আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টাক ঢাকতে মুরগির ডিম!

আমি মুক্ত আমি স্বাধীন মাথায় খুসকি বাড়ছে? চুল উঠে যাচ্ছে? টাকে চুল গজাতে চান? এবার আর ব্র্যান্ডেড শ্যাম্পু মাখতে হবে না। একটা মুরগির ডিম খেলেই কমবে সমস্যা। ঠোঁটের কোণে ক্ষত হলেও ভিটামিন সি খাওয়ার দরকার নেই। সমাধানের জন্য আছে সেই মুরগির ডিম। বন্ধ্যাত্ব থেকে শুরু করে হরেক অসুখের নিরাময় করবে একটা ডিম।

তবে এই ডিমের নাগাল আপাতত ক্রেতারা না পেলেও, কলকাতা ও সল্টলেকের বাজারে অতি সম্প্রতি আর এক ধরনের ডিম এসেছে, যা খেলেই শরীরের যাবতীয় ভিটামিনের পর্যাপ্ত জোগান মিলবে। ক্রেতাদের ঠকার সুযোগ কম। কারণ সুসজ্জিত প্যাকেটে বন্দি ডিমের গায়েই লেখা থাকছে তার পুষ্টিগুণ। আমরা সাধারণত যে ডিম খাই, তাতে ভিটামিন এবিসিডি এবং নানারকমের খনিজ পদার্থ থাকে। কিন্তু ডাক্তাররা বলছেন, সেটাই নাকি পুষ্টির জন্য পর্যাপ্ত নয়।

দরকার আরো পুষ্টি। আর সেই পুষ্টির অবদার মেটাতেই রাজ্য সরকারের পোলট্রি অ্যান্ড ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন কলকাতা ও শহরতলির ছ’টি কাউন্টার থেকে বিক্রি করছে ‘উন্নততর’ মুগির ডিম। আকারেও বড়, পুষ্টিতেও ঠাসা। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই ডিমে আছে সাধারণ ডিমের দ্বিগুণেরও বেশি খাদ্যগুণ। কুসুম থেকে ঠিকরে বেরনো গাঢ় হলুদ রংই বুঝিয়ে দেবে এ ডিমের কৌলিন্য! দাম অবশ্য একটু বেশি।

সাড়ে চার থেকে পাঁচ টাকা পিস। এমন বিস্ময়কর ডিমের কারখানার ঠিকানা পশ্চিম মেদিনীপুরের কুমারপুর। ১২ হাজার মুরগিকে সেখানে সুইজারল্যান্ডের খাবার খাইয়ে-দাইয়ে বড় করা হচ্ছে। তারা দিনে ১০ হাজার ডিম দেয়। তাদের লালন পালন করারও হরেক হ্যাপা।

প্রথম দিন থেকে ১৪০ দিন পর্যন্ত বিদেশি খাবার খাওয়ালেই তবে তারা এমন অভিনব ডিম পাড়বে। ১৮০ দিনের মাথায় যে ডিম ভূমিষ্ঠ হবে, তাতে থাকবে আকাঙ্ক্ষিত খাদ্যগুণ। সেই ডিমই মনোহরা প্যাকেটে আকর্ষণীয় সাজে বাজারে আসবে। কিন্তু এই ডিম তো এতদিন রাজ্যবাসীর পাতে পড়েনি। তাহলে সেসব যায় কোথায়? পোলট্রি ফার্মের এক কর্তার বক্তব্য, শহরের বড়বড় হোটেলগুলো থেকে শুরু করে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলো এই ডিম কেনে।

আমবাঙালি এতদিন তার হদিশ পায়নি। রাজ্য পোলট্রি ফেডারেশনের কর্তা মদনমোহন মাইতি বলেন, বিদেশে ডিমের নানারকম নাম। সি প্লাস এগ, ই প্লাস এগ, সেলিনিয়াম প্লাস এগ, আরো কত কী। অদূর ভবিষ্যতে আমাদের বাজারেও আসবে ঘরের মাটিতে তৈরি এসব ওষুধ ডিম! —বর্তমান পত্রিকা  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।