আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

█████ শিল্পী █████ সাইকো- থ্রিলার -/////////////দুর্বল হৃদয়ের কেউ এই গল্পে ভুলে ও প্রবেশ করবেন না!!!!


একদম একাকী পরিবেশে কাজ করেন। আশে পাশে কেউ থাকেনা। শুধু তিনি একাই থাকেন। এই সময় তিনি খাওয়া দাওয়া ও করেন খুব কম। ।

নিজের পরিচয় গোপন রেখে তিনি ১৫ তলা এপার্টমেন্টে একটা ফ্লাট কিনেছেন শুধু নিজের শিল্প চর্চা করার জন্য। এখানে কেউ উনাকে চিনেনা। যারা চিনে তারা কাউকে জানাতে সাহস করেনা। তিনি কারো সাথে কথা বলেন না। তিনি থাকেন ও না।

প্রতি মাসে দুইবার আসেন। যখন আসেন তখন উনার সাথে একজন করে নতুন মানুষ আসেন। কিন্তু উনি যাবার সময় কেউ উনার সাথে থাকে না। কয়েকবার মুছে নিলে ও তিনি আবার ও ঘেমে গেলেন দ্রুত। কাঠের বিশাল একটা টুকরা কে কেটে কেটে অনেকটা মানুষের মত করে তৈরি করছেন তিনি।

"আসলেই প্রচন্ড গরম পড়েছে না?" যাকে উদ্দেশ্য করে তিনি কথাটা বললেন সেই লোক উনার সামনেই দাঁড়িয়ে আছে- কিন্তু সে কোন কথা বলছেন না অনেক ক্ষন ধরে। দুই চোখ স্থির করে তাকিয়ে আছে । মডেল হিসেবে সামনে দাঁড়িয়ে আছে সুঠাম দেহী একটা ছেলে- যাকে সামনে রেখে তিনি খোদাই করে চলেছেন উনার বর্তমান স্কাল্পচার। ছেলেটাকে চুপ করাতে তাঁকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। বয়স খুব একটা বেশি না- ১৬-১৮ বছর এর কোন ভাবেই বেশি না।

কিন্তু শক্ত পোক্ত শরীর। সাবজেক্টের সাথে মিলে গিয়েছিল পুরোটা। গুলশান লেকের নতুন ব্রিজ এর উপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিল। তিনি গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন সেই পথে। হটাত দেখেই আবার উল্টো পথে গাড়ি ঘুড়িয়ে তবে ছেলেটাকে গাড়িতে তুলেন।

দেখতে কালো কুচকুচে গায়ের রং- কিন্তু চোখ দুটো বড় মায়াময়। দুজনে প্রথমে একটা চাইনিজ এ গিয়ে চাইনিজ খেলেন- তারপর বসুন্ধরা সিটির পাশের কিছু দোকানে যান। সেখানে কয়েকটা পরিচিত দোকান আছে উনার। সেখান থেকে বাটাল ধার করার জন্য পাথর কিনলেন। একটা ধারালো ছুড়ি কিনে বসুন্ধরা থেকে যখন বের হলেন তখন প্রায় বিকেল।

ছেলেটাকে কিছু সুন্দর পোশাক ও কিনে দিলেন। তারপর রওনা হলেন বাসার দিকে। বাসায় পৌছেই শাওয়ার নিলেন দুজনে। প্রতিটি মডেল এর সাথেই তিনি এ কাজ টা করে থাকেন। বয়স চল্লিশের কোঠা পেরোলেও একচুল ও সৌন্দর্য কমেনি উনার।

আদিমতার চুরান্তে যখন পৌছালেন তখন ছেলেটাকে বিছানায় নিয়ে গেলেন। চোখ মুখ কালো কাপড় দিয়ে বেধে নিলেন ভাল করে। তারপর দুই হাতে পড়ালেন দুটো হাতকড়া। তারপর হাটিয়ে নিয়ে এলেন তাঁর কাজ এর ঘরে। সেখানে একটা কাঠের স্টেজ এ উঠিয়ে হাত কড়া দুটো লাগিয়ে দিলেন দুটো শিকলের সাথে।

