আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৮ বাঙালীর মৃত্যু নিয়ে রাজপথে দড়ি লাফের সার্কাস এবং কর্পোরেট মিডিয়ার স্ট্যান্টবাজিঃ আমরা বাঙালীর মৃত্যু নিয়ে আর কত লোক হাসাবো?

আমার খামার নেই নেই কোন শস্যকণা রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম আর বিপ্লবের সাথে ভাড়ামো এবং মিডিয়া স্ট্যান্টবাজির পার্থক্য রয়েছে। রাজপথ দড়িলাফের সার্কাসের জায়গা নয়, ৮ জনার মৃত্যুকে পুঁজি করে নির্লজ্জভাবে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষনের জায়গা নয়। রাজপথে আন্দোলনের জন্য চাই সুনির্দিষ্ট দর্শন, বক্তব্য, দাবী দাওয়া এবং জনসমর্থন। কার বিরুদ্ধে আন্দোলন, কিসের বিপক্ষে আন্দোলন,এর লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যই বা কি, তা নিয়ে না ভেবে রাস্তায় দড়িলাফ খেলে মিডিয়ায় চেহারা দেখাতে গেলে সেই দড়ি পায়ে জড়িয়ে যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট বুশ বলেছিলেন, তোমরা আমার পক্ষে অথবা আমার বিপক্ষে।

মাঝখানে কিছু নাই। আমাদের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চ্যালা চামুন্ডা গোত্রেরও একই মানসিকতা, তারা জনগনকে মোটাদাগে দুই শ্রেনীতে বিভক্ত করে। তাদের পক্ষে থাকলে দেশপ্রেমিক, বিপক্ষে থাকলেই রাজাকার যুদ্ধাপরাধী। খুবই আশ্চর্য লাগে যখন দেখি, বদরুদ্দীন উমরের মত শ্রেষ্ট বুদ্ধিজীবিকে তারা জামাতের দালাল বানাতেও ছাড়েন না। মূলত আওয়ামী মনষ্কদের মন মানসিকতাই এমন।

আপনারা কোয়ান্টাম মেথডের পীরবাবার তেলেসমাতি বক্তব্য নিশ্চয়ই শুনেছেন। চটকদার বুলি আউড়ে মানুষকে প্রতারণা করার এই কৌশল নতুন নয়। তারা মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করার, মানুষকে চটকদার কথায় আকৃষ্ট করার সমস্ত চেষ্টাই করেন নিজেদের ব্যাবসায়িক স্বার্থে। খুব মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই পীরবাবার ম্যাজিক মুভমেন্টের বক্তব্যের সাথে কোথায় যেন মিল খুজে পেলাম। আপনাদের কাছে পীরবাবার অডিও ক্যাসেট থাকলে শুনে দেখতে পারেন, লাইনে লাইনে মিল পাবেন।

কোয়ান্টাম মেথডের গুরুজী Magic Movement প্রতিটি মানুষ অসম্ভব, অসাধারণ এবং অকল্পনীয় ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। অধিকাংশ মানুষই সেই ক্ষমতার কোনোই ব্যবহার করতে পারেনা তার গোটা জীবনে । গুটিকয় মানুষই পারে তার ভেতরের সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে। তাদের মধ্যে কেউ চাঁদে পাড়ি জমায়, কেউ গতিসূত্র আবিষ্কার করে, কেউবা কম্পিউটার বানায়। এরা একেকজন ম্যাজিসিয়ান, যারা গোটা দুনিয়া বদলে দিয়েছেন।

