আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চলে গেলেন মহান এক ফটোশিল্পী রশীদ তালুকদার

সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্কয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি এক পুত্র, দু'কন্যা, অনেক স্বজন, অসংখ্য সতীর্থ ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে সংবাদপত্র জগৎসহ বিভিন্ন মহলে শোকের গভীর ছায়া নেমে আসে।

রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদসহ বিভিন্ন মহল তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। গত ১৪ অক্টোবর স্ট্রোক করার পর প্রথমে রশীদ তালুকদারকে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে গত বুধবার স্কয়ার হাসপাতালে এনে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। গত বৃহস্পতিবার তার অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তিনি নিউরো সার্জন ডা. পল হেনরির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

রশীদ তালুকদারের মরদেহ গতকাল স্কয়ার হাসপাতালে হিমঘরে রাখা হয়। প্রথম জানাজা আজ সকাল সাড়ে ৯টায় বাসাবো মদিনা মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তার লাশ সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রাখা হবে। এরপর তার লাশ জাতীয় প্রেস ক্লাবে নিয়ে আসা হবে এবং এখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তার লাশ আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

রশীদ তালুকদারের কর্মজীবন শুরু ১৯৬২ সালে 'সংবাদে'। কয়েক বছর পর যোগ দেন ইত্তেফাকে। ২০০৭ সালে অবসরে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ২৯ বছর ইত্তেফাকেই ছিলেন এই যশস্বী ফটোসাংবাদিক। বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিটি ঐতিহাসিক পর্বের স্মরণীয় আলোকচিত্র তুলে তিনি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রয়েছেন। রশীদ তালুকদারের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর হলেও বাবার চাকরিসূত্রে তিনি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান শোকবার্তায় বলেন, রশীদ তালুকদারের মৃত্যুতে দেশ একজন মেধাবী ও নিবেদিতপ্রাণ ফটোসাংবাদিককে হারাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শোকবার্তায় বলেন, রশীদ তালুকদারের মৃত্যুতে জাতি আন্দোলন-সংগ্রামের এক জীবন্ত সাক্ষীকে হারাল। বেগম খালেদা জিয়া শোকবার্তায় বলেন, রশীদ তালুকদার সাহসী ফটোসাংবাদিক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। শোক প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, তথ্যসচিব হেদায়েতউল্লাহ আল মামুন, ইত্তেফাক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার। সূত্র: সমকাল বিডিনউজ২৪ এখন সময় ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।