দুই পা লোহার শিকল দিয়ে বেধে নিলেন ছেলেটার পা দুটো। বাঁধা শেষে তিনি ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরে দাড়িয়ে থাকলেন বেশ কিছু ক্ষন। সাবজেক্টের শরীরের মাঝে খুঁজতে থাকেন শারিরীক শব্দ গুলো। কান পেতে থাকলেন কিছুক্ষন ছেলেটার বুকের বাম পাশে। শুনলেন ছেলেটার দ্রুত হৃদস্পন্দন।

উত্তেজনায় তখন নেচে চলেছে মুঠো সমান হৃদয় টা। তারপর আসতে আসতে কান নামিয়ে আনলেন পেটের উপর। সেখানে কিছুক্ষন শুনলেন পাকস্থলীর শব্দ। এই অদ্ভুত শব্দ টা উনার খুব প্রিয়। খাবার হজম করার নিয়মিত শব্দ তিনি শুনলেন আরো কিছুক্ষন।

তারপর উঠে গায়ে জড়িয়ে নিলেন সাদা টাওয়েল। ঘরের এক কোনে রাখা টেবিলটা টেনে নিয়ে আসলেন ছেলেটার ঠিক সামনে। সেখানে সাজানো নানা রকম যন্ত্র পাতি। একটা সিগারের প্যাকেট ও আছে। সেখান থেকে একটা সিগার বের করে জ্বালালেন।

তারপর হেটে গিয়ে রুমের সব আলো নিভিয়ে দিলেন। জ্বালিয়ে দিলেন একটা হালকা নীলচে আলো। টেবিল থেকে তিনি বেছে বেছে একটা ধারাল কাঁচি তুলে নিলেন। খুব প্রিয় একটা কাঁচি নিলেন তিনি। এটা তিনি সব সময় কাছে রাখেন।

অ্যালুমিনিয়াম প্লেটের উপর "মেড ইন জাপান" লেখা কাঁচিটা তিনি বাম হাতে নিয়ে এগিয়ে গেলেন ছেলেটার দিকে। তারপর ছেলেটার শরীরে আলতো ভাবে হাত বুলাতে শুরু করলেন তিনি। এটা তিনি সব সময় করে থাকেন। তাই আজো ব্যাতিক্রম হলনা। মাথা থেকে শুরু হল হাত বুলানো।

আসতে আসতে চিবুক -নাক পেরিয়ে বুকের উপর হাত আসতেই ছেলেটার শ্বাস প্রশ্বাস বেড়ে গেল অনেক। সম্পূর্ণ উলঙ্গ ছেলেটার যৌনাঙ্গ উত্থিত হয়ে গেল নিমিষেই। মুখ বাঁধা থাকলে ও মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসল একটা আদিম সুখের শব্দ। শব্দটা বের হতেই তিনি দেরী করলেন না। আলতো হাতে যৌনাঙ্গ টা ধরলেন তিনি।

তারপরেই কাঁচিটা দিয়ে খচ করে কেটে দিলেন প্রচন্ড শক্তিতে। হটাত চার পাশ নিস্তব্ধ হয়ে গেল। ছেলেটা যেন বুঝলই না কি হয়েছে। সে আশা করেছিল হয়ত নতুন করে শুরু হবে সুখ সঙ্গম। কিন্তু হটাত যেন কি থেকে কি হয়ে গেল।

ঝরনার মত হড়বড় করে বেড়িয়ে আসতে লাগলো লাল রক্ত। নীল আলোতে কালচে দেখালেও লাল হতে শুরু করেছে দামী গোলাপী মার্বেলের ফ্লোর। ছেলেটার মুখ দিয়ে বের হয়ে আসছে চিৎকার মেশানো গোঙ্গানি। একটা রাবারের বল লাগানো কাপড় মুখে ঢুকিয়ে দিলেন তিনি। সাউণ্ড প্রুফ রুমে যা শব্দ হচ্ছিল এতে তাও বন্ধ হয়ে পৌছাল শুন্যের কোঠায়।

বাম হাতে সিগার টা স্ট্রেতে রেখে তিনি স্কেচ বুক নিলেন টেবিল থেকে । তারপর সেটা একটা স্টান্ড এ ক্লিপ দিয়ে লাগিয়ে একটা পাতা উল্টালেন। সেখানে আঁকা স্কেচটা আরেকবার দেখে নিয়ে কাজ শুরু করে দিলেন। টেবিল থেকে একটা স্কাল্পেল নিলেন। ব্লেড টা পরীক্ষা করে নিলেন।