আপনি জানেন কি আপনার ভেতরেই আছে একজন ম্যাজিসিয়ান, যাকে জাগাতে পারলে আপনি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারবেন? তাহলে তাকে জাগাচ্ছেন না ক্যানো? দেশটাকে বদলে দিতে অনেকগুলো ম্যাজিসিয়ান আমাদের দরকার। ম্যাজিক মুভমেন্ট- এমন এক গোষ্ঠীর নাম - যারা বিশ্বাস রাখে মানুষের ক্ষমতায়, মানুষের সম্ভাবনার উপর যাদের আস্থা আছে ... আপনিও যোগদিন, আসুন আমরা একেকজন ম্যাজিসিয়ান হয়ে উঠি। বিশ্বাস করুন, আপনি পারবেন। আপনিই পারবেন। একটু আগে থেকে শুরু করা যাক, কি পটভূমিতে প্রচলিত গণমাধ্যম কে পরিত্যাগ করা সমীচীন, কিভাবে তারা কাজ করে , কার স্বার্থে তারা কি কাজ করে- সে বিষয়ে সম্যক ধারণা না থাকলে এই ধরণের তৎপরতার সুলুক সন্ধান সহজ হবে না।

কেবল আমাদের দেশে না , সমগ্র বিশ্বেই গণমাধ্যম নানা ব্যবসায়ীক গোষ্ঠীর করতলগত; সে রুপার্ড মারডক হোক বা ট্রান্সকম গ্রুপ বা বসুন্ধরা গ্রুপ হোক। তাদের স্বার্থ রক্ষাই এর প্রধানতম কাজ, সেই সাথে আছে পণ্য সেবার বাজার সৃষ্টি ও তার বিপণনের এর কাজ, সাংবাদিকতার মহৎ আদর্শ বুকে ধারণ করে একে জনগণের পার্লামেন্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার দিন শেষ হয়ে গেছে। সবচে ভয়াবহ ব্যপার প্রচলিত কর্পোরেট গণ মাধ্যমের ভান, তার এমন একটা বাতাবরণ তৈরি করে যেন তারা জনগণের সাথেই আছে। তাদের মটো- লোগো- নাম -সম্পাদকীয় থেকে প্রকাশিত খবরাখবর সবই এ ধারনা মানুষের মনে বদ্ধমূল করে। কিন্তু এর সাথে একটু একটু করে মিশিয়ে দেয় বিপণনের বীজ মানুষকে শোষণ করার যন্ত্রানুষঙ্গ।

এটা অনেকটা হিটলারের প্রোপাগান্ডা মন্ত্রী গোয়েবলসের পদ্ধতির মত, অনেক সত্য কথার মাঝে একটা মিথ্যে মিশিয়ে দিলে মিথ্যেটাও সত্য মনে হয়। সেই সাথে আছে জনমতকে-জন চিন্তাকে নির্দিষ্ট খাতে প্রবাহিত করার নানা কূট কৌশল তো চলেই। উদাহরণ দিলে বলা যায় হয়ত একদিন পত্রিকায় জরিপ দেখবেন যে, তেল গ্যাস আন্দোলন কিভাবে সফল হতে পারবে? অপশন গুল- ১ঃ এটা হঠকারী আন্দোলন বলে পারবে না ২ঃএর নেতৃত্বে সংকট আছে বলে এটি সফল হবে না ৩ঃএটি বাম রাজনীতি প্রভাবিত বলে এটি বিভাজিত হবে ৪ঃসরকারের অনমনীয়তার কারণে এটি সাফল্য পাবে না। লক্ষ্য করেন এর স্পিরিট টা কি, এইখানে ধরেই নেয়া হয়েছে তেল গ্যাস আন্দোলন একটা নেতিবাচক আন্দোলন। আপনি যদি এই জরিপে কেবল অংশগ্রহণ করেন তবেই আপনি তেল গ্যাস আন্দোলনের নেতিবাচকতা স্বীকার করে নিলেন।

