আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৪ বছর ২৮ দিন পর জয়, সিডন্সের সময়ে টি২০ তে কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ!!!

একমুখাপেক্ষি না হয়ে যা কিছু ভাল তা গ্রহন করা উচিৎ... ধীরে ধীরেই পরিস্কার হতে থাকবে যে গতো চার বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেট কতটা পিছিয়ে পড়েছে। সিডন্সের পিঠ বাচিয়ে চলার নীতি বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিয়েছে আরও চার বছর। গতো চার বছর হাতে গোনা কয়েকটা ম্যাচ বাদে বেশীরভাগ ম্যাচেই ব্যাটিং এ ব্যার্থ ছিলো বাংলাদেশ। পুরো টিম ব্যাটিং এ ব্যার্থ হলেও সাকিব-তামিম ছিলো সফল। মূলত তাদের হাত ধরে এবং বোলারদের নৈপূন্যে অনেকগুলো জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

এইসব জয়গুলোই ব্যাটিং ব্যার্থতাকে ঢেকে রেখেছিলো। পিঠ বাচিয়ে চলতে গিয়ে কি হলো? আমরা উপভোগ করলাম জুনায়েদ এবং রকিবুলের ব্যাটিং, আমাদেরকে দেখতে হলো ৫৮ আর ৭৮ রানে অলআউট হওয়া! যাই হোক, বাংলাদেশ ডেভ হোয়াটমোরকে মনে রাখবে আজীবন, কিন্তু ঠিকই ভুলে যাবে জেমি সিডন্সকে । সিডন্স কতখানি পিছিয়ে দিয়ে গেলো তা আগামী দুই বছরে হারে হারে টের পাওয়া যাবে। একটা অগোছালো টিম রেখে গেছে সিডন্স। একটা ব্যালন্সড টিম চার বছরেও গড়তে পারেনি! বিশ্বকাপে এমন একটা অবস্থা শেষ পর্যন্ত দাড়ালো যে বাংলাদেশের প্রথম চারজনই ওপেনার!! চার বছরে সে তিন এবং চার নম্বরে খেলার মতো কোনো খেলোয়ারই তৈরী করতে পারলো না, শুধু তিন এবং চারই নয়, ছয় এবং সাতে খেলার মতো কোনো খেলোয়ারও সে তৈরী করতে পারেনি! অথচ ডেভের সময়ে আমরা সাকিব, তামিম, মুশফিক, রাজ্জাক, আফতাব, নাফিস, নাজিমউদ্দিনের মতো খেলোয়ারদেরকে দলে দেখেছি।

ডেভ হোয়াটমোর আশরাফুলকেও কাজে লাগাতে পেরেছিলেন। আর সিডন্স আশরাফুলের খেলাটাই নষ্ট করেছেন। এক আশরাফুলের উদাহরন দিয়েই সিডন্সকে একজন ব্যার্থ কোচ হিসেবে অভিহিত করা যায় বাংলাদেশ দলে খেলোয়ারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরী করতে হবে। স্টুয়ার্ট ল সেই কাজটাই করছেন। বিসিবি এবং নির্বাচক কমিটিও তাকে সহায়তা করছেন।

আশা করা যায় দুই বছরের মধ্যে আমরা আমাদের সেরা খেলোয়ারদের নিয়েই একটা ব্যালন্সড টিম পাবো। এখন হয়তো কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা এবং অদল বদল হতেই পারে। সেরা দল পাওয়ার আগ পর্যন্ত দর্শক হিসেবে আমাদের ধৈর্য ধরা উচিৎ। আর অামরাতো প্রথম টি২০ ম্যাচটা জিতেই গেলাম... অসাধারন খেলেছে মুশফিক.. চার বছর ২৮ দিন পর জয়.. মুশফিকসহ বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।