তারপর উনার চোখ গেল মাটিতে। সেখানে লাল রক্তের মাঝে তড়পাতে থাকা পুরুষাঙ্গ টা দেখে তিনি স্মিত হাসলেন। তারপর টেবিল থেকে একটা হাতুড়ি আর পেরেক নিয়ে তিনি কাজ পুরো দমে শুরু করলেন। এতক্ষন শরীরের সাথে সেঁটে থাকা ছেলেটার পুরুষাঙ্গ একটু পড়েই ঠাই পেল কাঠের পাটাতনে। পেরেক দিয়ে গেথে দিলেন ছেলেটার বাম পাশে।

রক্তপাতে ছেলেটা বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু মরে যায়নি। তিনি এর পরেই চোখের বাঁধন খুলে দিলেন। কিন্তু মুখ খুললেন না। তারপর টেবিল থেকে স্কাল্পেল টা নিয়ে ছেলেটা বুকে ছোঁয়ালেন আলতো ভাবে।

ঠাণ্ডা আলুমিনিয়ামের ছোয়া পেয়ে যেন নতুন করে জেগে উঠল ছেলেটা। দাঁত দিয়ে কামড়ে বলটাকে কেটে ফেলতে চায় যেন। কিন্তু পারেনা। তিনি দাঁড়ানো থেকে বসে পড়লেন। তারপর ছেলেটার বাম পায়ের রানের নিচটায় একটা পোচ দিলেন উপর থেকে নিচে।

সাথে সাথে আরেক দফা চিৎকার আর বাঁচার জন্য আকুতি শুরু হয়ে গেল ছেলেটার। দুইহাতে লাগানো শিকল ঝাঁকাতে লাগল অবিরাম। যেন এখন ই ভেঙ্গে ফেলবে। কিন্তু ও জানেনা ওর আগে ও অনেকে চেষ্টা করেছিল- পারেনি। শুধু শুধু চিৎকার আর কাঠের সাথে লোহার সংঘর্ষের শব্দ যেন পরিবেশটাকে আরো ভয়ানক করে দিল।

এর পরই তিনি উঠে ছেলেটার মুখ থেকে বল টা খুলে ফেললেন। সাথে সাথে চিৎকার শুরু হয়ে গেল ছেলেটার- "ওরে মারে- ওরে বাবারে- ডাইনিটা আমাকে মেরে ফেলল- কেউ আমাকে বাচাও- দয়া করে বাচাও-----" কিন্তু বেশি ক্ষন টিকলনা সেই চিৎকার। তিনি হাতের স্কাল্পেল দিয়ে খচ করে ছেলেটার জিহবাটা কেটে নিলেন। হটাত শরীর থেকে ছিন্ন হয়ে মেঝের টাইলসের উপর রক্তের ধারার উপর ভয়ানক ভাবে লাফাতে শুরু করে দিল জিহবা টা। হালকা গোলাপী মাংস খন্ড রুপ নিল লালচে পিন্ডে।

তিনি মেঝে থেকে জিহবা টা তুললেন হাত দিয়ে। তারপর কাটা অংশ টা মুখে নিয়ে চুস্ততে শুরু করলেন। সাবজেক্টের দুঃখ বেদনার স্বাদ পেতে চান তিনি এটা করে। সব সময় তিনি সাবজেক্টের চোখে দেখতে পান পরম বিস্ময়। যেন থেমে যায় সব প্রচেষ্টা।

নিজের মৃত্যু একটু পরে হবে জেনেই হয়ত আত্মগামী হয়ে যায় মানুষ গুলো। তিনি এই ব্যাপারটা বেশ উপভোগ করেন। এরপর তিনি আর দেরী করলেন না। বেশী দেরী হলে এমনিতেই মারা যাবে ছেলেটা। তিনি ছেলেটাকে রসিয়ে রসিয়ে মারতে চান।