আপনি ভাবারঈ সময় পেলেন না যে এটি কি আসলেই একটি ভাল আন্দলন না খারাপ কিছু। আপনার সচেতনতা না থাকলে এটি আপনার মাইণ্ড সেট করে দেবে। এইভাবে আপাতদৃষ্টিতে নির্দোষ কিন্তু খুব লাগসই কিছু পদ্ধতিতে ব্রেন ওয়াশ করে চলে প্রচলিত গণ মাধ্যম। কর্পোরেট জগত আর মিডিয়া এখন পরস্পরের সমঝোতার ভিত্তিতে কাজ করে। পরস্পরের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে।

সে সাথে যুক্ত আছে শাসক চক্রও, তারাও বণিক সমাজের অংশ; জনপ্রতিনিধিরা আজ প্রায় সবাই ব্যবসায়ী। অথবা তারা কর্পোরেটের মুখাপেক্ষী অর্থানুকূল্যের জন্যে। সরকার ও শাসকগোষ্ঠী এখন চায় না কোন আন্দোলন হোক, মানুষ যেখানে বিক্ষুব্ধ হওয়ার কথা সেখানে বিক্ষোভ করুক। তাই তারা কর্পোরেটদের নির্দেশনা দেয় এন্টারটেইনমেন্ট এর আফিম জনগণে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য, জনমুখী ইস্যু চেপে যাবার জন্য। কর্পোরেট শাসক কে টাকা দেয় যাতে শাসক সরকার কর্পোরেটের অবাধ অবৈধ মুনাফা অর্জনের প্রতি লোভ ভাল ভাবে চরিতার্থ করতে পারে।

সরকারী নীতিমালা চুক্তি ও ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে তার নিরঙ্কুশ মুনাফা অর্জন যাতে সুগম হয়। কর্পোরেটরা মিডিয়া প্রতিপালন করে তার পণ্যের প্রসার ও বিপণন এর লক্ষ্যে। এমনি করে পারষ্পরিক ইন্টার ডিপেন্ডেন্ট একটা সিস্টেম দাঁড়িয়ে গেছে। কর্পোরেট মিডিয়া থেকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ খবর হাপিশ হয়ে যায়, সারা দেশের মানুষ যখন একটা ঘটনায় উত্তাল সে সময় তারা এমন ভাব ক্রে যেন কিছুই হয় নি। রাষ্ট্র বিরোধী কোন চুক্তি হলে সেটা বিষয়ে তারা কোন ভূমিকা রাখা তো দূরে থাক, অনেক সময় ভাড়াটে কলামিস্ট দিয়ে তার প্রোমোশন করে।

খণ্ডিত খবর প্রকাশ করে মূল ঘটনা কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে। ধরেন, জিন্না যখন ঢাকায় এসে বলল উর্দুই হবে রাষ্ট্র ভাষা। তখন ছাত্ররা চিৎকার করে উঠেছিল না না বলে। এখন যদি কোন সংবাদ মাধ্যম এটা খণ্ডিত করে প্রকাশ করে "জিন্নাহ বলেছেন উর্দু রাষ্ট্র ভাষা হবে", আর ঐ প্রতিবাদটুকু প্রকাশে বিরত হয় তাহলে মনে হবে জনগণ মেনে নিয়েছে বিষয় টা। আর প্রতিবাদ টুকু প্রকাশ হলে পুরো ঘটনার স্পিরিট টাই পালটে যায়।

এমনি করে খবর টেম্পার করে অভ্যস্ত আমাদের গণ মাধ্যম। কর্পোরেট মিডিয়া তার লক্ষ্য হাসিলের জন্য সব সময় লেজুড় বুদ্ধিজীবি ছাড়াও না রকম সহযোগী প্রতিষ্ঠান পালন করে। তার জন সংস্লিষ্টতা প্রমাণ করার জন্য এটা তার দরকার। অনেক সাধারণ মানুষ ও মিডিয়া ব্র্যান্ডিং এর মাহত্মে ভুলে এর ছায়ায় এসে দাঁড়ায়, এবং নিজেকে সেখানে খুঁজে পেয়ে একরকম গর্বিত বোধ করে। সে সাধারণ মানুষ্টাকে ঐ ছায়ায় দেখে অন্য মানুষেরা এর জনভিত্তি নিয়ে নিঃশঙ্ক হয়।

