আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জিন ও ফেরেশতাদের বিস্ময়কর ইতিহাস

হযরত ওমর ইবনুল খাত্তব (রা.) বলেন, 'খলাকাল জিন্না কবলা আদামা বি আলফি আমিন', জিন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে হযরত আদম (আ.) এর দু'হাজার বছর পূর্বে। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, জিনেরা থাকতো জমিনে আর ফেরেশতারা থাকতো আসমানে। এ দু'টি জাতিই— আসমান ও জমিনের অদিবাসী। প্রত্যেক আসমানে আলাদা আলাদা ফেরেশতা থাকতো এবং প্রত্যেক আসমানবাসীর জন্য নামাজ, তাসবীহ্ ও দোয়া ছিল। মূলত: আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা জিন ও মানুষকে তার ইবাদতের জন্য সৃজন করেছেন— অমা খলাকতাল জিন্না ওয়াল ইনছা ইল্লা লিইয়াবুদুন।

কিন্তু জিন জাতি যখন আল্লাহর হুকুম আহকাম ইবাদত বন্দেগী না করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলো। শান্ত পৃথিবীকে অশান্ত করে তুললো। তখন রাব্বুল আলামীন ফেরেশতাদের নির্দেশ করলেন, যত দুস্কৃতকারী জিন পৃথিবীতে আছে সকলকে ধ্বংস করে দিতে। তাই হলো। যারা ভালো জিন ছিল তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হলো।

ঐসব জিনদের যেসব সন্তান ছিল তাদের একজন হলো আজাজিল (পরবর্তীতে ইবলিশ শয়তান)। জিন শিশু আজাজিলকে ফেরেশতাগণ খুবই পছন্দ করলেন। তাঁরা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করলেন তাঁকে প্রথম আসমানে উঠিয়ে নেয়ার জন্য। আল্লাহ অনুমতি দিলেন। সেখানে প্রচুর ইবাদত বন্দেগী করায় তাকে দ্বিতীয় আসিমানে উঠিয়ে নেয়া হলো।

এভাবে সে আল্লাহর পয়রাবী ও আনুগত্য দ্বারা নিজেকে ফেরেশতাদের চেয়েও অধিক মর্যাদার উঁচু স্তরে উন্নতি করলেন। অবশেষে আল্লাহ তায়ালা যখন আদম (আ.) কে সৃজন করলেন তখন সমস্যা সৃষ্টি হলো। সে অহংকার করে বসলো। আল্লাহর নির্দেশ লংঘন করলো। তার পর থেকে আজাজীল শয়তান হিসেবে পরিগণিত হলো।

এর পরে আদম (আ.) এর ক্ষতি সাধনের চেষ্টায় লিপ্ত হলো। আদম (আ.) ও হাওয়াকে বেহেশত থেকে বের করেই ছাড়লো। পৃথিবীতেও সে আদম সন্তানদের প্রকাশ্য শত্রু। তাছাড়া অন্যান্য জিনরাও পৃথিবীতে বসবাস করছে। তথ্যসূত্রঃ জিন ও ফেরেশতাদের বিস্ময়কর ইতিহাস আল্লামা জালালউদ্দিন সুয়ূতী , আল্লামা ইব্‌নে কাসীর (রহ.)  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।