আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সূরা বাকারা-র "আলিফ-লাম-মীম" মানে কি?

..ামি পীর পূজারি। সৃষ্টি জগতে আল্লাহ জাত রূপে দুটি স্থানে থাকেন, (১) জিনের অন্তর (২) মানুষের অন্তর। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম [আল্লাহ্‌র নামের সাথে(বিস্মিল্লাহে) যিনি একমাত্র দাতা(আর রাহমান) একমাত্র দয়ালু(আর রাহিম)] ১। আলীফ-লাফ-মীম। ২।

জালিকাল্‌(ওইটাই) কিতাবু(কিতাব,আল্লাহ্‌র আপন নূর)। লা(নাই) রাইবা(কোন সন্দেহ) ফিহি(ইহার মধ্যে) হুদাল্‌(হেদায়েত) লিল্‌(জন্য) মূত্তাকিন(মুত্তাকি)। অর্থাৎ, "আলিফ-লাম-মীম। ওইটাই কিতাব। নাই কোন সন্দেহ ইহার মধ্যে,মুত্তাকিদের জন্য হেদায়েত।

আল্লাহ্‌র আপন জাত নূরের নূরে মোহাম্মদি নাম ধারন করে সেই নূরের মাধ্যমে বিচিত্ররূপে আল্লাহ্‌র বিকাশ ও প্রকাশ বিজ্ঞানকে কিতাব বলা হয়। আল্লাহ্‌র এই বিকাশ বিজ্ঞানের সর্বশ্রেষ্ট রূপটি ধরা পড়ে মানবদেহে। মানবদেহকে 'আল-কিতাব' বলা হয়। আল-কিতাবের সর্বশ্রেষ্ট জাহেরিরূপটি হলো এই মানবদেহটি এবং বিকাশ বিজ্ঞানটি হলো বাতেনি কর্মফল। নূরে মোহাম্মদি এই আল-কিতাবের জাহিরি এবং বাতেনি প্রকাশ-বিকাশের মূল উৎস।

নিজেরদেহটি পাঠ করা তথা আপনদেহের মাঝে আপনার অনুশীলন করার অপর নামটিই হলো 'আল-কিতাব' পাঠ করা। নিজেরদেহটি হলো সকল প্রকার জ্ঞানের মূল উৎসের ভান্ডার। সুতরাং যাহা কিছু আছে এই বিশ্বব্রক্ষান্ডে তাহা আছে একটি মানবদেহে। "লা(নাই) রাইবা(কোন সন্দেহ) ফিহি(ইহার মধ্যে) হুদাল্‌(হেদায়েত) লিল্‌(জন্য) মূত্তাকিন(মুত্তাকি)"। 'আলিফ-লাম-মিম' যদিও তিনটি অক্ষর, কিন্তু এখানে 'আলিফ-লাম-মীম'-টাই হলো কিতাব।

তাই 'জালিকাল কিতাবা' তথা 'ওইটাই কিতাব' বলা হয়্রছে। বলা হয় নি 'হাজাল কিতাব' তথা 'এইটাই কিতাব'। এখন 'ওইটা ' বলতে কোনটা বুঝানো হয়্রছে? 'আলিফ-লাম-মীম'-টাকেই বুঝানো হয়েছে কিতাব। আল্লাহ্‌র এই রহস্যপূর্ন কথা গুলি বুঝতে না পেরে অনেকেই বলে ফেলেন যে ইহার ব্যাখ্যা আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন। প্রশ্ন হলো আল্লাহ্‌ তো সব কিছুই জানেন, ইহা একটি মামুলি ব্যাপার, কিন্তু যেহেতু এই কথা গুলো প্রকাশ্যে আল্লাহ্‌ বলেছেন সেই হেতু ইহার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষন অবশ্যই আছে।

তবে আল্লাহ্‌র এই কিতাবের ব্যাখ্যাটি দিতে কস্ট হয় বলে এড়িয়ে যেতে বাধ্য হয়। পক্ষান্তরে আল্লাহ্‌ এটাও বলেছে যে, কোরান-এ যাহা কিছু নাজেল করা হয়েছে ইহা মানব জাতিকে বোঝাবার জন্যই নাজেল করা হয়েছে। এই 'আলিফ-লাম-মীম'-এর যত রকম ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষন দেয়া হোক না কেন, যদি আন্তরিক হয় তা হলে দোষের কিছুই থাকে না। একেক জনের ব্যাখ্যা একেক রকম হতে পারে এবং তাই হয়। কোন প্রকার ব্যাখ্যা না দিয়ে চুপ করে থাকলেও ভাল মানায়, কিন্তু চুপ না করে সমস্ত বিষয়টা আল্লাহ্‌র উপর চাপিয়ে দেয়া মোটেই সমীচীন নয়।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।