কিন্তু আসলে এর কোন জন ভিত্তি নেই এটি সব সময়েই মানুষের প্রতিপক্ষ হিসেবেই কাজ করে থাকে । এ সব মানুষ কে সংযুক্ত রাখার জন্য করপোরেট মিডিয়া নানান রকম সুশীল কর্মোদ্যোগ নেয় অথবা জন কল্যাণে নানা রকম কাজ করে যেমন পাঠক দের ফোরাম তৈরি করে, এসিড নিক্ষেপ বা মাদকাসক্তি বা ত্রাণ ও পুনর্বাসন বা অন্য কোন জনস্বার্থ ইস্যুতে কাজ করে। কিন্তু এখানেও আছে নানা ঘোরটোপ, দেখানে পানা। একটা বিষয় আমি জেনেছিলাম, একটা রাজনৈতিক দলের এক টাকা ত্রাণ পৌছাতে খরচ হয় দশ পয়সা। এসব করপোরেট মিডিয়ার খরচ হয় টাকা প্রতি ৭৫ পয়সা আর নানা করপোসেট সংস্থা বা এঞ্জিওর লাগে একটা ত্রাণ পৌছাতে তিন টাকা! এ হিসাব ঠিক থাকলে বোঝা যায় ত্রাণ দেয়া আসলে মূখ্য না, ব্র্যন্ড ভ্যলু বাড়ানো তাদের লক্ষ্য।

তার পরেও সেগুলোও আপাত দৃষ্টিতে খুবই শুভ উদ্যোগ বিবেচনা করলে তার আড়ালেও থাকে কর্পোরেট চক্রান্ত। মানুষের সেন্টিমেন্ট কাজে লাগিয়ে এরা মানুষের কাছে খুব গ্রহণযোগ্যতা পায় সে। এই সেন্টিমেন্ট তারা ব্যবহার করে তার ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার বা নিজেদের কোন ব্র্যন্ড কে প্রোমোট করার কাজে। যেমন একদিন একটা খবর আসল, অমুক পত্রিকার পাঠক ফোরাম ঐ যায়গায় ত্রাণ দিয়েছে, সে পত্রিকার ব্যানারেই। পরদিন খবর,সে ফোরাম একটা রেস্টুরেন্টের শাখা উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা আয়োজন করেছে।

খোঁজ নিলে দেখা যাবে উক্ত রেস্টুরেন্টের মালিক ও পত্রিকা মালিক একই পক্ষের। কিন্তু একটা ত্রাণ দেয়া ইমেজ ওয়ালা সংগঠনকে একটা এলিট রেস্টুরেন্টের সাথে যুক্ত করে ঐ প্যরেন্ট ব্যবসায়িক গোষ্ঠী যে কৈয়ের তেলে কৈ ভাজল সেটা নজর এড়িয়ে যায় সবার। শুধু এরকম না বাঙ্গালীয়ানা, জাতীয়তাবাদ ভাষা সংস্কৃতি গ্রাম ও গ্রামীনতা এসব ও এখন বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত হয়েছে। মনে করতে পারি কয়েক বছর আগে একটা শীর্ষ টেলিকম কোম্পানি শহীদ দিবসে ভাষা আন্দোলনের একটা সিমুলেশন করেছিল। মিডিয়ায় এটা খুব সাড়া ফেলেছিল।

