আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইহা একটি উর্বর মস্তিষ্কের অনউর্বর কল্পনা

খুব confusion............ ছোট থেকেই দাউদ ইব্রাহিম সুমেল হাসি খুশি প্রাণোচ্ছল আর আড্ডাপ্রিয়। আর পড়াশোনায় এক কোথায় অসাধারণ। এলাকার মুরুব্বিরা তাদের নিজেদের সন্তানের জন্য তাকেই আদর্শ মনে করে। সুমেল ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখত ডিফেন্সের বড় অফিসার হবে। কিন্তু সে যত বার ডিফেন্সে এক্সজাম দিয়েছে ততবারই হাইটের কারণে বাদ পড়েছে( অথচ নিউমার্কেট এ সে যত বার মেপেছে ততবারই তারা তাঁকে বলেছে সে ৫'৪'')।

অতঃপর ডিফেন্সের চিন্তা সে বাদ দিয়ে পড়াশুনায় মনোযোগী হয় । বছর তিনেক হল পড়াশুনার পাঁট ও শেষ। তার বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছেলে সরকারি চাকুরে হবে। তার নিজের ও সে রকম ইচ্ছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে সুমেলের মন মেজাজ ভালো যাচ্ছে না।

রাস্তায় বের হলেই মহল্লার পরিচিত মানুষ গুলো কেমন যেন একটা করুনার দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। অতি উৎসাহী কেউ কেউ প্রশ্ন করে তা সুমেল এখন আছো কোথায়? মানে জব করছ কোথায়(অথচ তার বেকারত্তের কথা সবাই জানে)? এসব কারণে ইদানিং সে অল্পতেই রেগে যাচ্ছে। আর যাবেই না কেন ম্যাক্সিমাম জায়গাতেই সে লিখিত পরীক্ষায় উত্তিন হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাকরিটি হয় না। তা ও আশায় বুক বেধে আছে। আজ না হোক কাল নিশ্চয়ই হবে।

সবজায়গাতেই এখন কোটা, ব্রিফকেস, রাজনৈতিক সনদ আর মামা খালুর ব্যাপার-সেপার। যার কোনটাই সুমেলের অনুকূলে নেই। এ পর্যন্ত তিনটা বি সি এস সে দিয়েছে। যার একটার ভাইভা পর্যন্ত ও সে গিয়েছিল কিন্তু হয় নি। এত দিন বাবা-মা তার অনুকূলেই ছিল কিন্তু ৩৪ তম বি সি এস প্রিলির রেজাল্ট দেয়ার পর তারা ও আর তার সঙ্গে ভালো ভাবে কথা বলছে না।

এবার সুমেল বলেছিল, অন্য সব বি সি এস থেকে এবার পরীক্ষা ভালো হয়েছে কিন্তু অবাক করা বিষয় সে এবার টেকেই নি! তার ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়টা দুমড়ে- মুষড়ে যাচ্ছে এ ফল দেখার পর থেকে। গত কাল রাতে সে পত্রিকা মারফত জেনেছে যাদের কোটা ছিল তারা ৫০/৫৫ পেয়ে টিকেছে অথচ সাধারন শিক্ষার্থী ৭৫ এ ও টেকে নি। বিক্ষিপ্ত নানা রকম চিন্তা করতে করতে রাতে সে ঘুমাতে গেছে। '' সুমেল দের বাসায় সকাল থেকে খুব উচ্চ কণ্ঠে তার বাবা-মা কথা বলছে। শুয়ে থাকার উপায় না দেখে সুমেল দৌড়ে সেখানে গেল।

তার মা তাঁকে দেখে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে আনন্দে কেঁদে ফেলল!! সুমেল কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। কি হয়েছে আজ সবার? সে বলল "বাসার সবাই এমন উচ্ছ্বসিত কেন মা? আমার কি কোন জব হয়েছে?" পাশ থেকে সুমেলের বাবা বলে উঠল তার চেয়ে ও বেশি কিছু হয়েছে। আজ তোর মা চুলা ধরানোর বাদ দাউয়া কাগজ খুজতে যেয়ে তোর নানার ''মেশিনগান'' সার্টিফিকেটটি খুঁজে পেয়েছে। " ঘটনার আকস্মিকতায় সুমেলের ঘুম ভেঙে যায় আর তখন ই মনে পড়ে তার নানা তো যুদ্ধের ২ বছর আগে মারা গেছে???? (ইহা একটি উর্বর মস্তিষ্কের অনউর্বর কল্পনা) — ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।