামের আমির আলী, চান্দ আলী, মনসুর আহমদ, মসজিদের ইমাম মাওলানা ফজলে হকের স্বাক্ষর রয়েছে।

এসময় অনুষ্ঠানের ভিডিও রেকর্ড করা হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানের রেকর্ডকৃত সিডিতে সুরমার সৎ পিতা আবদুল কাহারকে সব সময় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। স্ট্যাম্পেও স্বাক্ষর করেন তিনি ও উপরোল্লিখিতরা। স্বাক্ষরকারী ছাড়াও এলাকার মুরব্বিরা উপস্থিত ছিলেন। সরকারি আইন মতে, কাবিন রেজিস্ট্রারি না হওয়ায় উভয়পক্ষের পাকা কথা হয় বিয়ের পর সুরমার ১৮ বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত মায়ের কাছে থাকবে এবং ১৮ বছর পূর্ণ হলে কাবিননামা করে করিম তুলবে।

কিছুদিন ভালই চলছিল তাদের এ সম্পর্ক। কিন্তু হঠাৎ করে সব কিছু যেন উলটপালট হয়ে যায়। যত সময় গড়াচ্ছে ততই সুরমার পরিবারের কুকীর্তি বেরিয়ে আসছে। সৎ পিতা আবদুল কাহার ও মাতা সূর্যবান বিবির কারণেই শিশুটির উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে এমন ঝড় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া সৎ পিতার বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ উঠেছে।

যেভাবে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ: হঠাৎ করে করিমদের না জানিয়ে গোপনে যুক্তরাজ্যে পাঠানো প্রস্তুতি নেয় সুরমার পরিবার। এমন খবর পেয়ে করিম ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এদিকে অপহরণের ৫ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ অপহৃতাকে উদ্ধার কিংবা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বর্তমানে এলাকার লোকজন অজানা ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ। বর্তমানে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী শিশু সুরমা অপহরণ নিয়ে পুরো উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সবার মুখে একই প্রশ্ন- বিয়ে যখন দিয়েছে তাহলে অস্বীকার কেন করা হচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, অপহৃত জাহেদা আক্তার সুরমা বৃটিশ পাসপোর্টধারী। যুক্তরাজ্য প্রবাসী মরহুম জমসেদ আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী সূর্যবান বিবির ২ ছেলে ও ৩ মেয়ে। জমসেদ আলী দ্বিতীয় স্ত্রীকে যুক্তরাজ্য নিতে পারেননি। এর মধ্যে বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়।

দুই ছেলে যুক্তরাজ্য চলে গেলেও ছোট দুই মেয়েকে নিয়ে সূর্যবান বিবি দেশেই বসবাস করে আসছেন। ইতিমধ্যে সূর্যবান বিবি একই গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে আবদুল কাহারকে বিয়ে করেন। এ ব্যাপারে, সুরমার ভাই প্রবাসী আজাদ হোসাইন আসামিপক্ষের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা দুই ভাই বাড়িতে নেই, বিয়ে কিভাবে হবে। সুরমার সৎ পিতা আবদুল কাহার বলেন, বিয়ের সিডি, স্ট্যাম্পের স্বাক্ষর সবই মিথ্যা। এসব তাদের সাজানো।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) চান মিয়া বলেন, অভিযান অব্যাহত আছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।