আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুই পত্রিকার সংবাদ দেখুন

বেনগাজিতে নতুন শাসকের ঘোষণা আমার দেশ _২৪/১০/২০১১ লিবিয়া মুক্ত স্বাধীন লিবিয়া এখন মুক্ত ও স্বাধীন। বেনগাজির গণতন্ত্র স্কোয়ারে উল্লসিত লাখো মানুষের সমাবেশে অন্তর্বর্তী সরকার লিবিয়া মুক্ত হওয়ার এই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল লাখো মানুষের সামনে ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এনটিসি) নেতা মুস্তাফা আবদুল জলিল এ ঘোষণা দেন। ঘোষণা দেয়ার আগে তিনি সেজদায় গিয়ে আল্লাহ্র প্রতি শোকরিয়াও আদায় করেন। অন্তর্বর্তী সরকারের উপ-প্রধান হয়েছেন আবদেল হাফিজ গোগা।

মঞ্চে অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা দিয়ে মুস্তাফা আবদুল জলিল বলেন, লিবীয়রা এখন মুক্ত ও স্বাধীন। এ সময় সবাই করতালি দিয়ে তার বক্তব্যকে স্বাগত জানান। আগামী বছরের জুন মাসে লিবিয়ায় সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণাও দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আবদেল হাফিজ গোগা বলেন, ইসলামী আইন অনুযায়ী লিবিয়া পরিচালিত হবে। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি সিরিয়া ও ইয়েমেনের আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করেন। লিবিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ জিবরিল বলেন, আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য গণভোটের মাধ্যমে ইলেকটেড বডি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করবে। তিনি বলেন, নতুন সরকার ইসলামী নীতি অনুসরণ করবে। প্রথম আলোর সংবাদ দেখুন দীর্ঘ আট মাসের সংগ্রাম, অনেক রক্তক্ষয় এবং মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ৪২ বছরের স্বৈরশাসন থেকে লিবিয়া মুক্ত হয়েছে।

জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদ (এনটিসি) গতকাল রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে দেশ ‘মুক্ত’ ঘোষণা করেছে। এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের পথে লিবিয়ার পথচলা শুরু হলো। অন্তিম শয়ানে জন্মস্থান সির্ত শহরে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের পাশে কবরে থাকতে চান মুয়াম্মার গাদ্দাফি। এটিই ছিল তাঁর জীবনের শেষ ইচ্ছা। একটি উইলে এমনই আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছিলেন লিবিয়ার এই নেতা।

এনটিসি কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, তাঁর লাশ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে কোথায় লাশ দাফন করা হবে, সেটা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আগে আলোচনা হবে। লিবিয়া ‘মুক্ত’ ঘোষণার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় পূর্বাঞ্চলীয় বেনগাজি শহরে। গত ফেব্রুয়ারিতে গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম শুরুর পরপরই প্রথম দিকে বেনগাজি শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় বিদ্রোহীরা। এরপর নিজেরা সংগঠিত হয়ে গঠন করে এনটিসি।

আট মাস ধরে এনটিসি যুদ্ধ ও অন্যান্য কর্মকাণ্ড বেনগাজি থেকেই পরিচালনা করছে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় একটি সেনা ব্যারাকের বাইরে, যেখানে গত ফেব্রুয়ারিতে গাদ্দাফির সেনাদের মুখোমুখি হয়েছিল আন্দোলনকারীরা। অনুষ্ঠানে প্রায় ১০ হাজার মানুষ জড়ো হয়। জাতীয় সংগীত গেয়ে, তিন রঙা পতাকা উড়িয়ে এবং গজলের মাধ্যমে সশস্ত্র সংগ্রামে নিহত ব্যক্তিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে এনটিসির উপপ্রধান আবদেল হাফিজ ঘোগা বলেন, ‘লিবিয়া মুক্ত হয়েছে।

আপনারা মাথা উঁচু করে দাঁড়ান। এখন আপনারা মুক্ত। ’ অনুষ্ঠানে এনটিসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সারা বিশ্বের কাছে আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, প্রতিটি শহর, গ্রাম, পর্বতচূড়া, গভীর মরুভূমি ও আকাশসহ আমরা আমাদের প্রিয় দেশকে মুক্ত করেছি। ’ এনটিসি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এক মাসের মধ্যে একটি অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এরপর আট মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে সাংবিধানিক পরিষদের নির্বাচন।

এক বছরের মধ্যে পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। এর আগে এনটিসির মুখপাত্র মুস্তাফা গোবরানি বলেন, রোববারের এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে লিবিয়ায় নতুন দিনের সূচনা হলো। তিনি বলেন, ‘এই প্রথম আমরা অনুভব করছি, আমরা পূর্ণ স্বাধীন। স্বৈরশাসকের হাত থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি, আমাদের গণতান্ত্রিক পথচলা শুরু হলো। ’ গত আগস্টে ত্রিপোলির পতন হয়।

এর পর থেকে সির্ত শহরই ছিল গাদ্দাফি অনুগত বাহিনীর সবচেয়ে বড় ঘাঁটি। ত্রিপোলির পতনের পর এনটিসি ঘোষণা দিয়েছিল, সির্ত শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারলে দেশ মুক্ত বলে ঘোষণা করবে। গত বৃহস্পতিবার সির্তের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে এনটিসি। একই দিনে এনটিসি যোদ্ধাদের হাতে নিহত হন গাদ্দাফি...............। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।