আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিসিএস পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি

কোন এক কাকডাকা ভোরে অন্ধকারের বুক ছিঁড়ে ফোটে উঠা আলোর হাত ধরে আমি হেঁটে গিয়েছিলাম প্রসন্ন পৃথিবীর পথ ধরে,একটি সূর্য আমায় ডেকেছিল বলে। বিসিএস পরীক্ষায় কোটা প্রয়োগের যে পদ্ধতি তা অনেকাংশেই অস্বচ্ছ ও অব্যবস্থাপনাময় সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে কোটা পদ্ধতি পুরো তুলে দেয়ার দাবিটা ঠিক নয়; বরং এটি সংস্কার করার মাধ্যমে যুগোপযোগী করা দরকার। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য কোটা মিলিয়ে যে ৫৫% রয়েছে তা বাস্তবতা ও প্রয়োজনের নিরিখে কমিয়ে আনা দরকার। তাহলে সেটা দুই পক্ষের জন্যই একটি Win Win Situation সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।

এর ফলে কোটাভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং কোটামুক্তদের জন্য বেশ কিছু সিট বৃদ্ধি পাবে। তবে এখনো যে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় দেশের ১ম শ্রেণীর সরকারী কর্মকর্তাদের নির্বাচন করা হয় তারো সংস্কার হওয়া উচিত। আমাদের দেশে এখন প্রাইমারী লেভেল থেকেই মুখস্থবিদ্যা থেকে ছাত্রছাত্রীদের দূরে রাখতে সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্ন করা হয়। অথচ বিসিএস এর মতো পরীক্ষায় মূল্যায়ন করার একমাত্র ক্রাইটেরিয়া হলো ঢাসা মুখস্থ করা! যে লোকটি কিছুদিন পর দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়ে দেশকে রিপ্রেসেন্ট করবেন তার Problem Solving Ability, Analytical Ability, Critical Reasoning Power, Decision Making Capacity ইত্যাদি কোনোকিছুই টেস্ট না করে শুধু মুখস্থবিদ্যার ভেলকিতে নির্বাচন করা হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে এদের অনেকেই পরবর্তীতে হোঁচট খায় অথবা বিতর্কিত হয় সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করতে পারার কারণে।

এদেশে কোনো কিছুর পদ্ধতি একবার চালু হলে কেউ আর তা পরিবর্তন করতে চায়না। আমরা বাংলাদেশীরা মনে হয় ভালো কিছু গ্রহণের মাধ্যমে পরিবর্তনের পথে সব সময়ই Laggard. ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.