আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আরব ডায়েরি-৪৮ (অভিশপ্ত সামূদ জাতির দেশে-৮)

... নাবাতিয়ান রাজারা ১ম পর্ব ২য় পর্ব ৩য় পর্ব ৪র্থ পর্ব ৫ম পর্ব ৬ষ্ঠ পর্ব ৭ম পর্ব শহরে ঢুকার সরু পথটিকে ‘সিক’ বলা হয়। এটি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি। পাশেই ‘আদ দিওয়ান’। এখানে উপাসনা করা হত, বাহিরের লোকজন বিশ্রাম নিত। লোকজন এটাকে ‘সুলতানের মজলিস’ নামেও ডাকে।

এর আশেপাশে ও দেয়ালে এক সময় মুর্তি ছিল। এখন নেই, ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ‘সিক’ এর আশেপাশে অনেকগুলো মন্দির ছিল যার চিহ্ন এখনো বিদ্যমান। আয়তকার মজলিসটি ১২.৮ মিটার দৈর্ঘ্য, ৯.৮ মিটার প্রসস্থ ও ৮ মিটার উচু। গুগুল হতে শহরে ঢুকার পথটি শহরে ঢুকার পথটি ‘সিক’ ও ‘আদ দিওয়ান’ ‘আদ দিওয়ান’ আমরা এখানে অনেক্ষন বিশ্রাম নিলাম।

সবার চোখে মুখেই তৃপ্তির ছাপ ছিল। আমরা এবার সবাই মিলে মামুনকে ধরলাম, ‘আগেরবার তোমরা এখানে এসেছিলে?’ মামুন মিউ মিউ করে বলল, ‘হাবিব স্যার এটা দেখতে চেয়েছিলেন কিন্তু আমরা এটা খুঁজে পাইনি। ’ আমাদের সাফল্যে আমরা আনন্দিত হলাম। সাথে সাথে হাবিব স্যারের জন্য দুঃখবোধ করলাম। আর কখনো এখানে আসার সৌভাগ্য হয় কিনা কে জানে? ওসামা ও হাবিব স্যার তাদের গ্রুপের নাম দিয়েছে সিম্বিয়ান অথবা এ্যাম্ফিবিয়ান।

আমরা, বিশেষ করে সাঈদ, তাদের উপর্যপরি ব্যার্থতায় উল্লাস প্রকাশ করলাম। সাঈদ এবার মামুনকে ক্ষেপিয়ে দিল। মামুন স্বীকার করল, তাদের গ্রুপের গাইড কাম ক্যাশিয়ার ওসামা একদম ব্যার্থ। মাদায়েন সালেহ ২ দিন ঘুরাঘুরি করলেও তারা অনেক গুরুত্বপূর্ন কয়েকটি স্থাপনা খুঁজে পায়নি। মামুন ওসামাকে অযোগ্য ঘোষণা দিয়ে তাকে তার পদ থেকে বহিস্কার করল।

আমরাও ব্যাপক আমোদিত হলাম। পাশেই ছিল সামূদ/নাবাতিয়ানদের (সঠিকভাবে জানা নেই) তৈরি করা একটি কুপ। এক সময় এখানে ৬০ টির মত কুপ ছিল। এখন অনেকগুলোই ধ্বসে গেছে। একেকটি কুপ প্রায় ৩০ মিটার বা তারো বেশী গভীর।

সামূদ আমলে এ শহরটি পানি’র জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। এখানে ভূ-গর্ভস্থ পানি ছিল ও প্রচুর বৃষ্টিপাত হতো। আমরা তেমনি একটি কুপ দেখতে গেলাম। এখন নিরাপত্তার জন্য ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। মসৃণ ও গোলাকার কুপটি অনেক গভীর।

কুপ আমি মাদায়েন সালেহ’র বিভিন্ন তথ্য ও ম্যাপ প্রিন্ট করে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে Elephant Rock এর কথা বলা আছে। আমি ইন্টারনেটে বিশাল এক হাতী’র ছবি দেখেছিলাম যা এবার দেখতেই হবে। কিন্তু শহরের ভেতর কোথাও Elephant Rock খুঁজে পেলাম না। শেষ পর্যন্ত আমাদের ড্রাইভার এক সৌদি’র সাথে কথা বলল।

সেই সৌদি জানাল হাতীটি মাদায়েন সালেহ’র ভেতরে নেই, এটা শহরের বাহিরে। আমরা মাদায়েন সালেহ ট্যুর এখানে শেষ করলাম। সবাই নতুন উদ্যমে Elephant Rock এর পথে চললাম।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।