বেশ প্রচার হয়েছিল ঐ কোম্পানির ও তাকে প্রোমটকারী মিডিয়ার। আমার ভাষা শহীদের রক্তও এখন বাণিজ্যিক পণ্য!! করপোরেট মিডিয়ার চক্রন্ত্র যায়গাটা যদি পরিষ্কার হয় তাহলে এবার লক্ষ্য করা যাত এর সাম্প্রতিক একটি উদ্যগঃ ম্যাজিক মুভমেন্ট নামে ফেসবুকের একটা গ্রুপ ডাক দিয়েছে প্রতিবাদী বিক্ষোভের। তারা জানাচ্ছে, আমাদের প্রথম পদক্ষেপ -WE ARE NEXT- শীর্ষক একটি প্রতিবাদ সভার। নিজের শরীরে দড়ি বেঁধে আমরা মাথা নিচু করে রাজপথে দাঁড়িয়ে থাকবো কিছুক্ষণ। সৌদি আরবে ৮ বাংলাদেশীকে শিরচ্ছেদ করার সময়, সেই অসহায় মানুষেরা যেভাবে হাটুতে ভর দিয়ে দাড়িয়েছিল, অবিকল সেইভাবে।

গোটা বিশ্ব যেন দ্যাখে, কীভাবে আমাদের ভাইদের বিচারের নামে হত্যা করা হয়েছে। হাত পা চোখ বাঁধা অবস্থায় কতই না অসহায় ছিলো তারা। আর এভাবেই আমাদের ঘৃণা, আমাদের প্রতিবাদ আমরা ছড়িয়ে দেবো সবখানে। স্থান : শাহবাগ, জাতীয় জাদুঘরের সামনে সময় :সকাল ১০টা দিন : ১৫ অক্টোবর, রোজ শনিবার, ২০১১ তাদের একজন মুখপাত্র বল্লেনঃ 'এটি কোনও মিছিল নয়, মানববন্ধন নয়, নিজের শরীরে দড়ি বেঁধে আমরা মাথা নিচু করে রাজপথে দাঁড়িয়ে থাকবো কিছুক্ষণ। ' কেন ভাই? মিছিল মিটিং কি খুব খারাপ? মানব বন্ধন কি আপনাদের কোমল পাকস্থলি তে হজম হয় না? আপনারা আসলে কি করতে চান? আপনারা প্রতিবাদ করছেন নাকি নাটকের রোল প্লে করছেন? প্রতিবাদের একটা নিজস্ব ভাষা থাকে, সেটা প্রতিবাদের ভাষা বলে স্বিকৃত হয়, এমন কি প্রতিবাদী গান ও ভিন্ন চরিত্রের হয়।

আপনারা কার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন? সৌদি সরকার এর বিরুদ্ধে ? এই আন্দোলন কী সৌদি রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে? শরীয়া ও ইসলামী আইনের বিরুদ্ধে? বিদেশী নাগরীক হত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশী নাগরীক হত্যার বিরুদ্ধে? আপনারা কি শিরঃচ্ছেদ নিয়ে আলচনা করছেন নাকি মৃত্যুদন্ড নিয়ে? আপনাদের মূল ইশ্যু কি আসলে?এভাবে প্রতিবাদ করা যায়? এটি কি প্রতিবাদী স্পিরিট কে প্রশমিতই করবে না পক্ষান্তরে?আপনারা লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন, এর উদ্যক্তাদের মাঝে কর্পরেট কানেকশনের প্রাবল্য। কয়েক জন প্রথমালো পত্রিকার সাংবাদিক, খবর যাদের কাছে একটা ব্যবসা। আমার ব্যকতিগত পছন্দের কিন্তু কর্পোরেটাইজড একজন ব্লগার ও আছেন এই দলে। তার প্রতি আমি কোন অফেন্স করতে চাইছিনা, বিষয়টা হয়ত এদের জন্য রুটি রুজি। কিন্তু আমার রুটিরুজি যেহেতু মিডিয়া না, আমি তাই নাটক সার্কাস জমিয়ে খবর বানানোর প্রক্রিয়ার সাথে একাত্ম হতে পারলাম না।

প্রতিবাদ এভাবে হয় না। কৃতজ্ঞতাঃ আসিফ মহিউদ্দনের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া প্রথম অংশটি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।