তাই সাথে সাথে উপরে সিলিং এ ঝোলানো একটা যন্ত্র নামিয়ে আনলেন। সেখানে চৌদ্দটা বরশির শিকের মত হুক লাগানো। তিনি একটা একটা করে ছেলেটার পাঁজরে গেথে দিলেন হাতুড়ি দিয়ে বাড়ী মেরে। দুর্বল ছেলেটার মুখ দিয়ে গোঙ্গানো ছাড়া কোন শব্দ আসছিল না। শেষে কেদেই ফেলল ব্যাথায়।

কিন্তু তাঁর কোন কিছুতেই কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি এক মনে করেই চলেছেন। এর মাঝে আবারো ঘেমে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার আর মুছলেন না। এখন নষ্ট করার মত সময় হাতে নেই উনার।

সব গুলো হুক পাঁজরে গেথে দিয়ে একটা সুইচ চেপে দিলেন। পরক্ষনেই ঘটতে শুরু করল এক বীভৎস ঘটনা। মেকানিজম আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। শিকগুলো কে নিজের দিকে টানতে থাকবে মেশিন টা। এবং করল ও তাই।

ফলে এক নিমিষেই চামড়ার নিচে হাড্ডিতে আটকে থাকা শিক গুলো সক্রিয় হয়ে গেল। এবং নিমিষেই দুইপাশে ছিঁড়ে ছড়িয়ে পড়ল পাঁজরের হাড্ডি গুলো। মটমট আওয়াজ করে ভেঙ্গে গেল সব কটা। ছিঁড়ে গেল ডায়াফ্রাম ও। ফলে এক নিমিষেই উন্মুক্ত হয়ে গেল ছেলেটার হৃদপিণ্ড।

দুপ দুপ করে কাঁপতে থাকা দুর্বল হৃদপিন্ডটা যেন হটাত করে বের হয়ে গেল নারকীয় পৃথিবীতে। তিনি একটা জাপানী কোদাল নিলেন হাতে। ছোট কোদাল টা দিয়ে নিমিষেই খপ খপ করে কেটে বের করে আনলেন হৃদপিন্ড টা। লালচে গরম রক্ত চুইয়ে পড়ছে সেটা থেকে। তিনি খানিকটা রক্ত মেখে নিলেন নিজের ত্বকে।

তিনি এটাকে অনেক গুরুত্ব দেন নিজের যৌবন ধরে রাখার জন্য। তিনি বিশ্বাস করেন পরম বিশুদ্ধ এই রক্তের জন্যই এখনো কিশোরীর মত রয়ে গেছেন। এরপরেই পুরো রক্ত বের করে হৃদপিন্ডটা ছেলেটার কপালে গেথে দিলেন। আরেকটা পেরেক নিয়ে কাঠের ফ্রেমে যৌনাঙ্গটার বিপরীরে গেথে দিলেন জিহবা টা। তারপর নিপুন ভাবে ছেলেটার চোখের পাতা দুটো কেটে ফেলে দিলেন মাটিতে।

সেখানে রক্তের ধারার উপর ভেসে ভেসে প্রায় ডুবে গেল চোখের পাতা দুটি। তারপর বাম চোখ টা হালকা চাপ দিয়ে হাতে নিলেন তিনি। এটা তখন ও স্নায়ুরজ্জুর সাথে লাগানো। তিনি খচ করে কেটে দিলেন চোখের সাথে লাগানো স্নায়ুরজ্জু র মাঝে। তারপর অর্ধেকটা কেটে ঢুকিয়ে দিলেন আড়াআড়ি ভাবে চোখের কোটরের ভেতর।

এবার একটা হাতুড়ি নিয়ে বড় বড় কিছু পেরেক নিয়ে সেগুলো ছেলেটার হাতে পায়ে মেরে দিলেন। তারপর হাত আর পায়ের বাঁধন দিলেন খুলে। পেরেক গুলো দিয়েই যিশুখ্রীষ্টের মত কাঠের ফ্রেমের সাথে আটকে দিলেন প্রায় মৃত ছেলেটাকে। এরমাঝেই তিনি আবার ঘাম মুছে নিলেন। আবার শুরু করলেন তিনি।

