আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ড. এম জহির মারা গেছেন

ড. জহির ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তিনি গত মাসে ব্যাংকক যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
এই আইনজীবীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া শোক প্রকাশ করেছেন।
তার সহকারী আইনজীবী তামজীদা মিলি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্যাংকক হাসপাতালে মারা যান ড. জহির।


মরদেহ শুক্রবার ঢাকায় আনার পর বনানীতে বাবার কবরে তাকে সমাহিত করা হবে বলে জানান অ্যাডভোকেট তামজীদা।
ড. জহিরের বাবা এম আসির পাকিস্তান হাই কোর্টের বিচারক ছিলেন। তার ভাই মোহাম্মদ জমির অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কমকর্তা এবং সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার।
১৯৬২ সালে আইন পেশায় যোগ দেয়া জহির মূলত কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ হলেও সংবিধানের বিভিন্ন বিষয়েও তার মত গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হত।
সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত মামলায় অ্যামিকাস কিউরিয়া হিসেবে তার বক্তব্যও শোনে সর্বোচ্চ আদালত।


ড. এম জহির অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস নামে একটি ল ফার্ম রয়েছে প্রয়াতের। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও আইন বিভাগে পড়াতেন।
ইংরেজি সাহিত্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি নেন তিনি।  
১৯৬২ সালে তিনি তৎকালীন ঢাকা হাই কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৬৪ সালে তিনি লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলএম ডিগ্রি নেন।

একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোম্পানি আইন বিষয়ে ১৯৬৫ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি নেন তিনি।
১৯৭৪-৭৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কাজ করেন ড. জহির। ১৯৭৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
আইন বিষয় ও নিজের পেশাগত অভিজ্ঞতা নিয়ে কয়েকটি বইও লিখেছেন তিনি।
তামজীদা জানান, থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমানে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ড. জহিরের মরদেহ আসবে।

সেখান থেকে তা নেয়া হবে সুপ্রিম কোর্টে।
জুমার পর শ্রদ্ধা নিবেদন ও প্রথম জানাজার পর তার মরদেহ নেয়া হবে প্রয়াতের ধানমণ্ডির বাড়িতে। ধানমণ্ডি ৭ নম্বর রোডের মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা হবে।
এম জহিরের সহযোগী আইনজীবী মোসতাক আহমদ চৌধুরী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের জানাজা হবে দুপুর আড়াইটায়। বনানীতে দাফন হবে বিকালে।


শোক প্রকাশ
ড. এম জহিরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশের সঙ্গে প্রয়াতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ড. জহিরের মৃত্যুতে জাতি একজন স্বনামধন্য আইনজীবী এবং সংবিধানের একজন বিশেষজ্ঞকে হারালো।
প্রধানমন্ত্রী শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ এবং প্রয়াত এই আইনজীবীর রুহের মাগফিরাতও কামনা করেন।
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া এক শোকবার্তায় বলেন, “মেধা, দক্ষতা ও নিয়মানুবর্তিতার দ্বারা তিনি আইন পেশায় একজন ব্যতিক্রমী, সুশীল ও উচ্চগুণাবলীসম্পন্ন ব্যক্তি হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন।
“পৃথিবী থেকে তার চলে যাওয়া জাতির এক সঙ্কট মুহূর্তে বড় ধরনের শূন্যতা সৃষ্টি করল।


এম জহিরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার  শিরীন শারমিন চৌধুরীও।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, “এম জহিরের মৃত্যু দেশের আইন ও বিচারবিভাগের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আইন পেশায় তার অসামান্য অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। ”

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।