স্কেচ এর সাথে এখন মডেল এর খুব কম ই অমিল আছে। শুধু তল পেটের দিক টা বাকি। তিনি আরেকটা ধারালো ছুরি নিয়ে তল পেটটা কেটে সেখান থেকে নাড়িভুঁড়ি গুলো বের করে ফেললেন। বের হয়ে এল নরম থলথলে ইলিয়াম। তিনি লম্বা ইলিয়ামটাকে কেটে কয়েক টুকরা করে পেরেক দিয়ে ছেলেটার চার পাশে আটকে দিলেন।

ব্যাস শেষ হল মডেল তৈরির কাজ। এবার তিনি কাঠের টুকরা টা টেনে আনলেন মডেল এর সামনে। তারপর সুনিপুন হাতে বাটালি আর হাতুড়ি দিয়ে খোদাই করা শুরু করে দিলেন তিনি। আসতে আসতে কাঠের বিশাল চাইটা রুপ নিতে শুরু করল মডেল এর মত। তিনি ঘামছেন অনেক- কিন্তু কোণ দিকেই এখন খেয়াল নেই।

মডেল এর ছেলেটা মারা গেছে অনেক আগেই। ওর শরীর এক দিনের মাঝেই পঁচা শুরু করবে। তাই খুব তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করতে হবে উনাকে। তিনি দ্রুত খোদাই করে চলেছেন- খুব দ্রুত- কিন্তু প্রচন্ড দক্ষতার সাথে.। .।

.। -------------------------------------------------------------------- শোভনের মন ভাল নেই। চাকরি আজকেই ইস্তফা দিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছিল এদিক সেদিক। কিছু ক্ষন পার্কে ও বসে ছিল সে। কিন্তু মন টিকেনি।

তাই হাটতে হাটতে বেঙ্গল গ্যালারিতে চলে আসল সে। ইচ্ছা ছিলনা আসার। কিন্তু কি মনে করে ঢুকে পড়ল গ্যালারিতে। সেখানে বিশ্ব বিখ্যাত স্কাল্পটর লোপা মহসিনের একক প্রদর্শনী চলছে। কাঠের তৈরি স্কাল্পচার গুলো দেখতে দেখতে এক কোনায় রাখা একটা স্কাল্পচার দেখে হটাত থেমে গেল সে।

স্ক্লাপচারের নাম "আহত যিশু" কিন্তু যে চেহারা টা বানানো হয়েছে সেটা চেনা চেনা লাগছে অনেক ওর। চেহারা টা অনেক টা ওর বাসার পাশে বিএম্পি বস্তির উঠতি মাস্তান বিপুলের মত। গতমাস থেকে এলাকায় দেখা যাচ্ছেনা ওকে। এলাকা এখন অনেক শান্ত। বিপুলের কাজ ই ছিল পুরো এলাকা ঘুরে ঘুরে চাঁদা তোলা।

বিপুল না থাকাতে শোভন এখন রাত বিরাতে এলাকায় ঘুরাঘুরি করতে পারে। আগে সন্ধ্যার পর বের হলেই ছিনতাই এর শিকার হতে হত। ভাবতে ভাবতে কখন যে পেছনে একজন এসে দাড়িয়েছে বুঝতেই পারেনি। ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকাতেই দেখল এক অপূর্ব সুন্দর মহিলা তাকিয়ে তাকিয়ে হাসছে ওর দিকে তাকিয়ে। পরক্ষনেই টের পেল ও স্কাল্পচার টার অনেক কাছে চলে গিয়েছিল বলে শিল্পী নিজেই চলে এসেছে ওর কাছে।

পরিচয় পর্ব শেষ হতেই জানতে পারল সামনের সপ্তাহেই শিল্পী আরেকটা প্রজেক্টে হাত দেবেন। সেখানে একজন মডেল দরকার। শোভন কে অফারটা দিতেই সানন্দে রাজি হয়ে গেল। চাকরি চলে গেছে- এই সময় লোভনীয় অফারের এই প্রস্তাবে সানন্দে রাজী হয়ে গেল সে। সামান্য সময়এর সিটিং এ বেশ কিছু টাকা পাওয়া যাবে।

সামনের মাসটা ভাল ভাবেই কেটে যাবে তাতে.................... ( সমাপ্ত ) বিঃদ্রঃ এটা একটা সাইকো থ্রিলার। কারো কাছে নিতান্ত অশ্লীল মনে হলে দয়া করে পড়বেন না।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৬০ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।